Скачать или смотреть ছাগলের পি পি আর রোগ | |GOAT PPR DISEASE | | রোগের লক্ষণ | | পি পি আর রোগের প্রতিকার | |

পিপিআর রোগ: ছাগলের মহামারি

#### পরিচিতি
পিপিআর (পেস্টে ডেস পেটিটস রুমিনান্টস) রোগটি একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ যা ছাগল ও ভেড়ার মতো ছোট রোমন্থক প্রাণীদের আক্রমণ করে। এ রোগটি বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কৃষকদের জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি করে, কারণ এটি দ্রুত সংক্রমিত হয় এবং মারাত্মক ক্ষতি করে।

#### পিপিআর রোগের কারণ
পিপিআর রোগটি প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, যা রেস্পিরেটরি ও লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে আক্রমণ করে। এটি পশুর মধ্যে মুখের ক্ষত, শ্বাসকষ্ট, এবং ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রামিত পশুর সান্নিধ্যে আসা, বাতাসে থাকা ভাইরাস, বা দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে।

#### লক্ষণ
পিপিআর রোগে আক্রান্ত ছাগলে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়:

1. *জ্বর*: হঠাৎ করে জ্বর ওঠা।
2. *মুখের ক্ষত*: মুখের অভ্যন্তরে ক্ষত দেখা দেয়, যা থেকে লালা ঝরে।
3. *শ্বাসকষ্ট*: পশুর শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং নাক দিয়ে মিউকাস বের হয়।
4. *ডায়রিয়া*: পশুর পাতলা পায়খানা হয়, যা জলীয় হতে পারে।
5. *দুর্বলতা*: পশুর শরীরে দুর্বলতা এবং অঙ্গহানি দেখা দেয়।

#### রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ
পিপিআর রোগ নির্ণয় করার জন্য সাধারণত ল্যাবরেটরি টেস্ট করা হয়। সন্দেহভাজন পশুর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য ছাগল ও ভেড়ার মাঝে নিয়মিত টিকা প্রদান করা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

#### চিকিৎসা
দুঃখজনকভাবে, পিপিআর রোগের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। সংক্রমিত পশুকে আলাদা রাখতে হবে এবং সাপোর্টিভ থেরাপি দিতে হবে, যেমন শরীরে পানির মাত্রা বজায় রাখা, পুষ্টিকর খাবার দেওয়া এবং সেকেন্ডারি সংক্রমণ রোধের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা।

#### আর্থিক প্রভাব
পিপিআর রোগের কারণে কৃষকদের অর্থনৈতিক ক্ষতি ব্যাপক। সংক্রমিত পশুর মৃত্যু বা উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার ফলে খামারিদের আয় কমে যায়। ফলে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

#### উপসংহার
পিপিআর রোগ একটি মারাত্মক সংক্রমণ যা ছাগল ও ভেড়ার স্বাস্থ্য এবং কৃষকদের জীবিকার জন্য হুমকি স্বরূপ। এটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক সময়ের মধ্যে টিকা প্রদান এবং পশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব।