Скачать или смотреть কোরবানির ইতিহাস দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী History of kurbani, Prophet Ibrahim's son

কোরবানির ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং এর সূচনা হযরত আদম (আ.)-এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের ঘটনা থেকে পাওয়া যায়। ইসলামে, কোরবানি হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবেহ করা, যা ঈদুল আজহার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কোরবানির ইতিহাস:
হযরত আদম (আ.)-এর পুত্র হাবিল ও কাবিল তাঁদের পশু ও শস্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
হাবিলের কোরবানি কবুল হওয়ার মাধ্যমে কোরবানির সূচনা হয়, যা আকাশ থেকে আসা অগ্নিশিখা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
ইব্রাহীম (আ.)-এর ঘটনা কোরবানির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে, আল্লাহর নির্দেশে একটি পশু কোরবানি করা হয়, যা ইব্রাহীম (আ.)-এর আনুগত্য ও ত্যাগের প্রতীক।
কোরবানির তাৎপর্য:
কোরবানি হলো আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও ভালোবাসার প্রকাশ।
এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করার একটি মাধ্যম।
কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়া (আল্লাহভীতি) ও আত্মত্যাগের শিক্ষা লাভ করা যায়।
কোরবানির নিয়ম:
জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে নির্দিষ্ট পশু (যেমন: উট, গরু, ছাগল, ভেড়া) কোরবানি করা হয়।
কোরবানির পশু অবশ্যই সুস্থ ও ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
কোরবানির মাংস আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সুতরাং, কোরবানি শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং এটি গভীর আধ্যাত্মিক ও সামাজিক তাৎপর্য বহন করে।