Скачать или смотреть মারা গেলে বা মৃত্যুর পর আত্মা কোথায় যায়? ফেরেশতারা লাশের সাথে কি করে? Where TheSoulGoesAfterDeath?

মানুষ মারা গেলে বা মৃত্যুর পর তাঁর আত্মা কোথায় যায়? ফেরেশতারা লাশের সাথে কি করে? Where the soul goes after death? সকল মুসলিমের জানা উচিৎ!    • মারা গেলে বা মৃত্যুর পর আত্মা কোথায় যায়?...  

মৃত্যুর পর আত্মা কোথায় যায়?? বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়েছে। Where the human soul goes after death in Islam Muslim । পুনর্জন্ম কি সত্যি হয়? মানুষ কি এক জন্মেই কর্মফল ভোগ করে ? Life after Death

প্রশ্নঃ মৃত্যুর পর কেয়ামত পর্য্যন্ত রূহ্ কোথায় থাকে- আসমানে না যমীনে? জান্নাতে না জাহান্নামে? পৃথিবীর দেহ ব্যাতিত অন্য কোন দেহে থাকে কিনা? ঐ অবস্থায় শাস্তি ভোগ করে কিনা? নাকি-আযাবমুক্ত থাকে?
Mrittur por | মৃত্যুর পর | নামাজ না পড়ার শাস্তি | কবরের আযাব | আত্মা কি?

