Скачать или смотреть কাদম্বরী দেবী সুইসাইড নোট| Kadombari Devi's Suicide Note|কণ্ঠেঃমারিয়া জাহান|রবীন্দ্রনাথের নতুন বৌঠান

#কাদম্বরী#দেবী#সুইসাইড#নোট| #Kadombari #Devi's #Suicide #Note| কণ্ঠেঃমারিয়া জাহান| #রবীন্দ্রনাথের #নতুন #বৌঠান

#কলমেঃ #সুনীল#গাঙ্গুলী
#পাঠেঃ #মারিয়া#জাহান#মণি

#কাদম্বরী#এক#অমিমাংসিত#প্রেমের#গল্প
গভীর দু:খ আর কাদম্বরীদেবী....

কেন আত্মহত্যা করেছিলেন কাদম্বরী দেবী?

মাত্র পঁচিশ বছর বয়েসে আত্মহত্যা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের নতুন বউঠান কাদম্বরীদেবী। শোনা যায় আত্মহত্যার কারণ জানিয়ে তিনি একটি সুইসাইড-নোট লিখেছিলেন। সেই চিঠি বা নোট এবং আত্মহত্যার অন্য সব প্রমাণ লুপ্ত হয়েছিল দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুজ্ঞায়। কাদম্বরীর জীবনের শেষ দিনটির কোনও হদিস মেলেনি কারও কাছে। বিষ খাওয়ার পরে মৃত্যুময় আচ্ছন্নতায় তিনি বেঁচে ছিলেন দুদিন। সেই দুদিনের কথাও লুপ্ত।

কেন আত্মহত্যা করেছিলেন রবির প্রাণের সখী, প্রিয় কাদম্বরীদেবী? কেন বাবামশাই দেবেন্দ্রনাথের আদেশে আত্মহত্যার সব প্রমাণ পুড়িয়ে ফেলা হল? ঘুষ দিয়ে বন্ধ করা হল সকলের মুখ? কাদম্বরীদেবী কি লেখেননি কোনও সুইসাইড নোট? নাকি লিখেছিলেন? যা পুড়িয়ে ফেলা হয়।সেই সুইসাইড নোটে কি সত্যিই কিছু ছিল? লুকিয়ে ছিল গোপন ব্যথা? কেন আত্মহত্যা করলেন কাদম্বরীদেবী? সেকথা কি তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর সুইসাইড নোটে? সেই সুইসাইড নোট লুপ্ত আজ একশো সাতাশ বছর।

এখানে লেখক বলছেন, ‘ঠিক সুইসাইড নোট নয়। এক সুদীর্ঘ চিঠি। চিঠির সর্বাঙ্গ ঝলসে গেছে আগুনে। …তবে ঝলসানো চিঠিটাকে কে বাঁচিয়েছিলেন আগুন থেকে? রবীন্দ্রনাথ? …’

সংক্ষেপ:

সমবয়সী হওয়ার কারণে কাদম্বরী দেবীর সাথে রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি রবীন্দ্রনাথকে তাঁর বিভিন্ন লেখায় উৎসাহ যুগিয়েছেন সৃষ্টিশীল মতামত দিয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব ভালো বন্ধু ছিলেন তিনি যার কারণে এই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে সেই সময়ে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন বিতর্ক এখনো আছে।রবীন্দ্রনাথের বিয়ের চার মাস পর, ১৮৮৪ সালের ১৯ এপ্রিল কাদম্বরী দেবী আফিম খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং তার ঠিক দুদিন পর ২১ এপ্রিল মারা যান।
মুলত পারিবারিক সমস্যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বিতর্ক রয়েছে। হিন্দু প্রথা অনুযায়ী তাকে মর্গে পাঠানো হয় নি, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেই বসানো হয়েছিল করোনার কোর্ট। গবেষকরা মনে করেন, স্বয়ং মহর্ষির উদ্যোগেই রিপোর্ট লোপ করা হয়, সঙ্গে লোপাট করা হয় 'সুইসাইড নোট'।

বইয়ের শুরু হয় কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর কথা দিয়ে। লেখক কল্পনা করে নেন কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর বহুবছর পর তার সুইসাইড নোটটি পাওয়া গেছে। যদিও আগুনে এর অনেকখানিই ঝলসে গেছে তবুও কিছু কিছু লেখা বুঝা যায়। লেখকের ধারণা সেই সুইসাইড নোটটি সংরক্ষণ করেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাদম্বরী দেবীর "প্রাণের রবি"।

সুইসাইড নোটটি তিনি রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। এখানে উনার সারাজীবনের না বলা কথা লিখে রেখে গেছেন তিনি।
স্বামীসুখ তিনি পান নি কখনো, সারাজীবন শুনতে হয়েছে ঠাকুর পরিবারের মেয়ে বউদের নানা গঞ্জনা। এসব কিছুর মধ্যে তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ছিল তার " প্রাণের রবি।"

রবীন্দ্রনাথ এবং তিনি মিলে তৈরি করেন তাদের নন্দনকানন। এখানে তারা সময় কাটাতেন,গল্প করতেন,গান গাইতেন,রবীন্দ্রনাথ শুনাতেন তার লিখা বিভিন্ন কবিতা তার নতুন বউঠানকে।

কিন্তু তার শেষ আশ্রয়ও খুব নিষ্ঠুরভাবে কেড়ে নেয় ঠাকুর পরিবার। প্রথমে রবীন্দ্রনাথকে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই সময়েই কাদম্বরী দেবী প্রথম আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেঁচে ফিরে আসেন আবার এই নিষ্ঠুরতম পৃথিবীতে। তারপর রবীন্দ্রনাথের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।বিয়ের পর থেকে রবীন্দ্রনাথ স্বাভাবিকভাবেই নিজের স্ত্রীকে সময় দিতে গিয়ে একটু একটু করে সরে আসেন তার নতুন বউঠানের কাছ থেকে। একদিন কাদম্বরী দেবী রবীন্দ্রনাথের ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার লেখা একটি কবিতা,

"হেথা হতে যাও পুরাতন!
হেথা নতুন খেলা আরম্ভ হয়েছে!"

কাদম্বরী দেবীর মনে পড়ে যায়,রবি বলেছিলেন উনার সব লেখাই তাকে উদ্দেশ্য করে লিখা হয়ে থাকে। উনি বুঝতে পারেন তার রবি এখন আর তার নেই।

তার উপর তার স্বামীও তাকে সময় দিচ্ছিলেন না। স্বামী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এর পোশাকের পকেট থেকে তিনি পান এক অন্য নারীর চিঠি। তিনি বুঝতে পারেন এ জগত সংসারে কেউ আর তাকে চায় না। তিনি পুরো পৃথিবীতে একা হয়ে পড়েছেন,ভীষণ একা।মনের ভেতর অসীম কষ্ট নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

#Bangla_Poetry
#Bangla_Story#
#কথাবন্ধু_মারিয়া
#বাংলা_কবিতা_আবৃত্তি
#Bangla_Recitation
#Bangla_kobita_Abritti
#Maria_Recitation