পত্র লিখন | HSC বাংলা ২য় পত্র Animated Lessons | Shikho

Описание к видео পত্র লিখন | HSC বাংলা ২য় পত্র Animated Lessons | Shikho

আজকের পর্বে পত্র লিখন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

ভর্তি হতে, App টি Download করো 😄
App Link: http://shikho.io/ShikhboJitbo
অথবা ক্লিক করো:
✅HSC বাংলা ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-B2-AL

💥HSC এর জন্য অন্যান্য কোর্সসমূহ:
✅HSC Science Animated Lessons Bundle- http://shikho.io/HSC-Sci-AL
✅HSC Common Animated Lessons Bundle- http://shikho.io/HSC-Common-AL
✅HSC ইংরেজি Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Engllish-AL
✅HSC উচ্চতর গণিত ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-HM-1st-AL
✅HSC উচ্চতর গণিত ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-HM-2nd-AL
✅HSC জীববিজ্ঞান ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Bio-1st-AL
✅HSC জীববিজ্ঞান ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Bio-2nd-AL


প্রথমে আমরা জেনে নেই পত্র লিখন বলতে কী বুঝায়।
মানুষ অন্য মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময় করতে চায়। এ ভাব বিনিময়ের কাজটি চলে কথার মাধ্যমে। কিন্তু তুমি যে মানুষটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাও, সে যদি দূরে থাকে তবে তার সাথে যোগাযোগ করতে চিঠি পত্র লিখতে হয়।
পৃথিবীতে কবে থেকে চিঠিপত্র লেখা শুরু হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে প্রয়োজনের তাগিদেই যে চিঠিপত্রের রচনা শুরু, তা অনুমান করা যায়। তবে ইতিহাসের নানা ঘটনায় চিঠিপত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে কাব্য ও নাটকেও চিঠিপত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে অনুমান করা যায় বেশ প্রাচীন কালেই চিঠিপত্র রচনার সূত্রপাত হয়। চিঠিপত্র প্রেরণের যে ডাক ব্যবস্থা এখন দেখছো, তা আগে ছিল না। ডাক ব্যবস্থা তুলনামূলক আধুনিক কালের।
সাধারণভাবে চিঠিপত্রকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়।
চলো এবার ব্যক্তিগত পত্র সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ব্যক্তিগত বা নিজস্ব ব্যাপার নিয়ে যে পত্র লেখা হয় তাই ব্যক্তিগত পত্র। পরিবার পরিজন, আত্নীয় -স্বজন, বন্ধু বান্ধবকে লেখা চিঠিপত্র ব্যক্তিগত চিঠিপত্র। এ শ্রেণীর চিঠিপত্রে কখনও অনুভূতি উপলব্ধি, কখনও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনের কথা লেখা হয়ে থাকে৷
চিঠিপত্রের নিজস্ব আঙ্গিক বা কাঠামো আছে। তাই প্রাপক ও প্রেরকের ঠিকানা, তারিখ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ করতে হয়।
প্রচলিত পত্র লেখার কাঠামোতে পাঁচটি অংশ থাকে। সেগুলো হচ্ছে এক, নাম ও ঠিকানা; দুই, সম্ভাষণ; তিন, মূলপত্র; চার, বিদায় সম্ভাষণ; এবং পাঁচ স্বাক্ষর৷
চলো, একে একে এই অংশ গুলো আলোচনা করি৷ বইয়ে অনেক সময়ে ডান পাশে থাকলেও তুমি চাইলে বাম পাশে তারিখ, ঠিকানা দিয়ে শুরু করতে পারো ৷