ইমাম কুরতুবী (রহঃ) তাযকিরাহ্ গ্রন্থে  মৃত্যুর পর  রূহের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। মুমিন কাফের নির্বিশেষে সকলের রূহ্ ফেরেশতারা বহন  করে  উপরের  দিকে  নিয়ে  আল্লাহর দরবারে প্রথমে পেশ করে । আললাহ্তায়ালা ঐ রূহ্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদি মৃত ব্যক্তির রূহ্ নেককার হয়- তাহলে ফেরেশতাদেরকে বলা হয় - তাকে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে  তার জান্নাতের অবস্থান দেখাও। অতঃপর ফেরেশতারা চোখের পলকে ঐ রূহ্কে নিয়ে জান্নাতে ভ্রমণ করেন। মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাতে যত সময়  লাগে-ততটুকু সময় ভ্রমণ করেন । যখন গোসল ও কাফন পরানোর  কাজ সমাধা হয়- তখন রূহ্ ফেরত দেয়া হয় এবং কাফন ও শরীরের মধ্যখানে রূহ্ অবস্থান নেয়। যখন লাশ খাটিয়ায় উঠানো হয়- তখন সে মানুষের কথাবার্তা শুনতে শুরু করে। কে তাকে ভাল বল্ছে, কে তাকে  খারাপ বল্ছে- তা সে  শুনতে পায়। যখন জানাযার পর তাকে কবরে রাখা হয়- তখন রূহ্ শরীরে প্রবেশ করে। তাকে জীবিত হিসাবে  বসানো  হয় এবং দুই প্রশ্ন কারী ফেরেশতা মুনকার-নাকির তার কবরে প্রবেশ করে”। আবু হামেদ গাযালী (রহঃ) তাঁর “কাশফে উলুমিল আখিরাহ্” গ্রন্থে রেওয়ায়াত করেছেন-“যখন আযরাঈল ফেরেশতা নেককার লোকের রূহ্  কবজ করেন- তখন  দুজন  উত্তম চেহারার ফেরেশতারা ঐ রূহ্ গ্রহণ করেন। তাদের গায়ে থাকে উত্তম পোষাক ও পবিত্র সুগন্ধি। ঐ ফেরেশতারা নেককার বান্দার রূহ্কে বেহেস্তী রেশমী রুমালে  আবৃত করে নেন ঐ রূহের মধ্যে  আকল ও  ইলম- যা সে দুনিয়াতে অর্জন করেছিল- তা তার  সাথে থাকবে। সে সবকিছু দেখবে ও বুঝবে। অতঃপর ফিরিস্তারা তার রূহ্  নিয়ে  উপরের দিকে  উঠতে থাকে। পথিমধ্যে পূর্ববর্তী মৃত লোকদের  মধ্য দিয়ে সে গমন  করতে থাকবে।  ঐ সমস্ত পূর্ববর্তী লোকদের সংখ্যা হবে বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায়। এভাবে তারা প্রথম আকাশে পৌছাবে। যিম্মাদার ফেরেশতারা দরজা নাড়া দেবে। উপর থেকে বলা হবে- তুমি কে? যিম্মাদার বলবে-আমি ছালছায়ীল। আমার সাথে অমুকের পুত্র অমুক। ফেরেশতারা বলবে- হ্যাঁ সে এরকমই ছিল। তার আক্বিদা ছিল সন্দেহাতীত  বিশুদ্ব।  এরপর  ঐ মোমিন রূহ্কে দ্বিতীয় আকাশে নিয়ে যাওয়া হবে। দরজার ফেরেশতারা বলবে- মারহাবা, সে নামাযের ফরয ঠিক ভাবে আদায়  করতো।  এমনিভাবে তৃতীয় আকাশের ফেরেশতারা দরজা খুলে দিয়ে তার পরিচয় জেনে নিয়ে বলবে-মারহাবা, সে তার মালের যাকাত দিত আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য এবং যাকাতের কোন অংশ নিজের কাছে ধরে রাখতো না । চতুর্থ আকাশে নিয়ে গেলে ফেরেশতারা অভ্যর্থনা জানিয়ে বলবে- সে উত্তমরূপে রোযা রাখতো এবং অশ্লীল কাজ ও হারাম খাদ্য থেকে বেঁচে থাকতো। এরপর পঞ্চম আকাশের ফেরেশতারা দরজা  খুলে  দিয়ে পরিচয়  নিয়ে বলবে-  আহ্লান   ছাহ্লান, সে লোক দেখানো বা  সুনামের  আশা না করে  ফরয   হজ্ব আদায়  করতো । ষষ্ঠ  আকাশে  রূহ্কে নিয়ে গেলে ফেরেশতারা পরিচয় নিয়ে দরজা খুলে দিবে এবং বলবে- মারহাবা,ইনি উত্তম ব্যক্তি এবং পবিত্র আত্মার অধিকারী। সে পিতামাতার সাথে সৎ ব্যবহার করতো। এভাবে  সপ্তম আকাশে  নিয়ে গেলে নিয়োজিত ফেরেশতারা দরজা খুলে দিয়ে বলবে- মারহাবা, সে অতি ভোরে উঠে ক্ষমা  প্রার্থণা করতো এবং গোপনে দান  খয়রাত করতো, ইয়াতিমদের লালন পালন করতো। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হবে “ছুরাদিকাতুল জালাল” নামক স্থানে। দরজা খুলে দেয়ার পর তথাকার নিয়োজিত ফেরেশতারা বলবে- মারহাবা,  সে নেককার বান্দা  এবং পবিত্র  আত্মার  অধিকারী। সে বেশী বেশী  ক্ষমা প্রার্থণাকারী  এবং  উত্তম কাজের  আদেশকারী  ও  মন্দ কাজ থেকে  বারণকারী, গরীব মিছকিনদের  সাহায্যকারী। এভাবে রূহ্কে নিয়ে ছিদ্রাতুল মোন্তাহায় পৌঁছবে এবং দরজা খুলে দেয়ার জন্য নাড়া দিবে। অতঃপর ফেরেশতারা পরিচয় নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করাবে। তারপর অভ্যর্থনা জানিয়ে  বলবে- সে বড় নেককার ও আললাহর সন্তষ্টি লাভকারী ব্যক্তি ছিল।এরপর  চিহ্নিত পর্দাসমূহ ভেদ করে আরশে মোয়াল্লায় পৌঁছাবে। ঐ পর্দা সমূহের জানালা হবে আশি হাজার। দীর্ঘ স্তরসমুহ ভেদ করে  অবশেষে  রূহ্ পৌঁছবে  আল্লাহর  দরবারে। পর্দার  অভ্যন্তর  হতে  ডাক দেয়া হবে- কার এই পবিত্র রূহ্? জওয়াব দেয়া হবে- অমুকের পুত্র  অমুক । তখন আল্লাহ্  বলবেন- নিকটে নিয়ে আসো, হে বান্দা! তুমি ছিলে আমার উত্তম বান্দা!  তারপর  তার  ক্ষমা  ঘোষণা  করা  হবে”। (তাযকিরাহ্ ৬৫-৬৬ পৃষ্ঠা)।


๑۩۩๑●▬●▬●▬●▬ஜ۩۞۩ஜ▬●▬●▬●▬●๑۩۩๑
السلام عليكم
"The best remembrance of God is 'La ilaha illallahu."
[Ibn Majah] ღ

ANTI-PIRACY WARNING * *Shopne Ki Dekhle Ki Hoy is an Islamic Dream Explanation.Please Subscribe To Our Channel For The Promotion & Expansion Of Islam And Encourage Others To Like,Comment & Share.
*This Content Is Published By (Shopne Ki Dekhle Ki Hoy).We Only Upload Our Own Content Which Is Copyrighted To 'Shopne Ki Dekhle Ki Hoy' .
*Any Unauthorized Reproduction,Redistribution Or Re-Uploading Of This Material Is Strictly Prohibited.Legal Actions Will Be Taken Against Those Who Violate The Copyright Rule.
Enjoy & Stay Connected With Us *

#আত্মা #পরকাল #জান্নাত #জাহান্নাম #কিয়ামত#রুহ #কলব #জান #মানুষ_মারা_গেলে #মরণ #হাশর #দোযখ #আযাব #কবর