Скачать или смотреть ‘ভারত পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করলে পাকিস্তানও করবে’: ইমরান খান / News: Syed Iftekhar

Imran Khan ,Trump 2nd day 24 July, 2019
প্রেজেন্টার লিংক:
ভারত পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করলে পাকিস্তানও সে পথে হাঁটবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান সংকট সমাধানে যুদ্ধ কোনো বিকল্প হতে পারে না। কাশ্মীর সমস্যার কারণে দুই দেশ বিশ্বে সভ্য হতে পারছে না বলেও মত দেন ইমরান। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মধ্যস্থতা করতে বলেছেন, এমন খবর প্রকাশ হওয়ায় ভারতজুড়ে চলছে তীব্র সমালোচনা।

প্যাকেজ:
কাশ্মীর সংকট সমাধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে আশার সঞ্চার হয়েছে পাকিস্তানে। দেশটির বেশিরভাগ মানুষেরই মতো, ট্রাম্প উদ্যোগ নিলে চির বৈরী দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে।

পাকিস্তানী নাগরিকরা বলেন, ভারত পাকিস্তানকে বরাবরই শত্রু মনে করে। তারা এও মনে করে যে, কাশ্মীর ইস্যু দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংকট সমাধানে কোনো তৃতীয় পক্ষকে পাত্তা দিতে চাচ্ছে না নয়াদিল্লি। কিন্তু আমরা সাধারণ পাকিস্তানিরা আলোচনা চাই। ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানাই।

ইসলামাবাদে যখন খুশির আবহ তখন নয়াদিল্লিতে এই ইস্যুতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভারতের লোকসভায় মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পের কাছে কখনও কাশ্মীর ইস্যুর মধ্যস্থতার জন্য অনুরোধ করেন নি।

তবে বিরোধীদল কংগ্রেসের দাবি, মোদি ঠিকই সে কথা বলেছেন, আর এর মাধ্যমে তিনি বিশ্ব দরবারে ভারতের মর্যাদাহানি করেছেন।




এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা দাবি, কাশ্মীর নিয়ে পরিস্থিতি উসকে দিতে ট্রাম্প তার মন্তব্য করেন নি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো বলেন, প্রেসিডেন্ট কোনো ভুল বলেন নি। এটা আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি। যদিও এটা আমার বলার কথা নয়। জন বোল্টন ও মাইক পম্পেও আরও ভালো বলতে পারবেন।

এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের মাঝে ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতেই ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামাবাদ ওয়াশিংটনের পাশে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এক সময় পাকিস্তানে অন্তত ৪০টি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় ছিল বলেও স্বীকার করেন পিটিআই প্রধান।

তিনি বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধ কোনো বিকল্প হতে পারে না। নয়াদিল্লি পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করলে, ইসলামাবাদও একই পথ অনুসরণ করবে। আপাতত এসব ভারী অস্ত্র পাকিস্তানের আত্মরক্ষার জন্য রাখা আছে। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সেনাবাহিনী এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে অবগত।

একই দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলসির সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন ইরমান খান।