Скачать или смотреть [ পুরো গল্প ] মুরগির ডিম ভেবে যা পেল, তা দেখে দুনিয়া থমকে গেল!

সে ভাবছিল, ওর মুরগিটাই বোধহয় এই ছোট্ট ডিমটা দিয়েছে। কিন্তু যখন সেটা ফোটে, যা বের হলো—তা গোটা দুনিয়াকে চমকে দেয়।

অস্ট্রেলিয়ান কৃষক ম্যাগি হার্পার সকালে তার মুরগির খোঁয়াড়ে ঢুকে এক অদ্ভুত ছোট ডিম দেখতে পান। শুরুতে তিনি ভেবেছিলেন এটা হয়তো "ফেরি এগ"—যেটা অনেক সময় মুরগির প্রথম ডিম পাড়ার সময় হয়। কিন্তু তাড়াতাড়িই বুঝতে পারেন, এই খোঁয়াড়ে এমন কিছু হওয়ার কথা না।

ডিমটা ছিল অস্বাভাবিক রকম ছোট, আর এর গায়ে ছিল অদ্ভুত এক ধরনের টেক্সচার—যেটা তার বহু বছরের কৃষিকাজে আগে কখনও দেখেননি। কৌতূহলবশত, ম্যাগি সেই ছোট্ট ডিমটাকে একটি হিট ল্যাম্পের নিচে রেখে দেখার সিদ্ধান্ত নেন, কী হয় না হয়।

দিনের পর দিন কেটে যায়, কিছুই ঘটে না। ম্যাগি প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, ভাবছিলেন ডিমটা ফেলে দেবেন।

কিন্তু এক সন্ধ্যাবেলা, যখন তিনি হিট ল্যাম্প বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ খেয়াল করেন—ডিমটার মধ্যে কিছু নড়ছে, ফাটলেও ধরেছে!

যা ফোটে, তা দেখে ম্যাগির চোখ কপালে উঠে যায়—তার শান্ত খামারের জীবন একেবারে পাল্টে যায়।

ডিম থেকে বের হয় একটা ছোট্ট টিকটিকির মতো প্রাণী!

তিনি সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পশু চিকিৎসককে ডাকেন। চিকিৎসক জানান, ওটা একটি বাচ্চা ইকিডনা—বিশ্বের বিরল ডিম পাড়া স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলোর একটি।

কিন্তু এই ইকিডনার ডিম মুরগির খোঁয়াড়ে এল কীভাবে, সেটা একেবারেই রহস্য। কারণ ইকিডনারা সাধারণত তাদের ডিম নিজেদের পাউচে রেখে দেয়।

চারপাশে কোনো মা ইকিডনা না থাকায়, ম্যাগি নিজেই সেই অদ্ভুত প্রাণীটিকে বড় করতে থাকেন। যতদিন না সে নিজের যত্ন নিতে পারে, ততদিন তাকে আগলে রাখেন।

একসময় বড় হয়ে গেলে, ইকিডনাটিকে তিনি ছেড়ে দেন।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো—ও এখনো খামারেই থাকে, আর নিয়ম করে ম্যাগিকে দেখতে আসে।

সেই এক অদ্ভুত সকালটা এক রহস্যময় বন্ধুত্বের শুরু হয়ে যায়।