Скачать или смотреть বিডিএন ৭১ এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নাট্যজন মামুনুর রশীদ পর্ব ২

বিডিএন ৭১ এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নাট্যজন মামুনুর রশীদ | Mamunur Rashid | Media Gossips | পর্ব ২

#নাট্যজন_মামুনুর_রশীদ #মামুনুর_রশীদ #mamunur_rshid


এরপর এটা শুরু করলাম আমরা এবং তখন বাংলাদেশের যারা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী তারা
অভিনয় করেছিলেন যেমন রোজি সামাদ কবরী এরা অভিনয় করেছিলেন ফতেহ
লোহানি তারপর এটিএম শামসুল জামান তারা অভিনয় করলেন এবং অভিনয়টা এবং এটা খুবই মানে দর্শকের সাড়া পাওয়া গেল আমরা


করতে থাকলাম এর মধ্যে 71 সালের মার্চ মার্চ চলে এলো নাটকটি তখনকার মতো বন্ধ হয়ে গেল পরে অবশ্য আবার 1986 সালে আবার নতুন করে প্রচারিত হয়েছে
তখন আমি আর নাট্যরূপ দেইনি আমি অভিনয় করেছি সেকান্দার মাস্টারের অভিনয়টা করেছি কিন্তু আমরা জানতে পেরেছিলাম ছোটবেলা থেকেই যে

কলকাতায় খুব ভালো মঞ্চ নাটক হয় যেহেতু মঞ্চের থেকেই আমার সূচনা কাজেই আমিও খুঁজতাম যে ঢাকায় কোথায় মঞ্চ নাটক হয় তখন এরকম নিয়মিত নাট্যচর্চা ছিল না বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এইসব জায়গায় ওই অভিনয় হতো আমার

কাছে এর মানে সেই অভিনয় গুলো মাঝে মাঝে ভালো হতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিক যেটা হতো সেটা খুব ভালো হতো আবার পাড়ায় মহল্লায়ও নাটক হতো যেটা

আজকে বন্ধ হয়ে গেছে এটা খুব ক্ষতি হয়েছে আমাদের কারণ পাড়া মহল্লার থেকে যে নাটক গুলো হতো সেখান থেকে অনেক ভালো ভালো
অভিনেতা অভিনেত্রী আসতো যেমন ধরুন আলতাফ বলে একজন অভিনেতা ছিলেন রাজ্জাকও সেখান থেকে এসেছে আরো অনেক

অ্যাক্টর ওখান থেকে এসেছে খান জয়নুল বলে একজন অভিনেতা ছিলেন খুব নামকরা উনিও এসেছেন ওই ওইখান থেকে আশিষ কুমার লোহ গোলাম মোস্তফা সব নাটকে অভিনয় করতেন তিনিও এসেছেন আনিস তারপর একজন আরেকজন আনিস ছিলেন তিনি ডিরেকশন দিতে অভিনয় করতেন খুব ভালো অভিনেতা ছিলেন যাই হোক মঞ্চে যারা অভিনয় করেন তাদের সঙ্গেও আমার একটা সক্ষতা গড়ে ওঠে

এবং 60 এর দশকের এই আন্দোলনের সঙ্গেও আমি যুক্ত ছিলাম এবং এই আন্দোলন থেকে আমাদের মধ্যে যেমন স্বাধিকারের কথা স্বাধিকার আন্দোলনের কথা চলে এসেছিল ঠিক তেমনি আমরা ভাবতাম যে নাটকের সেন্সর নাটক করতে গেলে এত সমস্যা দেশটা যখন স্বাধীন হবে তখন আমরাও এখানে একটা নিয়মিত মঞ্চ করব কলকাতায় যেমন আছে যেমন লন্ডনে আছে নিউইয়র্কে আছে আমরাও তেমনি একটি মঞ্চ

নিয়মিত মঞ্চ নাটকের কাজ করবো এই করতে করতে এই ভাবতে ভাবতে বেশ কয়টি সারা 11 নাটক লিখলাম মার্চ মাসে 1971 মাঝ তারপর যুদ্ধে চলে গেলাম তো যুদ্ধের যে প্রারম্ভিক কাল সেই প্রারম্ভিক কালে আমি টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে যুক্ত
ছিলাম তারপর সেখান থেকে আমার মনে হলো যে অস্ত্রের চাইতে সশস্ত্র যুদ্ধের চাইতে আমার আসলে কাজ হচ্ছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে

যাওয়ার এই ওখান থেকে থেকে অনেক কষ্টে ঢাকায় এসে কুমিল্লা দিয়ে সিএনবি ব্রিজ পেরিয়ে সেই আগরতলা হয়ে চলে গেলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এখানে গিয়ে দেখলাম যেখানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মানে হচ্ছে সেই ছোট ছোট দুটো গ্রন্ডি টেপ রেকর্ডার সেরকম কোন আয়োজন নাই তার মধ্যেই

