Скачать или смотреть রুহের জগতে আমরা কেমন ছিলাম ?১মৃত্যুর পর আমাদের আত্মা কোথায় থাকবে?

আলমে আরওয়াহ বা রুহের জগত) সংক্রান্ত ধারণা ইসলামী পরিভাষায়, "রুহ" শব্দটি মানুষের আত্মা বা আত্মিক সত্তাকে বোঝায়, যা আল্লাহর সৃষ্টি এবং যা দেহের জীবনের মূল উৎস। রুহ হচ্ছে এমন এক অদৃশ্য সত্তা, যা দেহে অবস্থান করে এবং মৃত্যুর সময় দেহ থেকে বের হয়ে যায়। কুরআন এবং হাদিসে রুহ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে এর প্রকৃতি বা সঠিক পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি, কারণ এটি আল্লাহর জ্ঞানের অন্তর্গত।
রুহের জগত বলতে সেই অদৃশ্য ও আত্মিক জগতকে বোঝানো হয়, যেখানে দেহ ছাড়া আত্মারা অবস্থান করে। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর রুহ দেহ ত্যাগ করে এক অন্য জগতে চলে যায়, যাকে বারযাখ বা অন্তবর্তীকালীন স্থান বলা হয়। রুহ তখন কবর বা বারযাখ জগতে থাকে, যা কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
কুরআনে বলা হয়েছে
"আমি তাকে (মানুষকে) পুঁজি মাটির শুকনো মাটি ও কালো কর্দম থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রুহ ফুঁকে দিয়েছি, তখন তোমরা তার সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ো।"
(সুরা আল-হিজর, ২৮ও ২৯ নম্বর আয়াত।
পবিত্র কুরআনের আয়াত।

ওয়া ইজ আখাযা। রাব্বুকা মিম। বানি আ-দামা। মিন যুহূরিহিম্। যুররিয়্যা,তাহুম্। ওয়া আশ্‘হাদাহুম্। ‘আলা আনফুছিহিম্। আলাস্ তু। বিরাব্বিকুম্। ক্বালূ বালা, শাহিদনা।আনতাকূলূ। ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি। ইন্না কুন্না ।‘আন্ হাযা গাফিলীন।

অর্থ:
আপনার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পিঠ থেকে তাদের বংশধরদের বের করেছিলেন এবং তাদের নিজেদের উপর সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়েছিলেন (এবং প্রশ্ন করেছিলেন), ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই?’ তারা বলেছিল, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই! আমরা সাক্ষ্য দিলাম।’ এটা এজন্য যে, কিয়ামতের দিন তোমরা যেন বলতে না পারো, ‘আমরা তো এ সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম।’
“আমি কি তোমাদের প্রভু নই?” (সুরা আল-আরাফ, ১৭২ নম্বর আয়াত।

সব আত্মা একযোগে উত্তর দিয়েছিল, "হ্যাঁ, নিশ্চয়ই!" এটি মূলত ঈশ্বরের প্রতি আত্মসমর্পণ ও প্রভুত্বের স্বীকৃতি। এই ঘটনার মাধ্যমে, আত্মাগুলো আল্লাহ্‌র সাথে একটি বিশেষ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল।
আল্লাহ তাআলা মানুষের সৃষ্টি ও রুহ প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
"অতঃপর আমি তাকে (মানুষকে) সৃষ্টি করেছি এবং তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে রুহ ফুঁকে দিয়েছি। তখন তোমরা তার সামনে সিজদা করো।"
(সুরা সাদ, ৭২) নম্বর আয়াত।