পরকীয়া প্রেমের কাছে হারলো মাতৃত্ব, ভারতীয় নারী নার্গিস বেগমের স্বামী দেশে ফিরলো খালি হাতে

Описание к видео পরকীয়া প্রেমের কাছে হারলো মাতৃত্ব, ভারতীয় নারী নার্গিস বেগমের স্বামী দেশে ফিরলো খালি হাতে

#PtottashaNews #balshabari #nargisbegom# naisamallik #mirfazlu
নানা নাটকীতার পর অবশেষে আলোচিত, সমালোচিত ও শ্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভারতীয় নারী নার্গিসা বেগম স্বামী ও একমাত্র সন্তান ১২ বছরের জিসানের মায়া ত্যাগ করে থেকে গেলেন বাংলাদেশের পরকীয়া প্রেমিক জুয়েল সরকারের কাছে। অপরদিকে শুন্য হাতে ভারতে ফিরে যেতে হচ্ছে তার স্বামী মীর ফজলুর রহমান কে।
বৃহস্পতিবার ২২ জুন ভোরে স্ত্রী নার্গিসা বেগমকে ফেরাতে ভারত থেকে উল্লাপাড়ায় আসেন মীর ফজলুর রহমান, তার শশুর খায়রুল আলম মল্লিক, স্থানীয় কাউন্সিলর হাসিনা বেগম ও প্রতিবেশী এক যুবক রাজ শেখ সহ মোট ৪জন।
প্রথমেই তারা উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাক্ষাত করতে যান। দীর্ঘ সময় সেখানে অপেক্ষা করেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাক্ষাত করতে না পেরে তারা যান উল্লাপাড়া মডেল থানায়। সেখানে মীর ফজলুর রহমান তার স্ত্রী নার্গিসা বেগম ও বাংলাদেশী স্বামী জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
পরে উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলামের নির্দেশে উপ-পরিদর্শক মো. মোতাহার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বালসাবাড়ি এলাকার নতুন দাদপুর গ্রামে জুয়েল সরকারদের বাড়িতে যান।
সেখানে তারা নার্গিসা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এছাড়াও নার্গিসা বেগমের শ্বশুর ইরান সরকার ও শাশুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় স্বামী জুয়েল সরকার গা ঢাকা দেন।
এসময় নার্গিসা বেগম বাংলাদেশেই থাকবেন বলে পুলিশকে জানান। কিছুক্ষণ পর নার্গিসা বেগমের ভারতীয় স্বামী মীর ফজলুর রহমান ও সাথে আসা নারী কাউন্সিলর ও যুবক সেই বাড়িতে চলে আসেন। এসময় এক অন্যরকম দৃশ্যের অবতারণা হয়, এবং নার্গিসা বেগমের ভারতীয় স্বামীকে একনজর দেখার জন্য শতশত গ্রামবাসী জুয়েলদের বাড়িতে ভিড় করেন।
জুয়েলদের বাড়িতে প্রবেশ করেই মীর ফজলুর রহমান কান্নায় ভেঙে পড়েন, এবং তার স্ত্রী নার্গিসা বেগমকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েন। এসময় নার্গিসা বেগম তার ভারতীয় স্বামীর সাথে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। এবং ভারতে সন্তানের কাছে ফিরবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
এসময় ভারত থেকে মীর ফজলুর রহমানের সাথে আসা তাদের স্থানীয় কাউন্সিলর হাসিনা বেগম ও তাদের প্রতিবেশী যুবক নার্গিসা বেগমকে ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করে বলেন, তোমার ছেলে জিসান তোমার জন্য কান্না করতে করতে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
একথায়ও নার্গিসা বেগমের মন গলেনি, তিনি সন্তানের মায়া তুচ্ছ করে জুয়েলের সাথেই বাংলাদেশে থাকবেন বলে জানিয়ে দেন।
পরে উল্লাপাড়া মডেল থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে নার্গিস বেগমের ভারতীয় স্বামী মীর ফজলুর রহমান ও তার সাথে আসা ২জন জুয়েলদের বাড়ি থেকে চলে আসেন।
এসময় ভারতীয় কাউন্সিলর হাসিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, উল্লাপাড়া থানা পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিলে আমরা নার্গিসা বেগমকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাবো এবং প্রয়োজন পরলে বাংলাদেশের হাইকোর্টের স্মরনাপন্ন হবো।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে দেড় বছর আগে জুয়েল ও ভারতীয় তরুণী নাইসার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৪ মে বুধবার ভিসা নিয়ে ঢাকায় আসেন নাইসা মল্লিক, সেখানে অপেক্ষা করছিল প্রেমিক জুয়েল। পরে তারা পরিবারের মাধ্যমে ২৫ মে সিরাজগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গণমাধ্যমে তাদের বিয়ের খবর ফলাও করে প্রচার হলে মুহুর্তেই ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরই সূ্ত্র ধরে ভারতের কলকাতার এসএসটিভি সহ বেশকিছু গণমাধ্যম নার্গিস বেগম ওরফে নাইসা মল্লিকের স্বামী, সন্তান এবং পরিবারের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке