মানুষের হাজারো দুঃখ - কষ্ট ঈশ্বর চাইলেই তো সব দূর করে দিতে পারেন ভগবান - কিন্তু করেন না কেন?
🌺 SUBSCRIBE FOR MORE 🌺
READ MORE: এটি মানব মনের এক চিরন্তন জিজ্ঞাসা—ঈশ্বর যদি দয়াময় ও সর্বশক্তিমান (Sarvaśaktimān) হন, তবে তিনি এক নিমিষে কেন মানুষের সমস্ত যন্ত্রণা দূর করে দেন না? ভগবান শ্রীকৃষ্ণের (Bhagavān Shrī Krishna) উপদেশ এবং শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার (Shrīmadbhagavadgītā) জ্ঞান এই গভীর প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে।
শ্রীকৃষ্ণ আমাদের শেখান যে, দুঃখ-কষ্টের উপস্থিতি ঈশ্বরের দুর্বলতা বা উদাসীনতা নয়, বরং এটি তাঁরই সৃষ্ট এক নিখুঁত ব্যবস্থার অংশ, যা দুটি প্রধান নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত: *১. কর্মের ন্যায়বিচার* এবং *২. জাগতিক ভারসাম্য (Bharsamyo)।*
১. কর্মফলের অলঙ্ঘনীয় বিধান (Karma-Phaler Alanghanīya Bidhān)
শ্রীকৃষ্ণের বাণীতে দুঃখের প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আমাদের নিজেদেরই *কর্মফল* (Karma-phal)।
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেন, "তুমি যা কিছু কর, তার ফল অবশ্যই ভোগ করতে হবে।" এই বিশ্বকে ঈশ্বর একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মের দ্বারা চালান। আমরা স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি (Svadhin Icchashakti) দ্বারা কর্ম করি, আর সেই কর্মেরই ফলস্বরূপ সুখ বা দুঃখ আমাদের জীবনে ফিরে আসে।
*"ঈশ্বর তোমাকে ততটুকুই দেন, যা ভার তুমি বহন করতে পারবে।"*
—এই বাণীটি ঈশ্বরের অপার করুণা এবং জীবাত্মার (Jivātmār) প্রতি তাঁর আস্থারই পরিচয়। তিনি কোনো অতিরিক্ত বা অসহনীয় বোঝা দেন না, যা আমাদের ধ্বংস করে দেয়। বরং, তিনি সেই সমস্ত বাধা আমাদের সামনে আনেন, যা অতিক্রম করার শক্তি আমাদের আত্মার মধ্যে নিহিত আছে। এই কষ্টগুলি আমাদের পূর্বজন্মের বা বর্তমান জীবনের অসম্পূর্ণ হিসাব, যা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। ঈশ্বর যদি কেবল তাঁর ইচ্ছায় সব দুঃখ দূর করে দেন, তবে কর্মের বিধানটিই অকার্যকর হয়ে যাবে, এবং জীব তার ভুল থেকে শেখার সুযোগ হারাবে।
২. দ্বৈত জগৎ ও দৈবী ভারসাম্য (Dvaitya Jagat o Daibī Bharsamyo)
শ্রীকৃষ্ণের লীলা (Līlā) এই জড় জগৎটি (Jara Jagat) দ্বৈততার উপর প্রতিষ্ঠিত—আলোর বিপরীতে অন্ধকার, সুখের বিপরীতে দুঃখ।
*"ভালো থাকবে আর খারাপ থাকবে না, তা তো হয় না যেন। দিন থাকবে রাত নয়, এমন হলে তো ভারসাম্য নষ্ট হবে।"*
—এই প্রকৃতির নিয়ম। এই জগতে যেমন দিন আছে, তেমনই রাত আছে; যেমন আনন্দ আছে, তেমনই কষ্ট আছে। কেবল সুখ বা কেবল আলো থাকলে, আমরা সুখের বা আলোর মূল্য বুঝতে পারতাম না। দুঃখ হলো সুখের পটভূমি (Pata-bhūmi) মাত্র। এই দ্বৈততাই হলো জগৎ-সংসারের সম্পূর্ণতা এবং ভারসাম্য (Bharsamyo)।
দুঃখ-কষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জগৎ থেকে শিক্ষা দেন। কষ্ট আমাদের এই জড় বস্তুর প্রতি আসক্তি (Āsakti) কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের চেতনার স্তরকে উন্নত করে শাশ্বত সত্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
