দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা পার্থক্য ; কোনটা করলে লাভবান হবেন?

Описание к видео দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা পার্থক্য ; কোনটা করলে লাভবান হবেন?

বাংলাদেশে সাধারনত মামলা দুই ভাবে করা যায়, ১। দেওয়ানি মামলা/ মেকদ্দমা আর ২। ফৌজদারি মামলা। এখন এই দুইভাবে মামলা করলে এর ফলাফলও কিন্তু বেশ ভিন্ন তাই কখন কিভাবে করবেন,

১. ফৌজদারী মোকদ্দমায় জেল জরিমানা বা দেওয়ানী মামলায় প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ
পরের পার্থক্যটি হচ্ছে;
২. দেওয়ানি মোকদ্দমায় নিজে এবং নিজে খরচে মামলা পরিচালনা করতে হয় অন্যদিকে ফৌজদারী মামলাটি করে সরকার ও সরকারি খরচে

দেওয়ানি মামলায় যার যার সম্পত্তি বা অধিকার রক্ষার্থে তার তার নিজের খরচে উকিল নিয়োগ করে তার মাধ্যমে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করে, অপর পক্ষকে আদালতের মাধ্যমে খরচ ইত্যাদি পরিশোধ করে নোটিশ পাঠিয়ে মোকদ্দমা পরিচালনা করতে হয়। অন্যদিকে, ফৌজদারী মামলা সাধারণত সরকার করে থাকে। পুলিশের কাছে অভিযোগ যাওয়ার পর পুলিশ তা আদালতকে জানায়, আইনের এবং আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশ তদন্ত ও গ্রেফতার করে এবং তারপর আদলেতে সরকার নিয়োজিত উকিল (পাবলিক প্রতিকিউটর) সেই মামলা বিনামূল্যে পরিচালনা করে।


৩. ফৌজদারী মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হতে হয় কিন্তু দেওয়ানী মোকদ্দমার ক্ষেত্রে ভারসাম্যতার নীতি অবলম্বন করা হয়।

সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত (Beyond reasonable doubt)
ক্রিমিনাল আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণ হওয়া আগে কাউকে দোষী বলা যাবে না এবং শাস্তি দেওয়া যাবে না কারণ তা না হলে বিচার প্রক্রিয়া আগেই পক্ষপাতমূলক হয়ে যেতে পারে আর এই নীতির সমর্থক নিতি হচ্ছে “সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত (Beyond reasonable doubt) নীতি” অর্থাৎ কেউ যে কোন অপরাধ করছে তা সন্দেহ ছাড়াই প্রমাণিত হতে হবে।

ভারসাম্যতার নীতি (Balance of probability) অবলম্বন
দেওয়ানী মামলায় ভারসম্যনীতি (Balance of probability)অনুসরণ করা হয়, সহজ কথায় হল ১০০ তে ১০০ প্রমাণ না করলেও হয়, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যদি ৬০-৪০ অনুপাতে মামলাটি প্রমাণিত হয় তবে সেভাবেই আদালত রায় দেবেন।

৪. প্রমানের দায়ভার
ফৌজদারী মামলায় [অভিযোগ] প্রমাণের দায়ভার মূলত ন্যস্ত থাকে রাষ্ট্রপক্ষর (বাদী) উপর অন্যদিকে দেওয়ানী মামলায় দুই পক্ষই তাদের দাবীকৃত বিষয় প্রমাণ করতে হয়।

৫. সময় ও ফল
দেওয়ানী মোকদ্দমায় দালিলিক সাক্ষ্যের উপর বেশী নির্ভর করার কারণে এবং এর ধরনের কারণে দেওয়ানী মোকদ্দমায় সাধারণত বেশী সময় লাগে এবং বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, অন্যদিকে ফৌজদারি মামলা সাধারণত আইনে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শেষ করারা বাধ্যবাধকতা থাকে তাই সাধারণত কম সময় লাগে কিন্তু এই মামলায় চাক্ষুষ ও সরাসরি প্রমাণকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করতে বেশ বেগ পেতে হয় এবং সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করতে না পারলে অভিযোগ প্রমাণ করা যায় না।

