একনজরে নবিজি সা. এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী ,শায়খ আহমাদুল্লাহ
নবিজি হযরত মুহাম্মাদ ﷺ হলেন মানবজাতির জন্য আল্লাহর শেষ রাসূল এবং বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। তাঁর জীবন প্রতিটি মুসলিমের জন্য আদর্শ ও দিকনির্দেশনা। তাঁর জীবনী অধ্যয়ন করলে আমরা জানতে পারি কীভাবে একজন মানুষ সেরা চরিত্র, ন্যায়পরায়ণতা, নেতৃত্ব, দাওয়াহ এবং ইবাদতের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারেন।
এই ভিডিওতে শায়খ আহমাদুল্লাহ সংক্ষেপে কিন্তু পূর্ণাঙ্গভাবে নবিজি ﷺ এর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেছেন। আলোচনায় থাকছে—
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্ম, শৈশব ও যৌবনকাল
নবুওয়াত প্রাপ্তি ও দাওয়াহ কার্যক্রম
মক্কার কষ্টকর সময় ও মদিনার রাষ্ট্র গঠন
নবিজির পরিবার, সাহাবায়ে কেরাম ও ইসলামের প্রসার
তাঁর নৈতিকতা, আচার-আচরণ এবং মানবতার জন্য দৃষ্টান্ত
শেষ নবী ﷺ এর ইন্তেকাল ও মুসলিম উম্মাহর জন্য রেখে যাওয়া শিক্ষা
শায়খ আহমাদুল্লাহ বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব। বিদগ্ধ আলোচক, লেখক ও খতীব। ইসলামের খেদমতে তিনি নানামুখী কাজ করেন। লেখালেখি, গবেষণা ও সভা-সেমিনারে লেকচারসহ নানামুখী দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উন্মুক্ত ইসলামিক প্রোগ্রাম ও প্রশ্নোত্তরমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং টিভি অনুষ্ঠানে সময় দেওয়াসহ বহুমুখী সেবামূলক কাজে সপ্রতিভ গুণী ও স্বনামধন্য এই আলেমে দীন। দেশে-বিদেশে শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ— ছড়িয়ে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
শায়খ আহমাদুল্লাহর জন্ম ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার বশিকপুরে। বাবার নাম মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন, মায়ের নাম মোসাম্মাত দেলোয়ারা বেগম। বাবা ব্যবসায়ী ছিলেন ও মা গৃহিণী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। শায়খ আহমাদুল্লাহ তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
তাঁর পড়ালেখার হাতেখড়ি মমতাময়ী মায়ের হাতে। প্রাথমিক পড়াশোনা বশিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর ভর্তি হন কওমী মাদরাসায়। নোয়াখালীর একাধিক মাদরাসায় কয়েক বছর পড়াশোনা করার পর তিনি ভর্তি হন হাতিয়ার ফয়জুল উলূম মাদরাসায়। সেখানে প্রথিতযশা আলেমে দীন মুফতী সাইফুল ইসলাম (রহ.)-এর সান্নিধ্য ও ছাত্রত্ব লাভের সুযোগ তৈরি হয়। এরপর তিনি দেশের সর্ববৃহৎ দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদারায় ভর্তি হন। কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) থেকে (সানুবিয়্যা) উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা দিয়ে দশম স্থান, (ফযীলত) স্নাতকে তৃতীয় স্থান ও ২০০১ সালে দাওরায়ে হাদীসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। দাওরায়ে হাদীস শেষ করে খুলনা দারুল উলূম থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন।
লেখাপড়া শেষ করে মিরপুরের দারুর রাশাদে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন। মাঝে এক বছর মিরপুরের আরজাবাদ মাদরাসায়ও হাদীসের শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মিরপুরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে। ২০০৯ সালে সুযোগ আসে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার। আরবী ভাষায় বিশেষ দক্ষতার কারণে ডাক পান মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ সেন্টারে যোগ দেন। একজন প্রীচার ও ট্রান্সলেটর হিসেবে সেখানে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর কাজ করেন। আরবদের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেন তিনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ—তিন বিভাগে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুদ্ধ চিন্তা ও বিশুদ্ধ জ্ঞান চর্চার অংশ হিসেবে মূল ধারার বেশিরভাগ টেলিভিশন চ্যানেল এবং ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত প্ল্যাটফরমে লেকচার দেন তিনি।
ইসলাম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখালিখিও করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তাঁর লেখা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সকাল সন্ধ্যার দু’আ ও যিকর পুস্তিকা এবং ‘পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী দু’আ ও যিকর’-এর কার্ড চার লক্ষাধিক কপি এ যাবত বিতরণ করা হয়েছে। তাঁর সংকলিত ও সম্পাদিত রমাদান প্ল্যানার দুই লক্ষাধিক কপি বিক্রি হয়েছে। উমরাহ কীভাবে করবেন বইটি পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হচ্ছে। তারাবীহর সালাতে কুরআনের বার্তা এবং মাহে রমাদানের ২৭ আমল পাঠকমহলে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ এ পর্যন্ত দাওয়াহ ও গবেষণা বিষয়ে কয়েকশ' প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। আরবী ভাষাতেও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অনেক প্রবন্ধ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতীবের দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইতোমধ্যেই তিনি জাপান, ভারত, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে, কাতার, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, কেনিয়া ও উগান্ডা আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।Copyright Disclaimer: Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational, or personal use tips the balance in favor of fair use.
দীন প্রচারের জন্য আমাদের চ্যনেলের ভিডিও লাইক করুন,শেয়ার করুন,ভিডিও তে কমেন্ট করুন আর চ্যনেল সাবস্ক্রিব করুন।এই চ্যনেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা হয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
LIKE | COMMENT | SHARE | SUBSCRIBE
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Информация по комментариям в разработке