Скачать или смотреть Doctrine of representation/মুসলিম ফারায়েজে প্রতিনিধিত্বের নীতি

প্রশ্ন ছিল-
'রহিম' নামক একজন ব্যক্তি এক পুত্র এবং দুই নাতি ও এক নাতনি রেখে মারা গেল। মৃত 'রহিম' নামক ওই ব্যক্তির রেখে যাওয়া ৩০ শত সম্পত্তিতে কারা কত অংশ পাবে?
উত্তর হবে-
মৃত মূলধনী রহিমের দুই পুত্র সন্তান ছিল যার মধ্যে একজন পিতার জীবদ্দশায় বন্টন কার্যকরের আগেই পিতার পূর্বেই মারা গিয়েছিল।
ইসলামী আইন অনুসারে পিতার জীবদ্দশায় মৃত পুত্রের সন্তানেরা দাদার সম্পত্তিতে কোন অংশ পাবে না। কেননা, শরিয়া আইনে প্রতিনিধিত্বের নীতি স্বীকৃত নয়।
কিন্তু ১৯৬১ সালে ফ্যামিলি ল অর্ডিন্যান্স এর ৪ ধারার বিধান অনুসারে প্রতিনিধিত্বের নীতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং বলা হয় পিতার জীবদ্দশায় মৃত কন্যা বা পুত্রের সন্তানেরা তাদের বাবা বেঁচে থাকলে দাদার সম্পত্তিতে যেরকম অংশ পেত তারাও পিতার অবর্তমানে ততটুকু সম্পত্তি পাবেন।
আলোচ্য প্রশ্নে মৃত মূলধনী রহিমের দুই পুত্র একজন জীবিত এবং অপরজন মৃত। যেহেতু রহিমের দুই পুত্র তাই জীবিত পুত্র পিতার সম্পত্তির ৩০ শতকের অর্ধেক ১৫ শতক পাবে এবং রহিমের জীবদ্দশায় মৃত অপর পুত্রের সন্তানেরা পিতা বেঁচে থাকলে সমান অংশে ১৫ শতক পেতো সে কারণে পিতার প্রতিনিধি হিসেবে তারাও দাদার সম্পত্তিতে ১৫ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হবে।
এখন প্রশ্ন হল-
মৃত মূলধনী রহিমের দুই নাতি ও এক নাতনি পিতার অংশের ১৫ শতক নিজেদের মধ্যে কি অংশে বন্টন করবে?
উত্তর হল-
তিনজন নাতি ও নাতনীর মধ্যে তাদের পিতার ১৫ শতক জমি মাথাপিছু বন্টন হবে অর্থাৎ প্রত্যেকে পাঁচ শতক করে পাবে।
কেন ৫ শতক করে পাবে?
আমরা জানি পুত্র যা পায় কন্যা তার অর্ধেক পায়। কিন্তু সেই নিয়ম এখানে প্রযোজ্য হবে না। কন্যা পুত্রের অর্ধেক পাবে যখন তারা তাদের পিতার মৃত্যুতে একই সঙ্গে ভাই বোন হিসেবে জীবিত থাকবে তখনই অবশিষ্ট ভোগী হিসেবে বোন যা পাবে ভাই তার দ্বিগুণ পাবে। এখানে তারা অর্থাৎ নাতি-নাতনীরা পিতার প্রতিনিধি হিসেবে দাদার সম্পত্তি পাচ্ছেন সরাসরি পিতার সম্পত্তি নয়।
আলোচ্য প্রশ্নে নাতি নাতনীরা দাদার সম্পত্তি পিতার প্রতিনিধি হিসেবে পাচ্ছে সরাসরি পিতার সম্পত্তি পাচ্ছে না আর সে কারণে ভাই বোন একত্রে থাকা সত্ত্বেও তারা অবশিষ্ট ভোগী (residuary) হিসেবে গণ্য হবে না এবং এর জন্য মৃত পিতার প্রতিনিধি হিসেবে প্রাপ্ত জমি মাথাপিছু সমান অংশে সম্পত্তি প্রাপ্ত হবে।