Скачать или смотреть প্রবাসীর স্ত্রী সন্তান হত্যাকারীর জবানবন্দী শুনে কাঁদলেন পুলিশ ||

#Banglamedia
প্রবাসীর স্ত্রী সন্তান হত্যাকারীর জবানবন্দী শুনে কাঁদলেন পুলিশ ||
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার (আবদার) এলাকায় রাতে ঘরে ঢুকে মোবাইল চুরির সময় চিনে ফেলায় মা ও তিন সন্তানকে জবাই করে হত্যা করে পারভেজ (২০)। এছাড়া হত্যার পর সে দু’জনকে ধর্ষণও করেছে।
গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে পারভেজ।
রোববার রাতে উপজেলার আবদার এলাকা থেকে পারভেজকেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকার কাজিম উদ্দিনের ছেলে। সে একাই চারটি খুন করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল নিজ বাড়ি থেকে প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ফাতেমা (৪৫), বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওয়ারিন(১২) ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিলের (৮) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, পারভেজকে গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বসতঘর থেকে রক্তমাখা কাপড়, মাটির নিচ থেকে মোবাইল ফোন, তিনটি গলার চেইন, কানের দুল ও লুট করা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে। পারভেজ জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সংবাদ সম্মেলন করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
জবানবন্দিতে পারভেজ জানায়, ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার সময় কাজলের স্ত্রী ও বড় মেয়ের টাচ মোবাইল চুরির উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী বাবুলের বাড়ির পেছনে যায়। সেখান দিয়ে ওই বাড়ির ছাদে ওঠে। পরে নিজের কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে ছাদে কাপড় শুকানো রশি কাটে। রশি ছাদের গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে দোতলার বাথরুমের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ভেতরে ঢুকে। পরে সে নুরা ও হাওয়ারিনের রুমে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। তখন নুরার কানে হেডফোন ছিল ও ছোট বোন হাওয়ারিন ঘুমিয়ে ছিল। আনুমানিক ১ ঘণ্টা পর সবাই ঘুমিয়েছে ধারণা করে সে নিচ তলায় নেমে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে মোবাইল নেওয়ার জন্য দোতলায় ওঠে। ঘরের দরজা খোলার শব্দে স্মৃতি ফাতেমা জেগে উঠে বাথরুমে ও আশপাশ কেউ আছে কিনা খোঁজ করে। স্মৃতি ফাতেমা তাকে চিনে ফেললে চিৎকার দেয়। তখন সে বটি দিয়ে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপায়। তিনি অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। শব্দ পেয়ে নুরা ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে নুরার ছোট ভাই ফাদিল জেগে উঠলে তার মাথায় কোপ মারে, সে ফ্লোরে পড়ে গেলে তাকে জবাই করে নুরার খাটের নিচে রাখে। তারপর হাওয়ারিন ঘুম থেকে জেগে উঠে চিৎকার দিলে তাকেও কোপায়। পরে সে নুরাকে ধর্ষণ করে। নুরার মাকেওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে অর্ধমৃত হাওয়ারিনকেও ধর্ষণ করে। মৃত্যু নিশ্চিতকরার জন্য সবাইকে গলা কেটে হত্যা করে।
এরপর নুরার মার গলায় একটি স্বর্ণেরচেইন, কানের দুল ও একটি কান ফুল ও একটি নাক ফুল খুলে নেয়। হাওয়ারিনের কান থেকেও স্বর্ণের রিং খুলে নেয়। পরে আলমারি খুলে দুটি স্বর্ণের চেইন, একটি আংটি, একটি লাল রংয়ের ছোট ডাইরি, নুরার মায়ের রুম থেকে দু’টি বড় টাচ মোবাইল নেয়। এরপর সে হাত মুখ ধুয়ে পেছনের গেট খুলে নিজ বাড়ি চলে যায়।