Скачать или смотреть ফার্নিচার জগৎ।। দেখে কিনবা ।। আকাশমনি কাঠের ফার্নিচার জগৎ @ @ @ # # # ?????

আকাশমণি কাঠ (Acacia auriculiformis) বর্তমানে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার দ্রুত বর্ধনশীল প্রকৃতি ও সহজলভ্যতার কারণে। ফার্নিচার তৈরিতে এই কাঠের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। নিচে আকাশমণি কাঠের ফার্নিচার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:

Akashi Furniture price in bangladesh
---

আকাশমণি কাঠের ফার্নিচারের বৈশিষ্ট্য:

১. কাঠের ধরন ও গুণমান:

মাঝারি শক্ত ও ঘন কাঠ।

কাঠটি হালকা লালচে-বাদামি রঙের।

প্রক্রিয়াজাত করলে এটি মসৃণ ও পালিশযোগ্য হয়।

ঘরের ভেতরের ব্যবহারের জন্য উপযোগী, যেমন: আলমারি, খাট, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি।


২. ফার্নিচারে ব্যবহারযোগ্যতা:

সহজ প্রক্রিয়াজাতকরণ: কাটাই, ঘষাই, খোদাই এসব কাজ তুলনামূলকভাবে সহজ।

কারুকার্য নয়, সোজাসাপ্টা নকশায় ভালো: কাঠটি অতটা নরম নয়, তাই জটিল খোদাইয়ে সীমাবদ্ধতা আছে।

রঙ ও পালিশ: রঙ ধরার ক্ষমতা ভালো, তাই কৃত্রিমভাবে সেগুন বা মেহগনি লুক দেওয়া সম্ভব।


৩. স্থায়িত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণ:

ঘরের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে ১০–১৫ বছর পর্যন্ত টিকে যেতে পারে নিয়মিত যত্নে।

ঘুণপোকা প্রতিরোধে মাঝারি মানের, তবে প্রক্রিয়াজাত কাঠ (ট্রিটেড উড) হলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আর্দ্রতা বা পানি লাগলে সমস্যা হতে পারে, তাই শুকনো জায়গায় রাখা উত্তম।


৪. মূল সুবিধা:

দাম: সেগুন বা গামারি কাঠের তুলনায় অনেক সস্তা।

সহজলভ্যতা: দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজেই পাওয়া যায়।

পরিবেশবান্ধব: দ্রুত বেড়ে ওঠে, পুনরায় রোপণযোগ্য।


৫. অসুবিধা:

দীর্ঘমেয়াদে কাঠ কিছুটা বাঁকতে বা ফাটতে পারে।

বাইরের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয় (যেমন গার্ডেন ফার্নিচার)।

বেশি ওজন বা ধাক্কা সহ্য করার ক্ষমতা সীমিত।

আকাশমণি কাঠের ফার্নিচার হল কম খরচে সুন্দর এবং ব্যবহারিক ঘরের আসবাব তৈরির একটি ভালো উপায়। যাদের বাজেট সীমিত এবং যারা নরমাল ইউজে টেকসই ফার্নিচার চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প।

আপনি কি এটি দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ডিজাইনের আসবাব তৈরি করতে চান? চাইলে কিছু নমুনা ডিজাইন বা পরিকল্পনা দিতেও পারি।