নতুনদের জন্য পেঁপে চাষের বিস্তারিত পরামর্শ

Описание к видео নতুনদের জন্য পেঁপে চাষের বিস্তারিত পরামর্শ

নতুনদের জন্য পেঁপে চাষের বিস্তারিত পরামর্শ
‪@JomadarAgro‬
#আপনারা_কিভাবে_পেঁপে_আবাদ_করবেন?
#মাটি নির্বাচনঃ
পেঁপে আবাদের জন্য উঁচু দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযুক্ত।
#চারা_রোপনের সময়ঃ
সেপ্টেম্বর -অক্টোবর মাসে ও ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে পেঁপের চারা রোপনের উত্তম সময়।
#জাত পরিচিতিঃ
রেড লেডি/ টপ লেডি/সুইট লেডি / কিউট লেডি/ বাবু/ গ্রীণ লেডি/কমলা সুন্দরী/সুপ্রীম লেডি/সুইট বল/রেড বিউটি/রেড কিং/সান লেডি/ইস্পাহানি কিং ইত্যাদি।
#জমি নির্বাচনঃ
পেঁপে গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না । তাই পেঁপের জন্য নির্বাচিত জমি উচু জলাবদ্ধতামুক্ত নির্বাচন করতে হবে। এবং সেচ সুবিধাযুক্ত।
#জমি তৈরিঃ
জমি ৪-৫ টি চাষ ও মই দিয়ে উত্তম রূপে তৈরি করতে হবে । দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে বেড পদ্ধতি অবলম্বন করা উত্তম ।
#বেড তৈরিঃ
পাশাপাশি দুটি বেডের মাঝে ৩০ সেমি চওড়া এবং ২০-২৫ সেমি গভীর নালা থাকবে । নালাসহ প্রতিটি বেড ২ মিটার চওড়া এবং জমি অনুযায়ী লম্বা হবে ।
#চারা তৈরিঃ
পলিথিনে বীজ থেকে বংশ বিস্তার করা হয়। পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায় । ১৫ × ১০ সেমি আকারের পলিথিন ব্যাগে সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈব সার মিশিয়ে পলিথিন ভর্তি করে পলিথিনের তলায় ২-৩ টি ছিদ্র করতে হবে। সদ্য সংগৃহীত বীজ হলে ১ টি এবং পুরাতন বীজ হলে ২-৩ টি বীজ প্রতিটি পলিথিনে বপণ করতে হবে। প্রতিটি পলিথিনে ১টি চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। ২০-২৫ দিন বয়সের চারায় ১-২% ইউরিয়া স্প্রে করলে চারার বৃদ্ধি ভাল হয়।
#চারার বয়স:
চারার বয়স ৪০-৫০ দিন হলে রোপনের উপযোগী হয়।
অথবা ৫-৬ পাতা অবস্থায় রোপন উপযোগী হয়।
#গর্তে চারার পরিমাণঃ
হাইব্রিড জাতের সুস্থ সবল একটি চারাই যথেষ্ট। দূর্বল প্রকৃতির চারা হলে দুইটি রোপন করা ভালো।
#চারা_রোপনের দুরত্বঃ
চারা থেকে চারা ২ মিটার (৬.৫ ফুট)
সারি থেকে সারি ২ মিটার (৬.৫ ফুট)
#বীজ_হারঃ
বিঘা প্রতি ৩৩০ টি চারার প্রয়োজন। অথবা
বিঘা প্রতি ১৪০-১৫০ গ্রাম বীজ দিয়ে প্রয়োজনীয় চারা তৈরি করা যায়
#গর্ত_তৈরিঃ
চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে বেডের মাঝ বরাবর ২ মিটার দূরত্বে ৬০× ৬০× ৪৫ সেমি আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে।
#গর্তে সার প্রয়োগঃ
প্রতিটি গর্তে পচা গোবর সার ১৫ কেজি, ৫০০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম জিপসাম, ২০ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট, ২০ গ্রাম বোরিক এসিড মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত পূরণ করে সেচ দিতে হবে।
চারা রোপনের এক মাস পরে হতে গাছ প্রতি ইউরিয়া ৫০ গ্রাম পটাশ ৫০ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে ফুল আসার আগে পর্যন্ত।
ফুল আসার পরে থেকে গাছ প্রতি ইউরিয়া ১০০ গ্রাম ও পটাশ সার ১০০ গ্রাম হারে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
#চারা রোপণঃ
চারা রোপণের পূর্বে গর্তের মাটি উলট-পালট করে নিতে হবে। প্রতিটি গর্তে ৩০ সেমি দূরত্বে ত্রিভুজাকারে তিনটি করে চারা লাগাতে হবে। বীজতলায় উৎপাদিত চারার উম্মুক্ত পাতাসমূহ রোপণের পূর্বে ফেলে দিলে রোপণকৃত চারার মৃত্যুহার কমবে। পলিব্যাগে উৎপাদিত চারার ক্ষেত্রে পলিব্যাগটি খুব সাবধানে অপসারণ করতে হবে যাতে মাটির বলটি ভেঙ্গে না যায়।
