হযরত ফাতেমা (রাঃ) ইন্তেকালের মুহূর্ত। মাওলানা দেলোয়ার সাঈদী।

Описание к видео হযরত ফাতেমা (রাঃ) ইন্তেকালের মুহূর্ত। মাওলানা দেলোয়ার সাঈদী।

দো জাহানের বাদশাহর মেয়ে, হযরত আলীর স্ত্রী, হাসান হোসাইনের মা এবং জান্নাতের সর্দারনী হলো মা ফাতেমাতুজ জাহরা (রা.)। মা ফাতেমার (রা.) মৃত্যু কাহিনী পড়লে আপনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না। রাসূল সাঃ এর ইন্তেকালের পর হযরত সাইয়্যেদা ফাতিমা রাঃ একেবারে ভেঙ্গে পরেন। সব সময় পেরেশান থাকতেন। সর্বক্ষণ অপেক্ষায় ছিলেন, কখন রাসূল সাঃ সেই ভবিষ্যৎবাণী তথা সর্বপ্রথম রাসূল সা. এর সাথে হযরত ফাতেমাই মিলিত হবেন বাস্তবায়িত হবে। কাজকর্মে একদম মন বসতো না।
ছেলে-মেয়ে ছিল সবই ছোট ছোট। কিন্তু তাদের দেখাশোনা করতে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। তখন হযরত আসমা বিনতে উমাইস জান্নাতী মহিলাদের সর্দর হযরত ফাতিমা (রা.) এর পরিবারের দেখাশোনার মহান সৌভাগ্য লাভ করেন। তিনি নিষ্ঠার সাথে ফাতিমা রাঃ এর পরিবারের দেখভাল করতে থাকেন।
আসমা বিনতে উমাইস ছিলেন রাসূল সাঃ এর আপন চাচাত ভাই হযরত যাফর তাইয়্যার রাঃ এর স্ত্রী। হযরত যাফর রাঃ যখন মুতার যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন। তখন আসমা বিনতে উমাইসকে প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর রাঃ বিবাহ করেন।
তিনিই হযরত ফাতিমা রাঃ এর পরিবারের পূর্ণ দেখভাল করতে থাকেন।
যেহেতু হযরত ফাতিমা রাঃ খুবই লজ্জাবতী ছিলেন। তাই তিনি হযরত আসমা বিনতে উমাইস রাঃ কে বলে রাখলেন যে, যেহেতু খোলাভাবে জানাযা পড়ালে পর্দার মাঝে কমতি আসে। যা আমি খুবই অপছন্দ করি। তাই আমি চাই আমার জানাযা নিয়ে যাওয়ার সময় এবং দাফন করার সময় পূর্ণ পর্দা রক্ষা করা হবে। এ কারণে তুমি এবং আমার স্বামী ছাড়া আমার গোসল করানোর সময় আর কারো সহযোগিতা নিও না। আর রাতের বেলায়ই যেন জানাযা নিয়ে যাওয়া হয়।
হযরত আসমা রাঃ বললেন, হে আল্লাহর রাসূলের বেটি! আমি হাবশায় দেখেছি যে, জানাযার উপর গাছের শাখা বেঁধে উপরে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এর দ্বারা ঢুলির মত একটি আকৃতি বানানো হয়ে থাকে। এটা বলে হযরত আসমা রাঃ খেজুরের কিছু ঢাল আনালেন। তারপর এগুলোকে একত্র করে এর উপর কাপড় টাঙ্গিয়ে হযরত ফাতিমা রাঃ কে দেখালেন। এ দৃশ্য দেখে হযরত ফাতিমা রাঃ খুবই খুশি হয়ে বললেন, আরে! এতো খুবই সুন্দর পদ্ধতি! মা ফাতিমা (রা.) এর মৃত্যুর পর ঠিক এভাবেই ঢাল দিয়ে তার উপর কাপড় টাঙ্গিয়ে রাতের বেলাই দাফন কাফন সম্পন্ন করা হয়।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке