Скачать или смотреть জুমার দিন যে সময় সূরা ইখলাস ৩ বার পড়লে, একটানা ৮৪ বছর কোরআন খতমের সওয়াব পাবেন by Dini Amol

জুমার দিন যে সময় সূরা ইখলাস ৩ বার পড়লে, একটানা ৮৪ বছর কোরআন খতমের সওয়াব পাবেন #Dini_Amol

জুমার দিন আসরের পরের বিশেষ আমলঃ

ইসলামে জুমাবার একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘দিবসসমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)

হাদিস অনুযায়ী জুমার দিনের আসর সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মুমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমলের কথা বলা আছে হাদিসে। আমলগুলোর মধ্যে রয়েছে দোয়া, জিকির, ইস্তেগফার ইত্যাদি। এছাড়াও আরেকটি আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। সেটি হলো- বিশেষ নিয়মে দরুদ পাঠ।

আসরের শেষ সময় দোয়া কবুল হয়ঃ

জেনে রাখা জরুরি যে, আসরের শেষ সময় বলতে সূর্য ডোবার আগ-মুহূর্তে। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিন আসরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (জাদুল মাআদ: ২/৩৯৪)

হজরত আলি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম (স.)-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহা’ম্মাদ।

সুরা ইখলাসের সওয়াব ও ফজিলতঃ

ইখলাস বলা হয়, শিরক থেকে মুক্ত হয়ে— তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে। এ সুরার মর্মার্থের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইখলাস।


কোরআনের তিনভাগের এক ভাগ

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা আল-ইখলাস পড়তে শুনেছেন। অতঃপর সকালে মহানবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন মহানবী (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতের হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ বুখারি)


সুরা ইখলাস জান্নাত লাভের কারণ

মহানবী (সা.)-এর কাছে একবার এক সাহাবি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসি। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এ ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ (সহিহ বুখারি)


গুনাহ মাফ হয় সুরা ইখলাস পাঠে

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার ৫০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। তবে ঋণ থাকলে তা মাফ হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯৮)


প্রতি জুমার দিন তিনবার সুরা ইখলাস পাঠ

জুমার দিন আসরের পর এই সূরা ইখলাস ৩ বার পড়বেন, তবে আপনি একটানা ৮৪ বছর প্রত্যেকদিন এক খতম কোরআন পাঠের সওয়াবের অধিকারী হতে থাকবেন। রাসূলের হাদিস-ই তার প্রমাণ। নবিজি (সা.) [একদিন] সাহাবাদের বললেন, তোমরা কি একরাতে কোরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করাকে সাধ্যাতীত মনে করো? সবাই জিজ্ঞেস করলেন, এক রাতে কোরআনের এক তৃতীয়াংশ কীভাবে পড়বো? তিনি বললেন, ‘“কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ”’ সুরাটি কোরআন মাজিদের এক তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৭৭১)


মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে এই সূরার আমল করার তাওফিক দিন । আমিন।