Скачать или смотреть জামাত-ই-ইসলামির ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট।

জামাত-ই-ইসলামির ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট



জামাত-ই-ইসলামির ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট

প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস

জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪১ সালে, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামি চিন্তাবিদ আবুল আ'লা মওদুদী (Abul A'la Maududi)-এর নেতৃত্বে। সংগঠনটি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত হয় এবং শুরুতে এটি ব্রিটিশ ভারতের একটি ইসলামি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ছিল।

প্রাথমিক লক্ষ্য ও আদর্শ

১. ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা – শরিয়াহ ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
2. রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার – ইসলামের মূলনীতি অনুসারে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন।
3. ধর্মীয় শিক্ষা প্রসার – ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসার।

ভারতের বিভাজন ও জামাতের বিভক্তি

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর জামাত-ই-ইসলামি কয়েকটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়:

ভারতে – ভারতীয় জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami Hind)

পাকিস্তানে – জামাত-ই-ইসলামি পাকিস্তান

বাংলাদেশে – জামাত-ই-ইসলামি বাংলাদেশ (১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর)


পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জামাতের ভূমিকা

পাকিস্তানে:

১৯৪৭-এর পর জামাত পাকিস্তানে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতা করে এবং তাদের সমর্থনে বিভিন্ন সংগঠন গঠন করে।


বাংলাদেশে:

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত-ই-ইসলামির কিছু নেতার ভূমিকা বিতর্কিত ছিল।

স্বাধীনতার পর দলটি নিষিদ্ধ ছিল, তবে ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে আবার রাজনীতি করার সুযোগ পায়।

পরবর্তী সময়ে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক জোট গঠন করে এবং ২০০১ সালের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পায়।

২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের পর দলটি বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে পড়ে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রমের মাধ্যমে দলীয় শীর্ষ নেতাদের অনেককে ফাঁসি দেওয়া হয় বা দণ্ড দেওয়া হয়।


বর্তমান প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে জামাত-ই-ইসলামি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যদিও তারা বিভিন্ন নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

পাকিস্তানে দলটি এখনো রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়, তবে তাদের জনপ্রিয়তা কমেছে।

ভারতে জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ মূলত ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।


উপসংহার

জামাত-ই-ইসলামির ইতিহাস বহুমাত্রিক—একদিকে এটি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছে, আবার অন্যদিকে বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিল। বর্তমানে দলটি বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে, তবে বাংলাদেশে এটি কার্যত নিষ