#চারা রোপন পদ্ধতিঃ
রোপণের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে চারার গোড়া যেন বীজতলা বা পলিব্যাগে মাটির যতটা গভীরে ছিল তার চেয়ে গভীরে না যায়।
#চারা রোপনের সময়ঃ
পড়ন্ত বিকেলে চারা রোপণ করা ভাল।
#সেচঃ
শীতকালে দুই সপ্তাহ পরপর গাছের গোড়ায় সেচ দিতে হবে। গ্রীষ্মকালে এক সপ্তাহ পরপর গাছের গোড়ায় সেচ দিতে হবে।
#গাছে উপরি সার প্রয়োগঃ
ভাল ফলন পেতে হলে পেঁপেতে সময়মত সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের এক মাস পর হতে প্রতি মাসে গাছ প্রতি ইউরিয়া ও পটাশ সার ৫০ গ্রাম হারে প্রয়োগ করতে হবে। গাছে ফুল আসার পর সারের মাত্রা দ্বিগুন করতে হবে। মাটিতে রস না থাকলে পানি সেচের ব্যবস্থা করা আবশ্যক ।
#আগাছা দমনঃ
পেঁপের জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। বর্ষা মৌসুমে আগাছা দমন করতে গিয়ে মাটি যেন বেশি আলগা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
#পানি সেচ ও নিকাশঃ
শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিতে হবে । সেচে ও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি যাতে জমিতে জমে না থাকে সে জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা জরুরী।
#অতিরিক্ত গাছ অপসারণঃ
চারা রোপণের ৩-৪ মাস পর গাছে ফুল আসলে প্রতি গর্তে সুস্থ সবল একটি স্ত্রী গাছ রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। তবে সুষ্ঠু পরাগায়ন ও ফল ধারণের জন্য শতকরা ৫ টি পুরুষ গাছ রাখা অপরিহার্য।
#ফল পাতলাকরণঃ
বেশিরভাগ জাতের ক্ষেত্রে একটি পত্রকক্ষে একাধিক ফুল আসে এবং অনেক ফল ধরে। ফল কিছুটা বড় হলে প্রতিটি পত্র কক্ষে সবচেয়ে ভাল ফলটি রেখে বাকিগুলো ছিঁড়ে ফেলে দিতে হবে। দ্বিতীয় বা পরবর্তী বছরে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরার ফলে সেগুলো খুব ঠাসাঠাসি অবস্থায় থাকে ফলে ঠিক মত বাড়তে পারে না এবং আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ছোট ফলগুলো ছাঁটাই করতে হবে ।
#খুঁটি দেওয়াঃ
চারা রোপনের ৩-৪ মাসের মধ্যে গাছে ফল আসে তাই গাছ যেন ফলের ওজনে/বাতাসে হেলে না পরে সেজন্য শক্ত খুটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
#ফসল সংগ্রহঃ
চারা রোপণের ৩ মাসের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করে এবং ফল ধরার ২-৩ মাসের মধ্যেই সবজি হিসাবে পেঁপে সংগ্রহ করা যায় । যখন ফলের কষ হালকা হয়ে আসে এবং জলীয়ভাব ধারন করে এবং ফলের গায়ে যখন হালকা হলুদ রং দেখা দেবে তখন ফল সংগ্রহ করতে হবে।
#পরবর্তী করণীয়ঃ
গাছে ৩০-৪০ টি ফল আসার পর আর ফল না ধরতে দিয়ে পরবর্তী ফুলগুলো ভেঙ্গে দিতে হয় । তাহলে শেষ ফলটি ধরার ৬০ দিন পর যদি গাছ থেকে সব ফল সংগ্রহ করা হয় তবে এগুলোর ২/৩ অংশ পাকা ফল হিসেবে বাজারজাত করা যায়। এভাবে ১৪-১৫ মাস পরেই পেঁপে বাগান ভেঙ্গে ফেলা যেতে পারে। ফল হলুদ বর্ণ ধারন করার পর সংগ্রহে বিলম্ব হলে কাক, কোকিল, বুলবুলি পাখি ফল খেয়ে ক্ষতি করতে পারে। ফল সংগ্রহের পর হালকা গরম পানিতে (৫০-৫৫ সেঃ তাপমাত্রায়) ৫-১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। অতঃপর ঠান্ডা পানি দ্বারা ধুতে হবে। ফল ছায়ায় শুকিয়ে খবরের কাগজ দ্বারা মুড়িয়ে বাঁশের ঝুড়ি অথবা কাগজের কার্টনে প্যাকিং করতে হবে। এতে ফল পচা রোগ কম হবে এবং পরিবহন কালে ফল কম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке