Скачать или смотреть খরগোশ খাবার খাওয়ার সময় কি হয় তা দেখে আপনি অবাক হবেন

খরগোশ: এক আদুরে ও নিরীহ প্রাণী

খরগোশ (Rabbit) একটি নিরীহ, নিরামিষভোজী ও অত্যন্ত আদুরে প্রাণী, যা মূলত গৃহপালিত ও বন্য উভয় পরিবেশেই বাস করে। এদের নরম লোম, লম্বা কান ও ছোট ফুপফুপে লেজ সহজেই মন কাড়ে।

শারীরিক বৈশিষ্ট্য

খরগোশের শরীর ছোট ও নরম লোমে আবৃত।

এদের লম্বা কান শ্রবণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পিছনের পা সামনের চেয়ে লম্বা হওয়ায় দ্রুত দৌড়াতে পারে।

গড়পড়তা খরগোশের ওজন ১-৫ কেজি হতে পারে, প্রজাতিভেদে পার্থক্য হয়।


খাদ্যাভ্যাস

খরগোশ মূলত নিরামিষভোজী এবং এরা ঘাস, পাতা, গাজর, বাঁধাকপি, শাকসবজি ও ফলমূল খেতে পছন্দ করে। কিছু খরগোশ বিশেষ পুষ্টিকর খাবারও গ্রহণ করে, যা তাদের হজম ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আচরণ ও জীবনধারা

খরগোশ খুবই চঞ্চল এবং খেলাধুলা করতে ভালোবাসে।

তারা সামাজিক প্রাণী এবং সাধারণত দলবদ্ধভাবে বসবাস করে।

বন্য খরগোশ মাটির নিচে গর্ত (Burrow) খুঁড়ে থাকে, যা তাদের শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।

গৃহপালিত খরগোশ সঠিক পরিচর্যা পেলে ৮-১২ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।


প্রজনন ও বৃদ্ধি

খরগোশের প্রজনন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। একটি মাদী খরগোশ একবারে ৪-১২টি বাচ্চা জন্ম দিতে পারে এবং বছরে একাধিকবার বাচ্চা প্রসব করতে পারে।

গৃহপালিত খরগোশ পালন

অনেকেই খরগোশকে পোষ্য প্রাণী হিসেবে পালন করেন, কারণ তারা পরিচ্ছন্ন, শান্তশিষ্ট ও কম যত্নে টিকে থাকতে পারে। খরগোশ পালন লাভজনকও হতে পারে, বিশেষত বাণিজ্যিক খামারের জন্য।

মজার তথ্য

খরগোশের দাঁত আজীবন বাড়তে থাকে, তাই তারা নিয়মিত শক্ত খাবার চিবিয়ে দাঁত ছোট রাখে।

তারা তাদের পেছনের পা দিয়ে মাটিতে জোরে আঘাত করে সংকেত দেয়, যা "থাম্পিং" নামে পরিচিত।

খরগোশ ৩৬০ ডিগ্রি কোণে দেখতে পায়, যা তাদের শত্রুদের সহজেই শনাক্ত করতে সাহায্য করে।


খরগোশ শুধু সুন্দর আর আদুরে প্রাণীই নয়, বরং তারা আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

খরগোশ

খরগোশ পালন

পোষা খরগোশ

বন্য খরগোশ

খরগোশের প্রজাতি


পরিচর্যা ও পালন:

খরগোশের খাবার

খরগোশের যত্ন

খরগোশের বাসস্থান

খরগোশের রোগ ও চিকিৎসা

খরগোশের প্রজনন


বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক দিক:

খরগোশ খামার

খরগোশের মাংস ব্যবসা

খরগোশের লোম ও চামড়া

লাভজনক খরগোশ পালন