Скачать или смотреть প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বীর তিলকা মাঝির ইতিহাস। ১১- ফেব্রুয়ারী জন্মদিন।

প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বীর তিলকা মাঝির ইতিহাস। ১১- ফেব্রুয়ারী তিলকা মাঝির জন্মদিন। #Ambedkar #Tilka_Majhi

আজ ১১, ফেব্রুয়ারী বীর শহীদ তিলকা মাঝির জন্মদিন।
তিলকা মাঝি যার আসল নাম জবরা পাহাড়িয়া।
ব্রিটিশ আর দেশি মনুবাদী জমিদার দালালদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম দিকের বীর শহীদ তিলকা মুর্মু।

১১ ফেব্রুয়ারী, ১৭৫০ সালে তিলকা মাঝির জন্ম হয় বিহার রাজ্যের ভাগলপুর জেলার সুলতানগঞ্জ থানার অধীন তিলকপুর গ্রামে(ব্রিটিশ ভারত)।

ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে আদিবাসী মূলনিবাসী জনগোষ্ঠীরাই প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করেছিলো।

১৭৮৪ সালে, জানুয়ারি মাসে ভাগলপুরের ইংরেজ কালেক্টর অগাস্ট ক্লিভল্যান্ডকে হত্যা করে তিলকা মাঝি, লম্বা সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন তিলকা মাঝি, শেষে ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়ে।
এমনটা শোনা যায়, তিলকা মাঝিকে ঘোড়ার পিছনে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো, তারপর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

কি নির্মম মৃত্য, কতজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ইতিহাস এমন ইতিহাস??

হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ আদিবাসীরা প্রাণ দিয়েছে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে, কিন্ত আদিবাসীদের আন্দোলন গুলো কখনোই রাষ্ট্রীয় স্তরে প্রচারে আসেনি, স্বীকৃতিও পায়নি।
আদিবাসীরা শুধুমাত্র আদিবাসীদের জন্য আন্দোলন করেনি, আদিবাসীদের আন্দোলন ব্রিটিশদের শাসন অত্যাচার হতে মুক্তি পেতে সেই সঙ্গে ভারতবর্ষের মধ্যে থাকা ব্রিটিশদের দালাল জমিদার গোষ্ঠীদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার আন্দোলন।

প্রশ্ন হলো ভারতের মধ্যে থাকা এই জমিদার গোষ্ঠী কারা??

এরা সেইসব লোকজন, আজকে যারা নিজেদের রাষ্ট্রবাদী বলে প্রচার করছে, দেশ ভক্ত বলে প্রচার করছে।

আদিবাসীদের মূলনিবাসীদের আসল ইতিহাস লেখা হয়নি, সামনে আসেনি।
টুকটাক যা লেখালেখি হয়েছে তাতে - আদিবাসীদের ইতিহাসকে সবসময় আদিবাসীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, আর সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে এইসব ইতিহাস আদিবাসীদের ছোটোখাটো গল্প বলেই প্রচার করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আজকাল ইতিহাস লেখা হচ্ছে প্রচার হচ্ছে নতুনভাবে, যারা ব্রিটিশদের দালালি করেছে, ব্রিটিশদের সঙ্গে মিলেমিশে ভারতবর্ষের মূলনিবাসীদের উপর জুলুম অত্যাচার শোষণ করেছে তাদেরকে বীর হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।

কিন্ত তিলকা মাঝি, বিরসা মুন্ডারা কখনোই ব্রিটিশদের শাসনকে মেনে নেয়নি।
তীর ধনুক নিয়ে ব্রিটিশদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের বিরুদ্ধে সামনাসামনি লড়াই করেছে আদিবাসীরা, আদিবাসী হাজার হাজার নির্বিচারে হত্যার শিকার হয়েছে, ফাঁসিতে ঝুলেছে।

আমরা যাদের ইতিহাস পাঠ্য পুস্তকে পড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস ভাবি, তার থেকেও অনেক বছর আগেই আদিবাসীদের বিরুদ্ধে আদিবাসীরা স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছে, আর সেই লড়াই ব্রিটিশ শাসক আর ভারতবর্ষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মনুবাদী জমিদার শাসকদের বিরুদ্ধে আসল স্বাধীনতার ইতিহাস।

বহুজন মূলনিবাসীদের কলমেই বহুজনের ইতিহাস লিখতে হবে, আসল ইতিহাস লিখতে হবে।

ভারতবর্ষের ইতিহাস সম্পূর্ণরূপে নতুনভাবে লিখতে হবে: বহুজন সমাজের মানুষদের কলমেই সেই ইতিহাস লিখতে হবে।