Скачать или смотреть পুরোনো কলিকাতার ভিডিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।(Old calcutta's video during second world war)

সারেগামা পা ধা নি । বোম ফেলেছে জাপানি বোম এর মধ্যে কেউটে সাপ , ব্রিটিশ বলে বাপ রে বাপ ।’

ব্রিটিশরা তাদের সাম্রাজ্য টলমল করছে বলে ‘বাপ রে বাপ’ বলে চেচিয়ে উঠেছিল। কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষ খুঁজছিল মাথা গোঁজার জায়গা। কেউবা বাধ্য হয়েছিল যোগ দিয়েছিল যুদ্ধ বাহিনীতে। যেমন তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত পরাধীন ভারতে সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য সেনাদের ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল হাওড়া জেলার সাঁকরাইল থানার অধীনে বাসুদেবপুরের বর্তমান মিলিটারি মাঠ(নগর)নাম দেওয়া এলাকায় ।

মাঘ মাসের এক বিকেল বেলায় বোমা পড়েছিল হাওড়া শহরেও। এক মহিলা ও এবং এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। বোমা পড়েছিল নবীন সেনাপতি লেনে। হাওড়ার কাসুন্দিয়া অঞ্চলের ২৮ ,নবীন সেনাপতি লেনের বাড়িটির অদূরেই পড়েছিল বোমা। সেই বাড়ি এখনও বর্তমান। সে কথা ভেবে এখনও শিউড়ে ওঠে মানুষ।

বাংলায় বিট্রিশদের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি ছিল দমদম বিমানবন্দর। কিন্তু বিট্রিশদের মনে ভয় ঢুকে গিয়েছিল যদি প্রতিপক্ষ হানা দেয় এখানে। যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সবকিছু! তাই শঙ্কিত ও বিচলিত মিত্র শক্তির খোঁজ পড়ল বিকল্পের । পরিকল্পনা? যদি দমদম বিমানবন্দরের পতনও ঘটে তবে তারা বিকল্প বিমানবন্দর গড়ে তুলে করবে সক্রিয় প্রতিরোধের চেষ্টা। সেই লক্ষ্যেই দমদম বিমানবন্দর থেকে ২০ মাইল মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছিল নতুন বিমানঘাঁটি।

৪২-এর ২০ ডিসেম্বর ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এল জাপানি বোমারু বিমান৷ মহানগরীর বুকে আছড়ে পড়েছিল একের পর এক বোমা৷ প্রায় ১৬টি গ্রামকে উচ্ছেদ করে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি শক্তিশালী সামরিক বিমান ঘাঁটি। নাম “বাঁইগাছি এয়ারফিল্ড”। ‘বিট্রিশ রয়্যাল এয়ারফোর্স’ ছিল এর তত্ত্বাবধানে। শহর থেকে শহরতলির কাছে চেনা যুদ্ধের আবহ।

সালটা ছিল ১৯৪৩৷ ইউরোপ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হিটলারের নাৎসি বাহিনী৷ জ্বলছে এশিয়া মহাদেশও৷ সীমানা বিস্তারে যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছে হিরোহিতোর জাপান৷ ‘ইম্পেরিয়াল জাপানিজ আর্মি’র দাপটে কাঁপছে মিত্রশক্তি৷ ফিলিপিন্সে জাপানি সেনার সামনে মাথা নত করেছেন মার্কিন জেনারেল ডগলাস ম্যাকার্থার৷ ব্রিটিশ দম্ভ গুঁড়িয়ে দিতে ভারতের দিকেও নজর দিয়েছেন সম্রাট হিরোহিতোর৷