Скачать или смотреть How much thickness of cloud on sky Bangla Bengali

আকাশে মেঘ কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং এর ঘনত্ব বিভিন্ন স্থানে কেমন হয় — তা নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো 👇

🌤️ মেঘ কিভাবে সৃষ্টি হয়

মেঘ মূলত জলীয় বাষ্প থেকে তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে ঘটে:

1. বাষ্পীভবন Evaporation:
সূর্যের তাপে নদী, সাগর, হ্রদ ও মাটির জল বাষ্প হয়ে বাতাসে মিশে যায়।


2. উর্ধ্বগমন Rising of Air:
উষ্ণ বায়ু হালকা হয়, তাই তা উপরে উঠে যায়। উপরে উঠার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর তাপমাত্রা কমে যায়।

3. ঘনীভবন Condensation:
উপরে উঠা ঠান্ডা বায়ুতে থাকা জলীয় বাষ্প ক্ষুদ্র কণায় , ধূলিকণা, লবণের কণা ইত্যাদি, জমা হয়ে ক্ষুদ্র জলবিন্দু বা বরফ কণায় রূপ নেয়। এই ক্ষুদ্র জলবিন্দু একত্র হয়ে মেঘ তৈরি করে।


4. মেঘের বৃদ্ধি:
জলীয় বাষ্প আরও ঘনীভূত হয়ে বড় জলবিন্দু তৈরি করলে মেঘ ভারী হয় এবং শেষে বৃষ্টি, তুষার বা শিলায় পরিণত হয়।


☁️ মেঘের ঘনত্ব Cloud Density

মেঘের ঘনত্ব মূলত নির্ভর করে:

তাপমাত্রা

বায়ুচাপ

জলীয় বাষ্পের পরিমাণ

উচ্চতা:
সাধারণত মেঘের ঘনত্ব অনেক কম, কারণ মেঘের অধিকাংশই বাতাসের মধ্যে ভাসমান ক্ষুদ্র জলবিন্দু বা বরফ কণা।

👉 গড় ঘনত্ব:

মেঘের ধরন উচ্চতা ঘনত্ব kg/m বৈশিষ্ট্য:

সিরাস Cirrus 6–13 কিমি 0.01–0.03 হালকা, পাতলা, বরফ কণায় গঠিত
কিউমুলাস Cumulus 1–2 কিমি 0.2–0.6 তুলার মতো ঘন মেঘ
স্তরীভূত Stratus 0–2 কিমি 0.1–0.3 নিচু ও চওড়া মেঘ
কিউমুলোনিম্বাস Cumulonimbus 0–12 কিমি 0.3–1.0 বজ্রবৃষ্টি উৎপাদক ঘন মেঘ

বিভিন্ন স্থানে ঘনত্বের পার্থক্য

1. উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চলে (যেমন বাংলাদেশ, ভারত):
মেঘ ঘন হয় কারণ জলীয় বাষ্প বেশি থাকে।
→ ঘনত্ব: প্রায় 0.3–0.8 kg/m³


2. শীতল বা শুষ্ক অঞ্চলে যেমন সাহারা, আর্কটিক:
বাষ্প কম থাকায় মেঘ হালকা ও পাতলা হয়।
→ ঘনত্ব: প্রায় 0.01–0.2 kg


3. পর্বত অঞ্চলে:
বাতাস ঠান্ডা ও পাতলা, তাই মেঘ নিচু উচ্চতায়ও গঠিত হয়। অনেক সময় পাহাড়ে মেঘ স্পর্শযোগ্য মনে হয়।


🔍 সংক্ষেপে

সূর্যের তাপে জলীয় বাষ্প উপরে উঠে ঠান্ডা হয়ে ক্ষুদ্র জলবিন্দুতে পরিণত হলে মেঘ গঠিত হয়।
মেঘের ঘনত্ব অঞ্চলভেদে ও মেঘের প্রকারভেদে ভিন্ন হয়, সাধারণত ০.০১ থেকে ১.০ kg এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়।