Скачать или смотреть ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ । National Emergency Service 999

নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে উন্নত দেশগুলোর মতো ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ সেবা চালু করেছে সরকার। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির আওতায় এ সেবা পরীক্ষামূলক কাঠামোর মাধ্যমে নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে। ট্রিপল নাইন জরুরি সেবার ব্যাপারে ইতোমধ্যে জনগনের ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছে সরকারের বিভিন্ন সেবাসংস্থা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে আপনার জরুরি প্রয়োজনে যেকোন সময় একজন সেবাদাতা এজেন্ট আপনার কলে সাড়া দেন। জানিয়ে দেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা এম্বুলেন্সের সন্ধান। এই সেবা বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে কর্মশালা পরিচালনা করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।
‘৯৯৯ হেল্প ডেস্ক’ মোবাইল অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে কিংবা টোল ফ্রি কল করে গ্রাহক নিজের ও নিকটবর্তী মানুষের জরুরি প্রয়োজনে কল সেন্টারে সরাসরি কথা বলতে পারছেন। কল সেন্টারের প্রশিক্ষিত এজেন্ট সেবাগ্রহীতার চাহিদা অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করছে।
গত বছর নভেম্বরে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রিপল নাইন সেবাটি চালু হয়। বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’র প্রশাসনিক ভবনের দু’তলায় একজন অপারেশন ম্যানেজার ১৬ জন কর্মকর্তা ও ৭০ জন এজেন্ট নিয়ে ২৪ ঘন্টা সার্বক্ষণিক সেবা দেয়া হচ্ছে।
ট্রিপল নাইন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে জরুরি বা সাধারণ সেবা সম্পর্কে যেকোনো তথ্য খোঁজার জন্য একটি শক্তিশালী সার্চ অপশন রয়েছে, যা বাংলাদেশের সব সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। বর্তমানে এই সেবাটির পরিসর স্বল্প পরিসরে হলেও প্রতিদিন প্রায় পনের থেকে ২০ হাজার সেবাগ্রহীতার কল সামাল দিতে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে সেবাটি গ্রহণ করে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন। তবে জরুরি সেবার চেয়ে অপ্রয়োজনীয় কল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন এজেন্টরা। কাজেই স্বাস্থ্য, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের অনুসন্ধান ছাড়া অন্যদের অকারণে ট্রিপল নাইন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি ২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখের মাছরাঙা সংবাদে প্রচারিত হয়।

Fardeen Ferdous
  / fardeen.ferdous  
  / fardeenferdous