Скачать или смотреть জুমার দিন ও রাতের বিশেষ আমল এবং ফজিলত

Voice : Altamas Mahmud

জুমার দিন ও রাতের বিশেষ আমল এবং ফজিলত

দোয়া শব্দের অর্থ : ডাকা, চাওয়া বা কাউকে আহবান করা ।
সুপ্রিয় দর্শক দোয়া শুধু দোয়া নয়, বরং দোয়া একটি ইবাদত। হাদিসে এসেছে, রাসূল সাঃ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেছেন, দোয়া হলো ইবাদতের মগজ ।
সূর্য ওঠার উজ্জ্বল দিনগুলোর মধ্যে, উত্তম হলো জুমআর দিন। আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগতকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুম্মার দিন । এ দিনে হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং জান্নাত থেকে বের করা হয় এদিনেই। (মুসলিম)
এ দিনে যে ব্যক্তি, সুন্দরভাবে গোসল ও ওজু করে, জুমআর (নামাজের) দিকে যায় এবং নিরবে খুতবা শোনে। সে ব্যক্তি এই জুমআ থেকে, পরবর্তী জুমআ ছাড়াও, আরো অতিরিক্ত ৩ দিনের গোনাহ থেকে মুক্তি পায়। সুবাহানআল্লাহ (মুসলিম)
আর যারা এ জুমআর নামাজ পড়া থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে, আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেন এবং তাদেরকে গাফেলদের অন্তর্ভূক্ত করে নেন।’ (মুসলিম)
মনে রাখতে হবে


জুম্মার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুম্মার দিন আসর নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। (সুবনহান আল্লাহ)
দোয়াটি হলো: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’
জুম্মার দিনের আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে—
১. সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: জুম্মার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে।
২. বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা মোস্তাহাব।
৩. জুম্মার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুম্মার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে।
৪. জুম্মার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা।
৫. সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা।