Скачать или смотреть মেহবুব-এ-ইলাহি, হযরত খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) (১২৩৮ — ১৩২৫) Mehbub e alahi

মেহবুব-এ-ইলাহি,
খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ)
(১২৩৮ — ৩ এপ্রিল ১৩২৫)
حضرت شیخ خواجہ سیّد محمد نظام الدّین اولیاء‎‎
হলেন ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সূফি সাধক।
ভারতে চিশতিয়া তরিকার অন্যতম মহান সূফি সাধকদের মধ্যে তিনি একজন।
তার মূল বাবা ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী হয়ে খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিশতি (রাঃ) সাথে মিলিত হয়।

নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) উত্তর প্রদেশের (দিল্লীর পূর্বে) বদায়ুনে জন্মগ্রহণ করেন।
পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা সৈয়দ আবদুল্লাহ বিন আহমদ আল-হোসাইনী বদায়ুনীর মৃত্যুর পর তিনি তার মা আম্মাজান জুলেখার সাথে দিল্লীতে চলে আসেন।

ষোলতম শতাব্দীতে মোগল সম্রাট আকবরের উজির আবুল ফজল মোবারক রচিত আইন-ই-আকবর-এ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) জীবনী উল্লেখ রয়েছে।
বিশ বছর বয়সে, নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) আজোধানে (বর্তমানে পাকিস্তানের পাকপাত্তান শরীফ) যান এবং সুফি সাধক ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকারের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন,
যিনি বাবা ফরিদ নামে অধিক খ্যাত।
বাবা ফরিদ বর্তমান থাকা অবস্থায় তিনি প্রতি বছর রমজান মাস অতিবাহিত করতে আজোধানে যেতেন।
তৃতীয়বার আজোধান সফরে গেলে বাবা ফরিদ তাকে তার উত্তরসূরি বা খলিফা মনোনীত করেন।

বাবাজান এর প্রায় ৬০০ এর বেশি খলিফা রয়েছেন
যারা বিশ্বময় তার আধ্যাত্বিক সাজরাকে বজায় রেখেছেন।

তাদের মধ্যে বিখ্যাত শিষ্যগণ হলেন:
নাসিরুদ্দিন চিরাগ এ দেহলভী,
আমীর খসরু,
সৈয়দ জালালুদ্দীন হোসেন বুখারী ওরফে উচ শরীফের মখদুম জাহানিয়ান জাহাঙ্গশত,
আখি সিরাজ আইনায়ে হিন্দ, বুরহানউদ্দিন গরীব প্রমুখ

প্রতি বছর হিজরি মাসের ১৭-১৮ রবিউস সানি নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) ওরশ মোবারক পালিত হয় এবং
১৮ শাওয়াল আমির খসরু (রাঃ) ওরশ মোবারক পালিত হয়।

বাবাজান এর তাওয়াজ্জোহ মুহাব্বত ও জিয়ারত নসিব হোক