Green Mango benefits কাঁচা আমের উপকারিতা।।

Описание к видео Green Mango benefits কাঁচা আমের উপকারিতা।।

#কাঁচা_আম:

#কলমে_ডাঃশুভম_মাইতি।
বি.এ.এম.এস.; এম.ডি(স্কলার)।

ইদানিং বাজারে গেলেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, নতুন নতুন কাঁচা আম উঠেছে। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। গরমে হাল্কা-আমডাল, আমের চাটনি, কাঁচা আমের টক বা নুন-লঙ্কা সহযোগে আম মাখার মত খাওয়ার তো বেশ উপাদেয় এবং প্রচলিত। কিন্তু সুস্বাদু খাওয়ার হিসেবে প্রসিদ্ধ এই কাঁচা আমের কী কী ঔষধিগুণ আছে তা কি আমরা জানি? চলুন জেনে নিই।

আম ভারতীয় উপমহাদেশীয় ফল। যদিও এর আদি নিবাস দক্ষিণ এশিয়া।সেখান থেকেই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি সাধারণ ফল হয়ে "সাধারণ আম" বা "ভারতীয় আম", যার বৈজ্ঞানিক নাম ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা (Mangifera indica), অন্যতম সর্বাধিক আবাদকৃত ফল হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হয়, আম প্রায় সাড়ে ৬০০ বছরের পুরনো একটি ফল।

একটি কাঁচা আমে ৮৪% জল ১৫% কার্বোহাইড্রেট, ১% প্রোটিন এবং নগন্য পরিমানে ফ্যাট থাকে।

পুষ্টির বিচারে কাঁচা আমের গুরুত্ব নির্ধারণ করতে হলে বলতে হবে -
১।সাধারণ আমের প্রতি ১০০গ্রামে প্রায় ২৫০ কিলোজুল (৬০ কিলোক্যালরি) শক্তি বর্তমান।

২। টাটকা আমে দৈনিক ভ্যালু হিসেবে শুধুমাত্র ভিটামিন সি এবং ফলিক এসিড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে যার পরিমাণ যথাক্রমে ৪৪% এবং ১১%।

৩। আমের খোসায় এবং পাল্পের মধ্যে ট্রাইটারপিন, লুপোলের মতো অসংখ্য ফাইটোকেমিক্যালস উপস্থিত রয়েছে।

৪। গবেষণায় দেখা গেছে আমের খোসার রঞ্জক কণিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, যেমন প্রোভিটামিন এ যৌগ, বিটা ক্যারোটিন, লুটিন, আলফা-ক্যারোটিন, কোয়েরসিটিন, কেম্পফেরল, গ্যালিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, ক্যাটিচিন।

৫। কাঁচা আমে ট্যানিনের মতো পলিফেনল ও ম্যাঙ্গিফেরিন নামে একটি অনন্য জ্যান্থোনয়েডও রয়েছে।

কাঁচা আমের ঔষধি গুন বর্ণনা করতে গেলে যেগুলো বলতেই হবে তা হলো-
১। কাঁচা আম খুব ভালো একটি রুচিকারক বা appetizer, খিদে বাড়াতে এর ভূমিকা দারুন।

২। হার্টের জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। হার্টের মাংসপেশির কাজ স্বাভাবিক রাখার জন্য আয়ুর্বেদে এর বহুল ব্যবহার।

৩। কাঁচা আমের সেবন ত্বকের টানটান ভাব বাড়ায় ও বর্ন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

৪। গলার ক্রনিক ইনফেকশন কমাতে আমের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

৫। কাঁচা আমের সেবনে আমাদের শরীরের রক্ত-মাংস ইত্যাদি যোগ কলা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় ও দুর্বলতা দূর হয়।

৬। ছোটবেলা থেকে কাঁচা আম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রাতকানা বা নিকট্যালপিয়া রোগ হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা কমে যায়।

৭। দাঁতের ব্যাথায় কাঁচা আমের রস লাগিয়ে সাময়িক উপশম পাওয়া যায়। মুখের ভেতরের ক্ষত সারাতেও এর ভূমিকা দারুন।

৮। পেটের কৃমিতে কাঁচা আম ও আমের আঁটির চূর্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

৯। ডায়েরিয়া রোগে আমের অর্ধেক আঁটির ক্বাথ বানিয়ে ঠান্ডা করে তাতে এক চামচ টকদই মিশিয়ে খেলে অল্প সময়েই ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণে আসে।

এত গুনাগুন থাকা সত্বেও দু-একটি ব্যাপারে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে-

১। কাঁচা আমের আঁঠা ত্বকে লাগলে সেখানে এলার্জি বা ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই ব্যবহারের আগে ভালো করে আম ধুয়ে নিতে হবে।

২। কাঁচা আমের আঁঠা চোখে লাগলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে তাই সে ব্যাপারে সাবধান।

৩। যাদের অম্বল হওয়ার প্রবণতা আছে তাঁরা খালি পেটে কাঁচা আম খাবেন না।

তাহলে সবাই নিয়ম মেনে কাঁচা আম খান এবং সুস্থ্য ও সতেজ থাকুন। ধন্যবাদ।।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке