উমা...একটি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন পর্ব

Описание к видео উমা...একটি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন পর্ব

জীবনে একটি মাত্র ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও সারা বিশ্ব কুর্নিশ করে পর্দার ‘দুর্গা’কে। গত সপ্তাহে তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিশ্বের তামাম সিনে জগৎ। তবে ‘পথের পাঁচালি’তে অভিনয়ের জন্য একটি টাকাও পারিশ্রমিক নেননি উমা দাশগুপ্ত (সেন)। বাবার কড়া নিষেধ ছিল যে। তার বদলে সত্যজিৎ রায়ের থেকে একসেট রবীন্দ্র রচনাবলি পেয়েছিলেন। সঙ্গে আরও কিছু উপহার, প্রশংসা আর ভালোবাসা। উমার অভিনয়ে হাতেখড়ি নাটক দিয়ে। স্কুলবেলায় থিয়েটার করতেন। তা বলে মোহনবাগানের নামী ফুটবলার পল্টু দাশগুপ্তের মেয়ে সেলুলয়েডে অভিনয় করবেন, তা প্রথমে মেনে নিতে পারেননি অভিভাবকরা। তাই অনুমতিও দেননি। তবে মত বদলান বেশ কয়েকটি কারণে। প্রথমত, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পৌত্র, সুকুমার রায়ের পুত্রের প্রথম কাজ। দ্বিতীয়ত, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প। রাজি হয়েছিলেন পল্টু দাশগুপ্ত। শ্যুটিং পর্বেই সত্যজিৎ রায় উপলব্ধি করেছিলেন, উমা দাশগুপ্তের অভিনয় প্রতিভা সহজাত। দুর্গার নিষ্পাপ দৃষ্টি, কোমল মুখে সুখ-দুঃখ মিশ্রিত অভিব্যক্তি ছুঁয়ে যায় দর্শকহৃদয়। বাকিটা আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে ইতিহাসের খাতায়। ছবি মুক্তির পর বসুশ্রী প্রেক্ষাগৃহে তা দেখতে গিয়েছিলেন উমা। পাশেই বসেছিলেন পর্দার ‘অপু’ সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যায়, দুর্গার মৃত্যু দৃশ্যে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন দুই শিশুশিল্পী। একবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পল্টু দাশগুপ্ত। একজন অতিথি অপর একজনকে বলছেন, ‘এই দেখুন, দুর্গার বাবা।’ শোনা যায়, সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করে দিয়েছিলেন পল্টুবাবু। উমাকে ওঁদের দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এ হল মোহনবাগানের ফুটবলার পল্টু দাশগুপ্তের মেয়ে।’
বাকি তথ্যের জন্য শুনতেই হবে এই পর্ব...

তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা।
সূত্রধর: অর্ণব

Facebook:
  / etitomaderarnab  

Insta:
  / eti_tomader_arnab  

Youtube:
   / @etitomaderarnab8304  

Комментарии

Информация по комментариям в разработке