Скачать или смотреть নিউটনের ১ম, ২য় ও ৩য় সূত্র || পদার্থবিজ্ঞান || Omega Classroom

নিউটনের তিনটি সূত্র কিভাবে আবিষ্কার হলো

প্রাচীন ধারা (নিউটনের আগের ধারণা)

অ্যারিস্টটল (খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দী) মনে করতেন, কোনো বস্তু চলতে থাকলে তাকে চালিয়ে রাখতে সবসময় বল প্রয়োজন। বল না থাকলে বস্তু থেমে যাবে। আজ আমরা জানি এটা ভুল, কারণ ঘর্ষণ থাকায় জিনিস থেমে যায়।

গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪–১৬৪২) এই ধারণাকে বদলে দেন। তিনি ঢালু সমতল দিয়ে পরীক্ষা করে দেখান, ঘর্ষণ না থাকলে বস্তু নিজে নিজে চলতে থাকবে। এখান থেকেই “জড়তার ধারণা (Inertia)” জন্ম নেয়।




• নিউটনের গবেষণা শুরু
১৬৬৫-১৬৬৭ সাল: ইংল্যান্ডে ভয়াবহ প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়।

আইজ্যাক নিউটন তাঁর গ্রাম উল্‌সথর্প (Woolsthorpe)-এ ফিরে যান।

একেবারে একা অবস্থায় তিনি গণিত, আলো, জ্যোতির্বিজ্ঞান আর বস্তুর গতি নিয়ে কাজ শুরু করেন।

এ সময়ই তিনি ক্যালকুলাস, মহাকর্ষ সূত্র ও গতি সূত্রের ধারণা তৈরি করেন।


নিউটনের সূত্র তিনটি

১) প্রথম সূত্র – জড়তার সূত্র (Law of Inertia)

👉 “কোনো বস্তু বাহ্যিক বল প্রয়োগ না হলে তার বর্তমান অবস্থায় (স্থির বা অভিন্ন বেগে সরলরেখায় গতি) থাকতে চায়।”

এটি গ্যালিলিওর ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
যেমন: চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনে ঝুঁকে যায়।


২) দ্বিতীয় সূত্র – F = ma

“কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করলে সেই বস্তুর ভর ও সৃষ্ট ত্বরণের গুণফল সেই বলের সমান হয়।”

নিউটন এখানে বল, ভর ও ত্বরণের সম্পর্ক স্পষ্ট করেন।

উদাহরণ: একই বল দিয়ে ফুটবল ও ক্রিকেট বল লাথি দিলে ফুটবল বেশি দূরে যায়, কারণ তার ভর কম।


৩) তৃতীয় সূত্র – ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সূত্র (Action–Reaction)

“প্রত্যেক ক্রিয়ার বিপরীতে সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে।”

উদাহরণ: বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়ার সময় বন্দুক পেছনে ধাক্কা খায়, রকেট আকাশে ওঠে কারণ গ্যাস নিচের দিকে ঠেলে দেয়।



🔹 সূত্র প্রকাশ

১৬৮৭ সালে নিউটন তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ
📖 “Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica” (সংক্ষেপে Principia) প্রকাশ করেন।

এই বইতেই তিনি মহাকর্ষ সূত্র আর তিনটি গতি সূত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।

এর ফলে পদার্থবিজ্ঞান নতুন যুগে প্রবেশ করে।



• প্রভাব
এই তিনটি সূত্রের ওপর দাঁড়িয়েই আধুনিক যন্ত্র, ইঞ্জিন, যানবাহন, রকেট প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে।

প্রায় ২০০ বছর পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি ছিল একমাত্র নিউটনের সূত্র।

পরে আইনস্টাইন ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স এ সূত্রগুলোর সীমাবদ্ধতা দেখালেও, দৈনন্দিন জীবনে এগুলো এখনো পুরোপুরি প্রযোজ্য।


উপসংহার
নিউটনের তিনটি সূত্র আমাদের পৃথিবী বোঝার এক অসাধারণ দরজা খুলে দেয়। গতি, বল আর ভরের সম্পর্ক তিনি এমন সহজভাবে প্রকাশ করেছিলেন, যা আজও বিজ্ঞানের মূল স্তম্ভ হিসেবে টিকে আছে।










#নিউটন #নিউটনের_সূত্র #Physics #Newton #Science #জড়তা #Fma #ActionReaction
‪@OmegaClassroom‬