Скачать или смотреть #Today_bangla_news

#Today_bangla_news||সেজান কারখানায় আর লাশ পাওয়া যায়নি, অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা || Rupganj factory fire||
#Ttvnews #banglanews #bangladeshnews #Todaynews #Latestnew

ভিডিও সম্পকে বিস্তারিত জানতে নিচের দেওয়া লিংক এ প্রবেশ ক্রুনঃ
https://www.dailynayadiganta.com/dhak...

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারাখানার আগুন ৪৮ ঘণ্টা পর সম্পূর্ণ নেভানো হয়েছে বলে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার নতুন করে কোনো লাশ ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়নি।


শনিবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলাসহ পুরো ভবনটিতে তল্লালি চালিয়ে নতুন করে আর কোনো লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনটিতে সর্বশেষ তল্লাশি চালিয়ে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলার কারণে ভবনের পঞ্চম তলার ছাদের একটি বড় অংশ ধসে পড়েছে।



একই কারণে পুরো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্মন। তিনি বলেন, ভবনটিতে যেসব পণ্য উৎপাদিত হতো তাতে প্লাস্টিক, রেজিন, প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের মোড়কসহ দাহ্য পদার্থ, কেমিক্যাল ও তেল জাতীয় পদার্থ থাকার কারণে দীর্ঘ সময় লেগেছে আগুন নেভোতে।


বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় টানা ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণনেভাতে সক্ষম হয়।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) ও তদন্ত কমিটির প্রধান লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, সেজান জুস কারখানার ভেতরে মেশিন, গোডাউন ও কেমিক্যাল এক সাথে রাখার কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। কারণ কারাখানার প্রতিটি ফ্লোরে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ স্তুপ করে রাখা হয়েছিল।



তিনি বলেন, মালামাল স্তুপ করে রাখার কারণেই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া কেমিক্যালসহ দাহ্যপদার্থ ও প্লাস্টিক, ফয়েল কাগজ, কার্টনসহ বিভিন্ন মালামাল থাকার করণে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। যে কারণে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

ভিডিও টি ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করুন|

তিনি আরো বলেন, ভবন নির্মাণে ত্রুটি ছিল। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, অগ্নি দুর্ঘটনার পরই মৃত ও আহতদের পাশে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, নিহতদের স্বজন থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো নিহতদের নমুনার সাথে ম্যাচ করে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে যত দ্রুত সম্ভব লাশ হস্তান্তর করা হবে।

আহত যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের চিকিৎসার তদারকি করছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জের কর্ণগোপে হাসেম ফুড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে সাত তলা ভবন থেকে ৪৯ জনের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয় শুক্রবার। এছাড়া প্রথম দিন ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আরো তিন জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট ৫২ জন মারা যায় এই দুর্ঘটনায়। আগুনের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ আটজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে শনিবার চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।