৩. মুক্তির পথ: অনাসক্ত কর্ম ও শরণাগতি (Anasakta Karma o Sharaṇāgati)
শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বারবার বলেছেন যে, এই দুঃখের চক্র থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হলো *অনাসক্ত কর্ম* (Anasakta Karma) এবং *ঈশ্বরের কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ* (Sampūrṇa Ātmasamarpaṇ)।
১. *কর্মযোগ (Karma Yoga):* ফলের আশা না করে কর্তব্য কর্ম করে যাও। তুমি কেবল কাজ করার অধিকার রাখো, ফলাফলের উপর তোমার কোনো অধিকার নেই। যখন আমরা ফলের প্রতি আসক্ত না হয়ে কাজ করি, তখন ব্যর্থতা বা সফলতা কোনোটাই আমাদের মনে স্থায়ী দুঃখের জন্ম দিতে পারে না।
২. *মনের নিয়ন্ত্রণ:* দুঃখের মূল কারণ বাহ্যিক পরিস্থিতি নয়, বরং মনের চঞ্চলতা ও কামনা। মনকে নিয়ন্ত্রণ করে কামনাহীন হতে পারলে দুঃখের বাঁধন আলগা হয়ে যায়।
TAGS: ভগবান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী, ভগবান কি সত্যিই আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবানের গান, ভগবান শব্দের অর্থ কি, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, শ্রীকৃষ্ণের বাণী, lord krishna, krishna, hare krishna, শ্রীমদ ভাগবত, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, শ্রীমদ্ভাগবত, iskcon, krishna bhajan, krishnamurti, kanha, sri krishna, shri krishna, Bhagavad Gita, bhagavad gita english, bhagavad gita summary, bhagavad gita pdf, bhagavad gita quotes, geeta, gita, Shree Krishnaমানুষের দুঃখ-কষ্ট কেন দূর করেন না ঈশ্বর, কেন ভগবান খারাপ সময় দূর করে না, ভগবান থাকলে এত দুঃখ- কষ্ট কেন, যারা ভগবানকে মানে তারাই কেন অধিক দুঃখ কষ্ট পায়, ভুল করে ক্ষমা চাইলে ভগবান কি ক্ষমা করেন, ভাল মানুষেরা কেন বেশী দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে?, কি করলে ঈশ্বর আমাদের কষ্ট দূর করবে, ভগবান কি দুঃখ দেখতে পান না, কখন ভগবান সব সমস্যা দূর করে, সকলে বলে ভগবান আছে ভগবান থাকলে এত দুঃখ- কষ্ট কেন?, ভগবানকে ডেকেও কেন দুঃখ কমছে না, ঈশ্বরের কৃপায় দুঃখ দূর, ভগবান আমাকে কেন এত কষ্ট দেন, কেন ঈশ্বর আমাদের এত কষ্ট দেয়spiritualbulletin, hindu spiritual leader, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান শব্দের অর্থ কি, ভগবানের গান, ভগবান কি সত্যিই আছে, ভগবান, জপে মন কিছুতেই বসছে না, দূর্গা পূজার নতুন গান, দূর্গা পূজার নতুন গান ২০১৯, দূর্গা পূজার মহালয়া, ২০১৯ সালের দূর্গা পূজা, হিন্দু, দূর্গা পূজা কবে, হিন্দু ধর্মগুরু, দূর্গা পূজা ২০১৯ কত তারিখে, দূর্গা পূজা সময়সূচী ২০১৯, দূর্গা পূজার সময়সূচী ২০১৯, বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির নারায়ণগঞ্জ, বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী গান, দূর্গা পূজা, দূর্গা পূজা ২০১৯, জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাস
Информация по комментариям в разработке