Скачать или смотреть জিলহজ মাসে আরাফার দিনের স্পেশাল ২ টি আমল । কখনো মিস করবেন না by Dini Amol

জিলহজ মাসে আরাফার দিনের স্পেশাল ২ টি আমল । কখনো মিস করবেন না #Dini_Amol

১। আরাফার দিন বেশি বেশি দোয়া করাঃ

আরাফার দিনের দোয়ার বিশেষ গুরুত্বের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ স. বলেছেন, ‘আরাফাতের দিনের দোয়াই শ্রেষ্ঠ দোয়া। দোয়া-জিকির হিসেবে সর্বোত্তম হলো ওই দোয়া, যা আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ করেছেন। তা হলো-

দোয়া- লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদির।

অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তারই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (জামে তিরমিজি- ৩৫৮৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি- ৩৭৭৮)

ইবনে আব্দুল বার রহ. বলেন, এ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আরাফার দিনের দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হবে।


২। আরাফার দিন রোজা রাখাঃ

আরাফার দিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো রোজা। এদিন একটি রোজা রাখলে বান্দার দুই বছরের গুনাহ মাফ হয়। আল্লাহর রাসুল স. বলেন, ‘আরাফার দিনের (৯ জিলহজের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।
(সহিহ মুসলিম-১১৬২)

তবে, মহানবী সা. আরাফায় অবস্থানকালে এই রোজা রাখেননি। আরাফায় যারা অবস্থান করবেন, তারা যদি রোজা রাখেন, তাহলে হয়ত অন্যান্য ইবাদত রয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতে তাদের কষ্ট হতে পারে। তাই আরাফায় যারা অবস্থান করবেন, তাদের জন্য রোজা না রাখাটাই উত্তম।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আরাফার দিনের গুরুত্ব উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। উপরোক্ত দোয়াটি বেশি বিশ পাঠ করার পাশাপাশি রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।