গণেশ চতুর্থী..২১বছরের বাড়ির পুজো..সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির.. আমার গণেশ সংগ্রহ.. গণেশ চতুর্থীর ইতিহাস

Описание к видео গণেশ চতুর্থী..২১বছরের বাড়ির পুজো..সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির.. আমার গণেশ সংগ্রহ.. গণেশ চতুর্থীর ইতিহাস

গণেশ চতুর্থী..২১বছরের বাড়ির পুজো..সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির.. আমার গণেশ সংগ্রহ..

গণেশ চতুর্থীর ইতিহাস
মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজোর ইতিহাস সেই শিবাজীর আমল থেকে। ছত্রপতি পুণেতে বা তার পরে রায়গড়েও অতি ধুমধামের সঙ্গে গণেশ পূজন করতেন। তাঁর পরে পুণেতে যখন পেশোয়াই এল, পেশোয়ারা তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু করেন সার্বজনীন গণেশোৎসব। তা পেশোয়াই ব্যাপার, সেসবে তো আর অন্ত্যজদের অধিকার নেই। মান্যগণ্য অতিথিরা আসতেন তাতে, দশদিন ধরে দীয়তাং ভূজ্যতাং চলত৷ ইংরেজ এল, পেশোয়ার পেশোয়াই গেল৷ কিন্তু মহারাষ্ট্রের, বিশেষ করে পুণের লোকজন তা বজায় রেখেছিল যার যার ঘরে বাপ্পার আবাহন করে। গরীব-ধনী, যে যার সামর্থ্য মত গণেশ পূজন করত তারা। দশ দিনের দিন গরীব যেত মাথায় একখানি কাঠের টুকরোর ওপর আধ হাত বাপ্পাকে বসিয়ে মুলা নদীতে বিসর্জন করতে, আর ধনীর ঘরের আট হাত বাপ্পাকে বয়ে নিয়ে যেত দশ কাহার। বিসর্জনের দিন নদীর ঘাটে পা রাখা যেত না, এমন ভিড়!

১৮৭০ এর পর থেকে একমাত্র মুসলিমদের শুক্রবারের জমায়েত বাদে আর সবরকম জমায়েতের ওপর একের পর এক আইন এনে তা বন্ধ করার প্রচেষ্টা করে এসেছেন মহামান্য বৃটিশ সরকার বাহাদুর। ১৮৯২ সালে আনা হয় অ্যান্টি পাবলিক অ্যাসেম্বলি লেজিসলেশন, এর বলে যেকোন কারণ উপলক্ষে, মায় কোন হিন্দু উৎসবে অবধি কুড়ি জনের বেশি একসঙ্গে জমায়েত হওয়া বারণ হয়। এর পরেও, লোকমান্য তিলক দেখেন যে পুণেতে যথারীতি বাড়িতে বাড়িতে গণেশ পুজো অনুষ্ঠিত হয় এবং বিসর্জনের দিন যথারীতি নদীর তীরে অস্বাভাবিক ভিড় জমা হয়। এর থেকেই তিলকের মাথায় আসে সার্বজনীন গণেশোৎসবের ভাবনা। তিনি তখন তাঁর বহুল প্রচারত কেসরী পত্রিকার সম্পাদক, তিনি কেসরীতে নিয়মিত প্রচার করতে থাকেন যে পরের বৎসর পুণে এবং মুম্বইতে সার্বজনীন গণেশোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। লোকের কোন ধারণা ছিল না এই সার্বজনীন জিনিসটা ঠিক কেমন হতে পারে। ফলে প্রথম বছর, কেসরীর অফিসে অনুষ্ঠিত উৎসব দেখতেই লোকে ভিড় জমালো। তার আড়ে তিলক এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন। লাঠি খেলা, গান-কবিতা এবং আলোচনা সভার আড়ালে দেশাত্মবোধ জাগানো এবং একই কাতারে দাঁড়িয়ে ব্রাহ্মণ এবং অব্রাহ্মণের দর্শনের ব্যবস্থা করে সামাজিক শিকল কাটার। বিসর্জনের দিন লোকে যার যার প্রতিমা বিসর্জন করে দু'দণ্ড দাঁড়িয়ে দেখল সার্বজনীন বিসর্জন। পরের বছর থেকে অন্যান্য মণ্ডলিও যার যার এলাকায় গণেশোৎসবের ব্যবস্থা করতে লাগল৷ যার যার নিজের ঘরে পুজো না করে লোকে সেই টাকা মণ্ডলিকে দেবে, আর মণ্ডলির পুজো হবে তাদের সবার পুজো। লোকে দেখল, এ তো দিব্যি ব্যবস্থা! একজনের কাজ দশজনে ভাগ করে নেওয়া যায়। আর কেসরীর পুজোর অনুকরণে লাঠি খেলা, তলোয়ারবাজি, গান এবং কবিতার আসর, মায় ঢোল-তাসা সহযোগে বিসর্জনের ব্যবস্থা অবধি হতে থাকল ধীরে ধীরে। গণেশোৎসব মহারাষ্ট্রের জাতীয় উৎসবের চেহারা নিল কালক্রমে।

লোকমান্য তিলক বলেছিলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক জমায়েতে পরিবর্তিত করার সুযোগ থাকলে তা আমি অবশ্যই করব, কারণ আমার ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক, দুই জমায়েতের অধিকারই এই সরকার অন্যায় ভাবে কেড়ে নিয়েছে। সরকার যদি জনগণের সঙ্গে ছেলেখেলা করতে পারে তার জমায়েতের অধিকার কেড়ে নিয়ে, তবে আমিও তা যেনতেনপ্রকারেণ কেড়ে নেব সরকারের থেকে।

১৮৯৩ থেকে আজ অবধি মহারাষ্ট্রে কোন বছর সার্বজনীন গণেশোৎসব বাদ যায় নি। বরং বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে প্রতিমা নির্মাণ হয়েছে বারবার। জওহরলাল নেহেরু, গান্ধী বা তিলক স্বয়ং।
#bengalivlog #kolkata #cooking
প্রদীপদানি র ভিডিও 👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻
   • craft //ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে প্রদীপদ...  

Комментарии

Информация по комментариям в разработке