Скачать или смотреть রাধারমণ দত্ত; বাংলার লোকসংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি। Radharaman Dutta

আজ ২৬ মে—এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক অনন্য সুরস্রষ্টা, কবি ও সাধক, যিনি বাংলা লোকসঙ্গীতকে অসামান্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি রাধারমণ দত্ত।

রাধারমণ দত্তের জন্ম ১৮৩৩ সালের ২৬ মে, সিলেট জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। পিতা রামদাস দত্ত ছিলেন একজন বৈষ্ণব সাধক এবং গীতিকার। শৈশব থেকেই রাধারমণ সংগীত, সাহিত্য এবং আধ্যাত্মিক চেতনার মধ্যে বেড়ে ওঠেন। হেমন্তে পল্লির ধানক্ষেতে, বর্ষায় নদীর ধারে বসে তাঁর হৃদয় সংগীতের বীণায় বাজতে থাকে।

রাধারমণ ছিলেন বাউল, বৈষ্ণব ও সুফি ভাবধারার মিলিত ধারা। তিনি ‘দেহতত্ত্ব’ ও ‘ভক্তিতত্ত্ব’ মিলিয়ে এক নতুন ঘরানার স্রষ্টা। তাঁর গানগুলোতে দেখা যায় ঈশ্বর, প্রেম ও মানবজীবনের গভীরতম সত্যের অন্বেষণ।

🎶 তাঁর কালজয়ী গান:

“ভেবে দেখ রে মন, প্রাণ পাখি যায় উড়িয়া”

“আমি কী ভুলে যাই মা জননীর কোলে”

“শ্যামা মায়েরে চিনে না যেই জন…”

তিনি প্রায় ২,০০০-এরও বেশি গান রচনা করেন, যেগুলো আজও পূর্ববাংলার গ্রামবাংলায় বাউলদের কণ্ঠে গীত হয়।

রাধারমণ দত্ত শুধু গান লেখেননি, তিনি একধরনের জীবনদর্শন দিয়েছেন। তাঁর গানে যেমন প্রেম আছে, তেমনি আছে জগৎ ত্যাগের বার্তাও। যেমন একদিকে শ্যামা মায়ের গান, অন্যদিকে রয়েছে সুনির্মল প্রেম ও দেহতত্ত্বের গান। তাঁর সংগীত আজও লোকসঙ্গীতের প্রাণ।

রাধারমণ দত্ত ১৯১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তাঁর গান অমর হয়ে রয়ে গেছে। আজকের প্রজন্মও যখন তাঁর গানে মুগ্ধ হয়ে যায়, তখন বোঝা যায়, সত্যিকারের শিল্প কখনো মরে না। বাংলা সংস্কৃতি যতদিন থাকবে, ততদিন রাধারমণ থাকবেন বাংলার বাউল ও প্রেমিক হৃদয়ে।

রাধারমণ দত্তের জন্মদিনে আসুন, আমরা তাঁর গান শুনি, তাঁর দর্শন ভাবি, আর এই মহান শিল্পীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

রাধারমণ দত্ত; বাংলার লোকসুরের কবি।

#literatur
#song
#BaulGaan
#radharamanDutta
#sylhet
#Jagannathpur
#লোকসংগীত
#রাধারমনদত্ত
#বাংলারবাউলগান