এবারে আসি সম্ভাষণে৷ যাকে উদ্দেশ্য করে পত্রটি লেখা হচ্ছে, প্রথমেই তাকে সম্ভাষণ জানাতে হয়। ব্যক্তির সম্মান, মর্যাদা ও পত্র লেখকের সঙ্গে তার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে সম্ভাষণের ভাষা নির্ধারিত হয়। চলো কিছু উদাহরনের মাধ্যমে জেনে নেই৷ ধরো, তোমার চাইতে বয়সে বড় যেমন, তোমার বাবা-মা ৷ তাদেরকে তুমি কী কী শব্দ দ্বারা সম্ভাষণ করবে তা কি জানো? তাদের তুমি শ্রদ্ধেয় আম্মা, শ্রদ্ধাভাজনেষু, পরম শ্রদ্ধাভাজন বাবা অথবা পরম শ্রদ্ধাভাজন মা ইত্যাদি দিয়ে সম্ভাষণ করতে পারো৷ আবার, তোমার থেকে বয়সে ছোট অথবা তোমার সমবয়সী যেমন তোমার বন্ধু, ছোট ভাই বোন তাদেরকে তুমি কি কি বলে সম্বোধন করতে পারো তা কি জানো? ছোটদের স্নেহাস্পদ, স্নেহভাজনেষু, বন্ধুকে পরম প্রিয় বন্ধু, বন্ধু বরেষু, প্রিয়, প্রিয়ভাজনেষু, প্রিয়বরেষু ইত্যাদি লেখা যায়৷
এরপর পত্র লেখক কেন এ পত্র লিখছেন তা এখানে সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ যেমন স্ক্রিনে দেখানো পত্রে ছেলে তার বাবাকে নিজের ফলাফল জানিয়েছে। একটি পত্রে যদি একাধিক বক্তব্য থাকে তবে সেগুলিকে আলাদা আলাদা অনুচ্ছেদে লেখাই ভালো। যেমন এখানে ফলাফল জানানোর পর বাবার সাথে দেখা করবে জানিয়ে ছেলে আরো কিছু কথা লিখেছে। এরপরে আলাদা অনুচ্ছেদে ভালো থাকবেন এভাবে লিখে চিঠি শেষ হয়েছে।
পত্রের ভাষা সহজ হতে হবে৷ এলোমেলো কথা, অপ্রাসঙ্গিক ও উদ্ভট কথা মূল বক্তব্যকে হারিয়ে যেতে সাহায্য করে। তাই আগেই পরিকল্পনা করে, সেভাবে পত্র রচনা করা উচিত। মূল চিঠি শেষ হয়ে গেলে বাম দিকে বিদায়ী সম্ভাষণ জানাতে হয়। সেই সঙ্গে নিচে নাম স্বাক্ষর করতে হয়। বিদায়ী সম্ভাষণ পত্রটি যাকে লেখা হয়েছে তাঁর সঙ্গে পত্র লেখকের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। এখানে দেখানো হয়েছে ছেলে বাবাকে চিঠি লিখেছে তাই ইতি আপনার স্নেহের তারপর পত্র লেখক নিজের নাম অর্থাৎ যাকে পত্রের স্বাক্ষর অংশ তা লিখেছে। স্বাক্ষর চিঠি সর্বশেষ অংশ। বিদায়ী সম্ভাষণের পরে পত্রলেখককে স্বাক্ষর নাম এখানে লিখতে হয়৷
পত্রটি যেন ঐ ব্যক্তির হাতে পৌঁছায় এজন্য পত্র লেখককে আরও কিছু লিখতে হয়। তবে এটি পত্রের বাইরের রচনা।
খাম বা এনভেলাপে ডান দিকে প্রাপকের অর্থাৎ যে চিঠি পাবে তার পূর্ণ নাম ও ঠিকানা ও বামে প্রেরকের অর্থাৎ যে চিঠি লিখেছে তার নাম ও ঠিকানা লিখতে হয়। প্রাপকের ঠিকানায় পোষ্ট কোড নম্বরটি লেখা প্রয়োজন৷ এছাড়া খামের শুরুতে ডান পাশে স্ট্যাম্প অর্থাৎ ডাকটিকিট ব্যবহার করতে হবে ৷
চলো, আরেকটি চিঠি বা ব্যক্তিগত পত্রের নমুনা দেখে নেই৷ যেমন পরীক্ষায় আসতে পারে পিতার কাছে টাকা চেয়ে একটি পত্র লিখো, বন্ধুকে জন্মদিনের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্ত্র লিখো, বন্ধুকে বনভোজনের অভিজ্ঞতা নিয়ে পত্র লিখো।
স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছো নিশ্চয়ই৷ এভাবে নিয়ম মেনে সাজিয়ে লিখলে আশা করি কোন সমস্যা থাকবে না৷
তোমার বোর্ড বইয়ে তুমি দুই ধরনেই নিয়ম দেখতে পাবে। পত্রের ডান দিকে পত্রলেখনের তারিখ, পত্র লেখকের ঠিকানা থাকে। এরপরে পত্র লেখা শুরু হয়। পত্রে একের অধিক প্যারা থাকে। প্রথমে কুশল বিনিময়, মূল কথা এরপর বিদায় সূচক বাক্য, পত্র লেখকের স্বাক্ষর, খাম ইত্যাদি। এ নিয়মে তুমি দেখবে তারিখ আর ঠিকানা ডান দিকে থাকে। সম্ভাষণ বাম দিকে থাকে। চিঠি লেখা শুরু হয় বাম দিক থেকে আবার স্বাক্ষর ও বিদায় সম্ভাষণ থাকে ডান দিকে।
এই ছিল আজকের আলোচনা৷ আগামি পর্বে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচন হবে।
সেই পর্যন্ত তুমি ভালো থেকো, সুস্থ থেকো৷

Комментарии

Информация по комментариям в разработке