নিউজ করা হচ্ছে এবং তার মধ্যেই নাটক করছি আমরা এই ছোট ছোট দুটো মাইক্রোফোন জুলিয়ে বা একটা মাইক্রোফোন জুলিয়ে আমরা নাটক করছি এর মধ্যে মিউজিক ঢুকানো হচ্ছে এবং সেই নাটকগুলো প্রচার করতে করতে নাটকগুলো প্রচারিত হলে বিপুল পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা বাংলাদেশের

স্বাধীনতাকামী মানুষ সবাই খুব আকৃষ্ট হচ্ছে এটা কিন্তু একটা বড় ধরনের ব্যাপার
তো যাই হোক ওই সময় একটা নাটক লেখারও চেষ্টা করলাম আমি সেটাই আমার প্রথম মঞ্চ নাটক পূর্ণাঙ্গ মঞ্চ নাটক লেখা পশ্চিমের

সিঁড়ি মুসা তখন কলকাতায় ছিলেন উনি অনুপ্রাণিত করলেন যে একটা নাটক লেখো
মঞ্চের জন্য সেই নাটকটা আমরা এখানেও করবো আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে আমরা দেশে গিয়ে তো প্রতিদিন নাটক লিখি আবার এটা ঠিকঠাক হয় মুস্তাফ নানান রকম পরামর্শ দেন আবার ঠিকঠাক হয় এই করতে করতে অক্টোবর হয়ে গেল এরপরে আমরা ওই কলকাতা কুকুরের

সামনে গিয়ে ওইটা স্টেন্সিল করলাম তখন স্টেন্সিলের একটা সিস্টেম ছিল হাতে
লিখে বা টাইপ করে স্টেন্সিল করা স্টেন্সিল করে কপি করা হলো এবং এটা আমরা ইয়ে করলাম এটা ডিআরসেল শুরু করা হলো নভেম্বরের মাসে তো তখন অনেক শিল্পীরাই ছিলেন ওখানে সুবর্দত ছিলেন হাসান ইমাম

ছিলেন তারপর নতুন করে অবতীর্ণ হলেন আলী জাকির তারপর আরো অনেক
এই মুহূর্তে সবার নাম মনে করতে পারছি না তো সেখান থেকে সেটা এসে আমরা

ডিসেম্বরে 23 স্বাধীন হয়ে গেল ওটা এখন আর অভিনয় করা গেল না তো ওখান
থেকে ফিরে এসেই আমাদের ওই স্বপ্ন যেটা যে মঞ্চ নাটক করব ফিরে এলাম ডিসেম্বরে জানুয়ারিতে আমরা প্রস্তুত হয়ে গেল এবং জানুয়ারিতে প্রস্তুত হওয়ার পরে আমরা নাটকের কাজ শুরু হয়ে গেল কি নাটক করবো কি

নাটক করবো পশ্চিমের সিঁড়িও করতে পারি কিন্তু আমাদের মনে হলো যে কয়েকদিন আগেই মনির চৌধুরী প্রয়াত হয়েছেন মনির চৌধুরী একটি নাটক করবো কোন নাটক কবর 20শে ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট হলে গভর্নর নাটকের অভিনয় দিয়ে

আমাদের আরণ্যক নাট্য দলের যাত্রা শুরু হলো 20শে ডিসেম্বর 1972 সাল এই থেকে
আমাদের যে নাট্যযাত্রা অব্যাহত আছে আর একের পর এক আমরা নাটক করেছি
বাংলাদেশের প্রত্যেকটা অঞ্চলে নাটক করেছি তারপর তখন তো আমাদের মঞ্চ ছিল না একটা হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট শুরু করলাম এখানে পশ্চিমে সিরিও করলাম এরপর ব্রিটিশ

কাউন্সিল ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে আমরা আবিষ্কার করলাম মহিলা সমিতি এবং এই মহিলা সমিতি মঞ্চে আমাদের নাট্যযাত্রা 2000 সাল পর্যন্ত চলেছে পৃথিবীর কত ধরনের নাটক দেশী-বিদেশী নাট্য নাটক যে আমরা অভিনয় করেছি তার শেষ
নেই এর মধ্যে পথ নাটক শুরু হলো পথ নাটকের যাত্রা এবং সেই সময় স্বৈরাচার এরশাদের


এরশাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের আন্দোলন এবং আমাদের পথনাটকটা সেই আন্দোলনের কাজে নিয়োজিত হলো এতেও আমরা তৃপ্ত হলাম না আমরা ভাবলাম যে গ্রামের মানুষের কাছে তো আমরা পৌঁছাতে পারছি না কি করা যায় তখন ভাবলাম যে আমরা যদি গ্রামে যাই গ্রামে গ্রামে