আলোকিত মক্তব‘র শিক্ষার্থী ১ বছরে যা মুখস্থ করে
১/ ১১ থেকে ১৫ টি সূরা
২/ নামাজের সকল কাওয়ায়েদ ও দু‘আসমূহ
৩/ হাদিস ৪০ টি
৪/ মাসআলা ৪০ টি
৫/ মাসনুন দু‘আ ৪০ টি
৬/ জানাজার নামাজের দু‘আসমূহ
কুরআন শিক্ষাই হোক শিক্ষার সূচনা
কুরআনুল কারীম আল্লাহর কালাম। কুরআনকে কেবল ইবাদতগ্রন্থ বলা হয়নি; বলা হয়েছে পথপ্রদর্শক। এই কুরআনকে শুধু জায়নামাজে দাঁড়িয়ে পড়ার জন্য নাযিল করা হয়নি বরং জন্মের পর থেকে জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত মানুষকে তার প্রতিটি কদমে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্যই নাযিল হয়েছে। এক কথায় মানবতার ক্যাটালগ বা হেদায়াতগ্রন্থ।
কুরআন নিজে দামি ও সম্মানিত। কুরআনের সঙ্গ যে পায় সেও দামি ও সম্মানিত হয়। যেমন কুরআনের গিলাফ ইত্যাদি। যে বান্দা কুরআন পড়ে, কুরআন নিয়ে স্বপ্ন দেখে, কুরআনের খেদমত করে, কুরআন ও সুন্নাহর মতে জীবনযাপন করে সেও মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে কুরআন শিখে ও অন্যকে শেখায়।
অত্যন্ত কষ্টের বিষয় হলো, বর্তমানে কুরআনি শিক্ষাবর্জিত তথাকথিত আধুনিক শিক্ষার নগ্ন থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য, সকালের মক্তব। সকালের মক্তবে কচি কাচাঁদের সুললিত কণ্ঠে আরবী বর্ণমালার সেই আলিফ, বা, তা, ছা, কিংবা আলিফ-লাম-মিমের শ্রতিমধুর সুরে আর মুখরিত হয় না এ জনপদ। গ্রামের মায়েরাও এখন আর আগের মতো ফজর পড়ে দরজার চৌকাঠে বসে গুনগুনিয়ে কুরআন কিংবা কালেমার জিকির করে না। এভাবেই ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষার এ ঐতিহ্যগত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে।
সন্তানকে ঈমানদার, সৎ, দক্ষ, যোগ্য, দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য, নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য শৈশবকাল থেকেই তাকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত করতে হবে। তাহলেই দেশ, জাতি সকলেই সেই সন্তান দ্বারা উপকৃত হবে এবং মৃত্যুর পরেও তার প্রতিদান পেতে থাকবে।
পিসব আল্লাহ তাআলার তাওফিকে এবং হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা নিয়ে স্বল্প পরিসরে শিক্ষা, সেবা, স্বাবলম্বী ও পূণর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অসহায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অংশগ্রহণকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি ইসলামি চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিয়ে ২০১৬ সাল থেকে প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত এলাকার ইমাম ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে কর্মব্যস্ত ও বয়স্কদের জন্য মাসব্যাপী বিনামূল্যে কুরআন শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে এবং সহজে কুরআন শিখার জন্য প্রণয়ন ও রচনা করেছে ১৫ ঘন্টায় কুরআন শিক্ষা বই।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ৮৭ হাজার গ্রামে ৮৭ হাজার মক্তব বা ইসলামী স্কুল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য পিসব গ্রহণ করেছে ‘আলোকিত মক্তব’ প্রকল্প।
আলোকিত মক্তবের পাঠ্য বিষয় হচ্ছে
কুরআন ও তাজবীদ, মাসনূন দু‘আ, ছড়া আকারে মাসায়েল, বিষয়ভিত্তিক ছোট ছোট হাদীস এবং ৬০ পাঠে শিশুদের ভাষায় গল্প আকারে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আকায়েদ, আদব-শিষ্টাচার ও রাসূল সা. এবং ছাহাবীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী। যা ১৮ মাসে তিন সেমিস্টারে পাঠদান প্রদান করা হয়।
