বরুন কুমার মল্লিক ,প্রভাষক, ভূগোল ও পরিবেশ ,ঝাউডাঙ্গা কলেজ ,সদর, সাতক্ষীরা , শ্রেনিঃ ডিগ্রী তৃতীয় বর্ষ (পঞ্চম পত্র) ,বিষয়ঃ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভূগোল (বাংলাদেশ ব্যতিত) ,অধ্যায়ঃ ০৩ ; দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পরিবেশ ,জনসংখ্যাঃ বৃদ্ধি,বন্টন এবং বৈশিষ্ট্য ;
জনসংখ্যার বন্টনঃ
দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যাকে ঘনত্ব অনুসারে চারটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয় ।
১. নিবিড় জনবসতি অঞ্চল,
২. পরিমিত জনবসতি অঞ্চল,
৩. বিরল জনবসতি অঞ্চল,
৪. প্রায় জনহীন অঞ্চল ।
১. নিবিড় জনবসতি অঞ্চলঃ
কোন অঞ্চলে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২০০ জনের অধিকসংখ্যক লোক বাস করলে সে অঞ্চলকে নিবিড় জনসংখ্যা অঞ্চল বলে । বিশেষকরে ভারতের গঙ্গা নদী, পাকিস্থানের সিন্ধু নদ, বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকায় অধিক সংখ্যক লোক বাস করে । এসব এলাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি ।
২. পরিমিত জনবসতি অঞ্চলঃ
দক্ষিণ এশিয়ার যে সব এলাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫১- ২০০ জন লোক বাস করে সে সব এলাকাকে পরিমিত জনসংখ্যা এলাকা বলে । বিহার, তামিলনাডু, মুম্বাই, পাঞ্জাব,লহোর, মুলতান, খুলনা,সিলেট ইত্যাদি অঞ্চল ।
৩. বিরল জনবসতি অঞ্চলঃ
দক্ষিণ এশিয়ার অনেক অঞ্চল আছে যেখানে জনসংখ্যা খুবই কম । এ সব এলাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১-৫০ জন লোক বাস করে । অঞ্চল গুলো হলো- রাজস্থান, মনিপুর, মেঘালয়, খুলনা, বাঘেরহাট, দহগ্রাম, বেলুচিস্থানের উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত প্রদেশ প্রভৃতি ।
৪. প্রায় জনহীন অঞ্চলঃ
দক্ষিণ এশিয়ার যে সব এলাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১ জনের কম লোক বাস করে সে সব এলাকাকে প্রায় জনহীন এলাকা বলে ।
Информация по комментариям в разработке