৬. পক্ষ-গন ও বিপক্ষের মৃত্যুর পরের ফল
দেওয়ানী মোকদ্দমায় বিপক্ষ ছাড়াও প্রয়োজনীয় অন্যান্য পক্ষকে মামলায় রাখতে হয় যাতে পরে কোন ঝামেলা না হয় এবং কোন পক্ষ মারা গেলে তার উত্তরাধিকাররা মামলার পক্ষ ভুক্ত হয়, মোকদ্দমাটি বিলুপ্ত বা শেষ হয়ে যায় না। এবং মৃত ব্যক্তির (বা তার উত্তরাধিকারদের) বিরুদ্ধে রায় গেলে সেই ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে সম্পত্তি উসুল করে দেওয় হয়।
অন্যদিকে, ফৌজদারী মামলায় সুধু অভিযুক্ত এবং তার সহযোগীকে মামলার বিবাদী করা হয় এবং তাদের মৃত্যুর পর অভিযোগটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

৭. রায় পাবার পরের প্রক্রিয়া ও জেল জরিমানা।
দেওয়ানী মোকদ্দমায় রায় পাবার পর বিবাদীকে সেই রায় মানার জন্য আহ্বান করা হয় যদি সে সেই রায় না মানে / রায় মতে কাজ না করে তবে দেওয়ানী আদালতে সেই রায় সম্পাদনের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়। বিবাদী যদি ইচ্ছে করে রায় না মানে বা আইন বহির্ভূত কিছু করে বা করার চেষ্টা করে তখন আদালত চাইলে তাকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখতে পারে, তার সম্পত্তি জব্দ ও বিচার করতে পারে এবং পুলিশ এবং প্রশাসনের মাধ্যমে রায় বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে পারে।
অন্যদিকে, ফৌজদারী মামলা এসব কিছুই করতে হয় না সরকার রায় ঘোষণার পরে রায় বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করে।

এই ভিডিওতে পাবেন:
00:00 সূচনা
00:42 দেওয়ানি ও ফৌজদারি অর্থ (কোন বিষয়গুলো দেখা হয়)
01:42 দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনের প্রয়োগ
03:50 দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা কে, কোথায়, ও কিভাবে দ্বায়ের করবে
04:54 প্রমাণের দায়ভার | Burden of Proof
05:35 Balance of Probability | ভারসাম্যের নিতি
06:39 Beyond reasonable doubt | সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ
07:18 সাক্ষ্য প্রমাণ কেমন হবে
08:06 পক্ষগন মৃত্যুবরণ করলে কি হবে?
09:32 রায় পাওয়ার পর কি করতে হবে?
10:13 মামলায় কত সময় লাগে?
11:25 কোন ধরনের মামলা কখন করবেন? কিভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন?

আরো দেখুন:
দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার পার্থক্য : https://bangla.lawhelpbd.com/দেওয়ানী-...

যে কোন আইনি প্রফেশনাল হেল্প পেতে
আমাদের ফেসবুকে নক করুন এই লিংকে:   / lawhelpbd​   অথবা
ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: [email protected], [email protected] অথবা
আমাদের সাইট ভিজিট করুন -আমাদের মেইন (ইংরেজি) ওয়েবসাইট: https://www.lawhelpbd.com​
আমাদের বাংলা ওয়েবসাইট: https://bangla.lawhelpbd.com
আমাদের আইনের লেকচার, বই ও টিউটোরিয়াল পেতে চোখ রাখুন: https://ainpathshala.com এ
আইন পাঠশালা ফেসবুক গ্রুপ (কানেক্টেড থাকুন, সকল আপডেট পান) :   / 692965179267977  

---------------
রচনা ও উপস্থাপনায়
অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক, ল হেল্প বিডি
পরিচালক, আইন পাঠশালা
সময় নিতে যোগাযোগ করুন: +8801711386146 (বিকাল ৫ - রাত ৯ টা)
email: [email protected]

#Civil_vs_Criminal_Law #Difference #bangladesh

Комментарии

Информация по комментариям в разработке