Скачать или смотреть Grambanglarkhabar # ধর্ষণের মামলা তুলে না নেওয়ায় দুষ্কৃতি হামলা

ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় দুষ্কৃতিদের আক্রমণ, গুলিবিদ্ধ পাঁচ

ওয়েব ডেস্ক : ধর্ষণ কেসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিতে হবে। এই দাবিতে পরিবার ও গ্রামবাসীদের উপর এসে হামলা চালালো কয়েকজন দুষ্কৃতি। এ ঘটনায় জখম হয়েছেন পাঁচজন। এদের সকলের দেহেই গুলির আঘাতের চিহ্ন আছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার তিন নম্বর বলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দেড়মাস আগে এক ১৪ বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতি। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চারদিন পর উদ্ধার হয় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় মূল অভিযোগ ওঠে এলাকারই কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। যাদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত হলো ফিরোজ মোল্লা। রবিবার ফিরোজ মোল্লাকে গ্রেফতার করে বাসন্তী থানার পুলিশ। ফিরোজ মোল্লা গ্রেফতার হতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে তার বাড়ির লোকজন। এরপর ফিরোজ মোল্লার বাড়ির লোকজন এবং অন্যান্য অভিযুক্ত এসে হামলা চালাতে শুরু করে ধর্ষিতা ওই নাবালিকার বাড়ি ও তার আশপাশ এলাকায়। এই ঘটনায় যারা নাবালিকার পক্ষে তাদের গুলি করে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। ওই হুমকিতে কাজ না হওয়ায় টাকাপয়সা দিয়ে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও কিছুতেই মামলা তুলে নিতে রাজি হয়নি ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকালে দুষ্কৃতিরা হামলা চালায় ওই গ্রামে। চলে এলোপাতাড়ি গুলি। সেই গুলিতে আহত হয় কুরবান সরদার, রহিম সর্দার, মজিদ সরদার, নন্দিনী নায়া ও আব্দুল করিম নামে পাঁচ গ্রামবাসী। ঘটনার পর ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ২১ জনের নামে বাসন্তী থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। আহত পাঁচজনকে মঙ্গলবার রাতে প্রথমে বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আহতরা। সকলের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন আছে। রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে একজনের মাথাতেও। সকলের শরীরে ছড়াগুলি বিঁধে আছে এখনও। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে খবর, অপারেশন করে বের করা হবে ওইসব গুলি। আহত আব্দুল করিম বলেন, আমাদের বারবার হুমকি দিচ্ছিল ওই দুষ্কৃতিরা। কিন্তু আমরা তাদের হুমকিতে নত না হওয়ায় আমাদের এসে হঠাৎই আক্রমণ করেছে।
এই ঘটনায় আহত ধর্ষিতার কাকা মজিদ সরদার বলেন, চারদিন পরে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কোনমতে প্রাণে বেঁচে যায় সে। আর সেই মামলা তোলার জন্য হুমকি দিচ্ছে দুষ্কৃতিরা। টাকা বিনিময়ে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তাতে রাজি না হওয়ায় এদিন আক্রমণ করেছে।