Скачать или смотреть হস্তমৈথুন কী, হস্তমৈথুনের হুকুম, এতে কি রোজা নষ্ট হবে? – শাইখ ড. সালেহ আল-ফাওজান Salah Al Fawzan

সঞ্চালক: হস্তমৈথুন কী, হস্তমৈথুনের হুকুম কী, এতে কি রোজা নষ্ট হবে?

শাইখ আল-ফাওজান:

হস্তমৈথুন হলো, একজন ব্যক্তি তার লিঙ্গকে হাত দিয়ে উদ্দীপিত করে বীর্য নির্গত করে। এটিই হস্তমৈথুন।

এটাকে “গোপন অভ্যাস” (يعني العادة السرية) বলা হয়ে থাকে। এটি হারাম — রোজাদারের জন্যও হারাম, রোজাদার নয় এমন কারও জন্যও হারাম।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর তারা, যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে; তবে নিজেদের স্ত্রীদের অথবা মালিকানাভুক্ত দাসীদের ব্যতীত, কারণ এদের সঙ্গেই তারা সম্পর্ক স্থাপন করলে তাতে তাদের কোনো দোষ নেই। অতঃপর যে ব্যক্তি এর বাইরে কিছু চায়, তারাই তো সীমালঙ্ঘনকারী।” 📖 সূরা আল-মু’মিনূন (২৩:৫–৭)

আর হস্তমৈথুন স্ত্রীসঙ্গ নয়, না-ইবা কোনো মালিকানাভুক্ত দাসীর সাথে সম্পর্ক। অতএব, যে ব্যক্তি এর বাইরে (অর্থাৎ হস্তমৈথুনের মাধ্যমে) যৌন কামনা পূরণ করতে চায়, সে সীমালঙ্ঘনকারী।

আর যে ব্যক্তি তার স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে (যেমন হস্তমৈথুনের মাধ্যমে) যৌন কামনা পূরণ করতে চায়, সে সীমা লঙ্ঘন করেছে। এবং সীমা লঙ্ঘন করা হারাম।

আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা আছে — “এই সীমাগুলোই আল্লাহর নির্ধারিত সীমা, সুতরাং তা অতিক্রম করো না।” 📖 সূরা আল-বাকারা (২:২২৯)

অতএব, হস্তমৈথুন করা জায়েয নয়। মানুষের জন্য হস্তমৈথুন করা বৈধ নয় — যেটিকে “আদাতুন সিররিয়া” (গোপন অভ্যাস) বলা হয়।

এতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও কিছু ক্ষতি রয়েছে — ফকিহগণ (ইসলামী jurists) এসব উল্লেখ করেছেন।
তারা বলেন, যদি কেউ হস্তমৈথুন করে, তবে সে আক্রান্ত হতে পারে —লিঙ্গে, মূত্র এবং বীর্য নির্গমনের পথে — এসব অঙ্গে ক্ষতির শিকার হতে পারে।

তাহলে, এটি হারাম তো বটেই, উপরন্তু শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। তাই “গোপন অভ্যাস” সম্পূর্ণরূপে হারাম —

রোজাদারের জন্যও, রোজাদার নয় এমন ব্যক্তির জন্যও। কিন্তু রোজাদার যদি হস্তমৈথুন করে, তাহলে তার রোযা ভেঙে যাবে।

কারণ, সে নিজে থেকেই নিজের কামনা নির্গত করেছে — এবং এটি এক ধরণের উপভোগ বা ভোগানন্দ (الاستمتاع)। হস্তমৈথুন হলো এক ধরণের যৌন উপভোগ।

আর রোজাদার ব্যক্তি যৌন কামনার সবধরনের উপভোগ থেকে বিরত থাকার আদেশপ্রাপ্ত। জ্বী হ্যাঁ।

©️ Al-Mu'min