আলোকিত মক্তবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
হারানো ঐতিহ্যের ‘মক্তব’ উন্নয়ন এবং সংস্কার ও বিস্তারে ব্যাপক এবং সুদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যাতে করে, একজন শিশু ও কিশোরের জীবনের সূচনা হয় কুরআন মাজীদ এবং হাদিসের জ্ঞান থেকে। মুসলিম শিশুরা যেন জাগতিক শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন ও হাদিসের শিক্ষাও গুরুত্ব সহকারে অর্জনের মাধ্যমে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক এবং মানবিক গুনাবলির উৎকর্ষ সাধন করে উভয় জগতেই সম্মানিত হতে পারে।
সকল বয়স ও পেশার মানুষের জন্য কুরআন-হাদীস তথা ইসলামী শরীআতের ইলম শিক্ষা ও ইসলামী সংস্কৃতির ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে একদল সুযোগ্য ও মুখলিস দ্বীনের সেবক তৈরি করা এবং সমাজ হতে সকল প্রকার শিরক-বিদ’আত দূর করে নির্ভূল আক্বীদা ও ইত্তিবায়ে সুন্নতের জযবা সৃষ্টি করা।
বিশেষ আবেদন
সম্মানিত প্রিয় দ্বীনি ভাইরা! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমাদের প্রিয় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত ‘মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সব আমলের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমলের ধারাবাহিকতা জারি থাকে। এক. সদকায়ে জারিয়া। দুই. কোনো এলম/শিক্ষার মাধ্যম রেখে যাওয়া, যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে। তিন. নেক সন্তান রেখে যাওয়া, যে তার জন্য দুআ করবে।
অতএব, আলোকিত মক্তব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বা দান করায় উক্ত হাদিসের তিনটি বিষয়ের আমলই ধারাবাহিক জারি হবে ইনশাআল্লাহ।
১. কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা সদকায়ে জারিয়া। ২. আলোকিত মক্তবের মাধ্যমে কুরআনের এলেম/শিক্ষা মানুষ থেকে মানুষ উপকৃত হওয়ার মাধ্যমে এলেম চর্চা চলমান থাকবে। ৩. প্রতিটি আলোকিত মক্তবে ৪০-৫০ জন শিশু সন্তান কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান শিখে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
উপরে উপস্থাপিত বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে আসুন না আমরা আমাদের সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে তথাকথিত আধুনিক সংস্কৃতির মরণ ছোবল থেকে নৈতিক অবক্ষয়ে ডুবন্ত এই মুসলিম জাতিকে আবারো কুরআনের আলোয় আলোকিত করে মদিনার ন্যায় একটি শান্তিময় সমাজ বিনির্মানে ভূমিকা রাখি। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে মৃত্যু পরবর্তি স্থায়ী জীবনের ফায়দার জন্য সদকায়ে জারিয়ার এই বিশাল ক্যানভাসে অংশগ্রহণ করার উদাত্ত আহবান জানাই এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের তাওফিক কামনা করি।
ওয়াস্ সালাম
হাফেজ মাওলানা ইমরান হুসাইন হাবিবী
মহাপরিচালক - আলোকিত মক্তব
০১৯২৮০২৮৪৩৮
সহযোগিতা পাঠানোর মাধ্যম :
অ্যাকাউন্ট নাম : ALOKITO MAKTAB
সাধারণ দান : A/C NO : 2111100028607
যাকাত : A/C NO : 2111200002534
Routing No : 090263581
Branch : Pallabi
Dutch Bangla Bank Limited.
১৩০৩-৮১২ ৩৫০ বিকাশ, নগদ ও রকেট (যাকাত)
০১৬৮১-২৫৯ ১৬৩ বিকাশ, নগদ ও রকেট রেফারেন্স : maktob
Информация по комментариям в разработке