'ত্যাগীদের মূল্যায়নের কথা বলে মুলো ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে' - বললেন সাবেক ছাত্রনেতা ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন। উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন দেশ বিদেশে।লন্ডনে অবস্থানরত এই আইনজীবী তাঁর জন্মস্থান চট্টগ্রামে এলে মুখোমুখি হন পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক ও সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি( ২০১৬-১৮) ও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি(২০১৮+২০২১) রিয়াজ একজন খ্যাতনামা সংবাদ বিশ্লেষক। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার আলোচিত এই সাংবাদিক প্রতিষ্ঠা করেন কমিউনিটি টিভি NEWS BANK TV ।
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'বাংলাদেশ একটা আইন করা উচিত , যাতে যারা সাবেক মেজর জেনারেল, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, বিচারক ও সচিব সহ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন তারা পাঁচ বছর ধরে কোনো নির্বাচনী রাজনীতি করতে যেন না পারেন। সরকার তাদের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দিয়েছে...।'
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, "একসময় যারা বামপন্থী রাজনীতি করতেন তারা মন্ত্রীর জন্য জিয়া-এরশাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন ।বিএনপির বর্তমান মহাসচিবও একসময় বামপন্থী রাজনীতি করতেন ।
NEWS BANK TV এর " রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে" শীর্ষক এই টকশোটি ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সাংবাদিক, সংবাদ বিশ্লেষক, উপস্থাপক পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ টানা প্রায় ২২ বছর তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে 'র দফায় দফায় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে যুক্ত এই সংগঠক চট্টগ্রাম উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ও শ্রম আন্দোলনে যুক্ত।
মুক্তিযোদ্ধার এই সন্তান শৈশব থেকেই সাংগঠনিক। সাংবাদিক পেশাজীবী ও নাগরিক সংগঠনের নেতৃত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচে বেশী প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশন NEWS 24 এর চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান দায়িত্ব পালন করেন । এছাড়াও একুশে টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক বাংলা স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল STVus এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। কাজ করেছেন জাতীয় দৈনিক খবর, দৈনিক রুপালী, চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জাতীয় সাপ্তাহিক আজকের সুর্যোদয়ে। লিখেছেন অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বাংলাদেশ মিডিয়া সেন্টার -বিএমডিসি'র স্বপ্নদ্রষ্টা। প্রতিষ্ঠা করেন নতুন মাত্রার সংবাদ সংগ্রহ বিপণন ও প্রচার প্রতিষ্ঠান NEWS BANK নিউজ ব্যাংক। তাঁর চিন্তার ফসল হিসেবে বিএমডিসি'র আওতায় news Bank Bangla , NEWS BANK TV সহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ২০১৮-২০২১ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রগতিশীল পেশাজীবীদের সমন্বিত জাতীয় সংগঠন 'পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদকও । নাগরিক সংগঠন 'চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগে'র আহবায়ক । ২০১৮ থেকে ২০২২ খৃস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।
একাধিক দফায় আক্রান্তও হন। ঘাতকেরা কাফনের কাপড়ে মৃত্যু পরোয়ানাও পাঠায় চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড.অনুপম সেন, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী সহ পাঁচ বিশিষ্টজনের কাছে। সেসময় এঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি)ও করেন ড. অনুপম সেন।
বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশের কোথাও যখন জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো হতো না তখনই সাহসী কাজটা করেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। কৈশোরে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ বাকলিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গসাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। স্কুলেই ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন । আমরা পলাশ, ত্রিতরঙ্গ সহ বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত হন। অংশ নিতেন উপস্থিত বক্তৃতায়। কৈশোর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ, আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তান, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ড, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, বঙ্গবন্ধু একাডেমি, আমরা কজন মুজিবসেনা হয়ে যৌবনে গণজাগরনে অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসেবে ভুমিকা পালন করেন। বাচিক চর্চাকেন্দ্র 'তারুণ্যের উচ্ছ্বাস', ফ্যাশন হাউজ 'রোকাইয়া'জ' সহ অসংখ্য সংগঠনের তিনি উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ রোগী কল্যাণ সমিতির পরিচালনা পরিষদ সদস্য ছিলেন। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান 'বঙ্গজ' এর এই স্বত্বাধিকারী অভিন্ন নামে ১৯৯৫ খৃস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন দেশ চেতনার কাগজ 'বঙ্গজ'।
কর্মক্ষেত্রে একাধারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সফল ব্যক্তিত্ব রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। অসংখ্য কাগজে লেখা ছাপা হয়।একাধারে রাজনীতি, অর্থনীতি, অপরাধ ও সংস্কৃতি নিয়েই লেখালেখির কারনে পাঠকপ্রিয় নাম । টিভি সঞ্চালনায়ও পরিচিত মুখ। দিনের পর দিন টকশো সঞ্চালনা করে তৈরি করেছেন নিজস্ব বলয়। সমানে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য মঞ্চ মাঠে ময়দানে।
পারিবারিক পর্যায় থেকেই আওয়ামী ঘরানার এই সংগঠক চট্টগ্রামে প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দের কাছেও নানা ভাবে গ্রহনযোগ্য। শিক্ষক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর সংগ্রামে মাঠে ব্যাপক সম্পৃক্ত।
চসিক একুশে পদক প্রাপ্তিই নয়, সব সাংগঠনিক অর্জনই সবচেয়ে কম বয়সেই করেছেন।আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে এই পেশাজীবী সংগঠক বারেবারে ঝুঁকি নিয়েছেন, হামলারও শিকার হন ।
ওয়ান-ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তাঁর মুক্তি দাবি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন-গণজাগরণ ও বিএনপি-জামায়াত শিবিরের হরতাল অবরোধ নৈরাজ্য, পেট্রোল -বোমা জ্বালাও-পোড়াও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, আঞ্চলিক ও জাতীয় নানা ইস্যুতেমাঠে থেকেছেন ।
Информация по комментариям в разработке