Скачать или смотреть যে সাতটি অপরাধ মানুষকে ধ্বংস করে? জানতে হলে ভিডিওটি দেখুন। # waj

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

"তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো।"
সাহাবিরা বললেন, "হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী?"
তিনি বললেন:



১. আল্লাহর সাথে শরিক স্থাপন করা

২. জাদু করা

৩. আল্লাহ যে প্রাণ হত্যা করা হারাম করেছেন, অন্যায়ভাবে তা হত্যা করা

৪. সুদ খাওয়া

৫. ইয়াতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করা

৬. যুদ্ধে পলায়ন করা (যখন মুসলিম বাহিনী শত্রুর মুখোমুখি হয়)

৭. নিরপরাধ সতী-সাধ্বী মুসলিম নারীদের প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া

📚 (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)


---

📖 প্রতিটি অপরাধের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

১. শিরক (আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন)

ইসলামি আকিদার ভিত্তি হলো তাওহীদ (একত্ববাদ)। শিরক হলো তাওহীদের বিপরীত। এটি এমন এক গুনাহ, যা আল্লাহ তওবা ছাড়া ক্ষমা করেন না:

"নিশ্চয়ই আল্লাহ শিরক ক্ষমা করেন না..."
(সূরা আন-নিসা: ৪৮)





---

২. জাদু (সিহর)

জাদু মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, পরিবার ভাঙতে পারে, বিশ্বাস ও মানসিকতা নষ্ট করতে পারে। এটি কুফরি ও শয়তানি কাজ। কুরআনে জাদুকে হারাম বলা হয়েছে:

"...তারা শিখে নেয় এমন বিষয়, যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটায়।"
(সূরা আল-বাকারা: ১০২)





---

৩. অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা

একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা পুরো মানবজাতিকে হত্যা করার সমতুল্য:

"যে কেউ একটি প্রাণকে হত্যা করে বিনা কারণে, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করল..."
(সূরা আল-মায়িদাহ: ৩২)





---

৪. সুদ খাওয়া (রিবা)

সুদ সমাজে শোষণ ও আর্থিক দাসত্ব সৃষ্টি করে। এটি সরাসরি আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো বড় গুনাহ:

"...তোমরা যদি তা না কর, তবে জেনে রাখো, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।"
(সূরা আল-বাকারা: ২৭৯)





---

৫. ইয়াতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা

ইয়াতিম হচ্ছে সমাজের অসহায়তম মানুষদের একজন। তাদের সম্পদ ভোগ করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ:

"...যারা ইয়াতিমদের সম্পদ জুলুম করে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুন ভরে, এবং তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।"
(সূরা আন-নিসা: ১০)





---

৬. জিহাদের সময় পলায়ন করা

যুদ্ধের ময়দানে ভীতু হয়ে পেছনে ফিরে যাওয়া একটি বড় অপরাধ, যা মুসলিম বাহিনীকে দুর্বল করে দেয়:

"...যে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করল (পলায়ন করল), তার ওপর আল্লাহর গজব আছে।"
(সূরা আল-আনফাল: ১৫-১৬)





---

৭. সতী-সাধ্বী নারীদের অপবাদ দেওয়া

যেসব নারী নিজেদের ইমান ও সতীত্ব রক্ষা করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ আনা অত্যন্ত গর্হিত গুনাহ:

"...যারা সতী নারীদের অপবাদ দেয়, অথচ তাদের পক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশি কোড়াল মারো..."
সূরা আন-নূর: ৪