হবিগঞ্জ লক্ষীবাওড় জলাবন (বানিয়াচং হরতির জঙ্গল) || Lokkibawor Jolaban (Baniyachong Horotir Jongal)

Описание к видео হবিগঞ্জ লক্ষীবাওড় জলাবন (বানিয়াচং হরতির জঙ্গল) || Lokkibawor Jolaban (Baniyachong Horotir Jongal)

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার লক্ষ্মী বাওর সোয়াম্প ফরেষ্ট (জলাবন) হতে পারে আকষর্ণীয় একটি পর্যটন স্পট। বানিয়াচং উপজেলার প্রান্ত সীমানায় খড়তি নদীর দক্ষিণ দিকে বিরাট হাওরের মধ্যে অবস্থিত এই জলাবন এলাকাবাসীর নিকট খড়তির জঙ্গল নামেও পরিচিত। কখন এই জঙ্গল সৃস্টি হয় তা প্রবীণরাও বলতে পারেন না। এখানে প্রকৃতির এই বিচিত্র রূপ সত্যিই বিস্ময়কর। বর্ষাকালে চারদিকে হাওরের পানি আর জঙ্গলের অসংখ্য গাছপালার সবুজ অরণ্য পরিবেশকে এক নান্দনিক রূপ দিয়েছে। হাওরে দূর থেকে জঙ্গলটিকে দেখে মনে হবে যেন পানির উপর ভাসছে। হিজল, কড়চ, বরুণ, কাকুরা, বউল্লা, খাগড়া, চাইল্লা, নল ইত্যাদি অসংখ্য গাছ ও গুল্মে পরিপূর্ণ এই জলাবন বলতে গেলে এতদিন অনাবিস্কৃতই ছিল। ইদানিং সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার“রাতারগুল” নামক সোয়াম্প ফরেষ্ট বা জলাবন সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বানিয়াচং এর লক্ষ্মী বাউর জলাবনেরসাথে এর সামঞ্জস্য খুজে পাওয়া যায়। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টকে কেউ কেউ দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেষ্ট হিসাবে উল্লেখকরলেও ওয়াকেবহাল মহলের মতে বানিয়াচংয়ের লক্ষ্মী বাউর সোয়াম্প ফরেষ্ট একই শ্রেণীভুক্ত এবং অনেক বড়। বর্ষাকালে কয়েকমাস বনের গাছপালা পানিতে নিমজ্জিত থাকে। বনের ভিতরে কয়েকটি খাল ও বিল রয়েছে। এগুলোর স্বচ্ছ পানিতে জঙ্গলের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। শরৎকালে পানি শুকিয়ে গেলেও বনের ভিতরে থাকা অনেকগুলো বিলে পানি জমে থাকে। বিলগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। এই জলাবনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী জীবজন্তু। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মেছোবাঘ, শিয়াল, গুই সাপ, কেউটে, লাড্ডুকা, দারাইশ সহ বিষধর সাপ। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের বক, পানকৌড়ী, বালিহাঁস দেখা গেলেও শীতকালে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় নির্জন এই জলাবন। এছাড়া বনটিকে দেশী ও অতিথি পাখির অভয়ারন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ পাখি শিকার করলে ৫হাজার টাকা জরিমানা ||

চারিদিকে শুধু জল আর জল। এরই মাঝে হিজল আর করচের বাগান। সেখানে পশু আর পাখির বিচরণ। এমন একটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জায়গা হল হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার লক্ষীবাওর জলাবন। যা সিলেটের রাতারগুলের চেয়েও আয়তনে বড় এবং বৈচিত্রে ভরপুর। পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ এই জলাবন।

এই সেদিনও সিলেটের বাইরে রাতারগুলের নাম জানত না ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। আর এখন তো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পটের একটা রাতারগুল। সেই জনপ্রিয়তার মাত্রা এতটাই যে পর্যটকের ভিড়ে ধ্বংস হতে বসেছে গোয়াইনঘাটের এই জলাবনটির পরিবেশ ও প্রতিবেশ। মনে হচ্ছে লক্ষ্মীবাউরেরও একই পরিণত হবে।
বলা হচ্ছে, আয়তনে লক্ষ্মীবাউর রাতারগুলের চেয়ে বড়। দাবি সত্য হলে এটিই দেশের সবচেয়ে বড় জলাবন। হবিগঞ্জ থেকে বানিয়াচং ১২ মাইল। এই বানিয়াচংয়ের আদর্শ বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে খড়তি। নদীটির দক্ষিণে বিরাট এক হাওরের মধ্যে এই জলাবন। বর্ষাকালে দূর থেকে মনে হয় পানিতে ভাসমান অপরূপ এক বন, শুকনা মৌসুমে আবার অন্য চেহারা, এলাকাবাসীর কাছে খড়তির জঙ্গল নামে পরিচিত এই বনে দিব্যি চরে বেড়াচ্ছে গরু–ছাগল। এই বনে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও সরীসৃপের বাস, আর আছে জলার গাছ হিজল, হাজারে হাজার।

দুর্গম হওয়ায় বনটার খবর বাইরের মানুষ আগে তেমন একটা জানত না। সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় এই জলাভূমি দেখতে এখন প্রতিদিনই আসছে শত শত পর্যটক। সামনে যোগাযোগব্যবস্থা আরও ভালো হবে। আদর্শবাজার থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবমার্সিবল সড়ক হচ্ছে। লক্ষ্মীবাউরের মধ্য দিয়েই এটি যাবে। আর লোহাচূড়া নদীর ওপর ব্রিজ হয়ে গেলে আরও সহজ হবে যোগাযোগ। পর্যটকদের থাকা–খাওয়ার তেমন কোনো ব্যবস্থাও বর্তমানে এখানে নেই। তবে প্রশাসন বলছে, বসার শেড, শৌচাগার করা হবে। ফলে সহজেই অনুমেয়, সামনে পর্যটকদের একটা ঢল নামবে। লক্ষ্মীবাউর হয়ে উঠবে হট পিকনিক স্পট। এখনই যার লক্ষণ স্পষ্ট। নির্বিচারে বনে ঢুকছে পর্যটকের দল, যেখানে–সেখানে আগুন জ্বালিয়ে রান্না হচ্ছে, উচ্চ শব্দে বাজানো হচ্ছে গানবাজনা, প্রতিনিয়ত নোংরা হচ্ছে বন। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।
আরেকটা বড় সমস্যা দখল। এই বনের পুরোটাই খাসজমি হলেও নানা উপায়ে ব্যক্তিমালিকানায় চলে গেছে অনেক জায়গা। অনেক জায়গা নিয়ে মামলা চলছে। এই আইনি জটিলতার ফাঁক দিয়ে ইজারা দেওয়া হচ্ছে জলাশয়, নির্বিচার কাটা হচ্ছে গাছ, গাছের ডালপালা। সত্যি বলতে কি, বনে এখন অক্ষত গাছ খুঁজে পাওয়াই কঠিন, অধিকাংশই ন্যাড়া। ধীরে ধীরে এভাবে কমে আসছে বনের পরিধি।
লক্ষ্মীবাউর পর্যটন ও বনজ সম্পদ আহরণকে তাই নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। না হলে বেওয়ারিশ বনটাই হয়তো একসময় ‘নাই’ হয়ে যাবে।

কিভাবে যাওয়া যায়ঃ
হবিগঞ্জ থেকে ১২ মাইল দূরবর্তী বানিয়াচং উপজেলা সদরের আদর্শ বাজার নৌকাঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তরে হাওরের মাঝে এ জলাবন দেখতে বর্ষাকালে নৌকা, শরৎকালে মোটর সাইকেল, ট্রলিসহ হালকা যানবাহনে ও পায়ে হেটে যেতে হয়।

আমি
IqBal Ahmed
FACEBOOK ID   / athukura  

Adventures Of Iqbal
চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করেন এবং লাইক, কমেন্ট করবেন।।
   / @voboghure9  

হবিগঞ্জের শিশু শিল্পীর মাথানষ্ট গানটি দেখুন.....
   • হবিগঞ্জের শিশু শিল্পী..... ২ বছর পর দ...  

পাহাড়ে গিয়ে গান.......
   • দেখেছি রূপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোন...  

পায়ে হেটে শিমুল বাগান.....
   • পায়ে হেটে শিমুল বাগান || Shimul bagan  


♠নোটঃ
🚯 প্রকৃতিকে তার মতো থাকতে দিন, দয়া করে কোথাও ঘুরতে গিয়ে ময়লা আবর্জনা ফেলে তার সুন্দর পরিবেশটাকে নষ্ট করবেন না, ঘুরতে গিয়ে নিজের পদচিহ্ন ছাড়া কোথাও কিছু ফেলে আসবেন না, ধন্যবাদ ভালোবাসা অবিরাম।
#Happy_Travelling 🏍🚗✈️🌍

Комментарии

Информация по комментариям в разработке