মাইকেল মধুসূদন দত্তের সংক্ষিপ্ত জীবনী|| Mickel Madhusudan Dutta Biography In Bengali||

Описание к видео মাইকেল মধুসূদন দত্তের সংক্ষিপ্ত জীবনী|| Mickel Madhusudan Dutta Biography In Bengali||

মাইকেল মধুসূদন দত্তের সংক্ষিপ্ত জীবনী|| Mickel Madhusudan Dutta Biography In Bengali||

#মাইকেলমধুসূদনদত্তেরসংক্ষিপ্তজীবনী
#MickelMadhusudanDuttaBiographyInBengali
#মধুসূদন
#মাইকেল_মধুসূদন_দত্ত

About video 👇👇

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একটি অধ্যায় যার জীবনানুসরণে মেলে গভীরতা। তার এক জীবনে অর্থাৎ প্রথম জীবনে পাশ্চাত্যের প্রতি তীব্র মোহ এবং পরবর্তী জীবনে সেই মোহ কাটিয়ে স্বদেশের প্রতি তীব্র অনুরাগ, দেশপ্রেম প্রভৃতি জীবনবোধ তাকে অনুশোচনায় দগ্ধ করে খাঁটি দেশপ্রেমিক করে তোলে। খুব সহজে তাকে বাংলায় সনেটের এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক বলে চিনলেও তার তিনি বিদ্রোহী ভাবধারার কবিও ছিলেন। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্যে আধুনিক ভাবধারার সূচনা হয়। তার জীবনকালকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। আবার তার জীবনকালের অবস্থাকেও দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তার জন্ম হয়েছিল ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশে। তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ছিল বেশ ভালো। তিনি ছিলেন তার পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। কিন্তু ভাগ্যচক্র হয়তো তার সহায় ছিল না। জীবনের বিশেষ সময়গুলোতে তিনি প্রচন্ড আর্থিক দুর্দশায় কাটিয়েছেন। নাটকীয় উত্থান-পতনের সুর ছিল তার কবিতায়। আত্মতৃপ্তি নয় তার লেখার একটি বড় অংশে ছিল অনুতপ্ত হওয়া। এই এতকিছু যে তার জীবনে ঘটেছে তার ব্যাপ্তিকাল কিন্তু খুব বেশি নয়। মাত্র ৪৯ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্থানীয় একটি স্কুলে। সেখানে অল্পদিন পড়ার পর তিনি সে সময়ের হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। তার ঘনিষ্টতা হয় কলেজের অধ্যক্ষ ডিএল রিচার্ডসনের সঙ্গে। এখান থেকে তার মনে কাব্যপ্রীতির সঞ্চার হয়। তবে সে সময় এদেশ তাকে সেভাবে টানতে পারেনি। তার মনে আঠারো বছর বয়স থেকে বিলেতে যাওয়ার স্বপ্ন লালিত হয়। পাশাপাশি মনে কবিতার লেখার তীব্র ইচ্ছাও ধরে রাখেন।

কবি প্রথমে ইংল্যান্ডে আইন বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য যান কিন্তু সেখানে বেশিদিন থাকেননি। সেখান থেকে তিনি চলে আসেন ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে। জীবনের একটি সময় তিনি এখানেই অতিবাহিত করেন। এখানে বসেই তিনি স্বদেশের প্রতি গভীর মর্মবেদনা অনুভব করেন। যদিও সেখানেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু রচনা করেন। এসময় তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তাকে সেখান থেকে সাহায্য করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সেখান থেকে এই মনীষীর সহায়তায় আইন পড়া শেষ করে দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন। তিনি একজন বহু ভাষাবিদ ছিলেন। বারোটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তার প্রাচুর্যের মধ্যে শুরু হওয়া প্রথম জীবন শেষ হয় চরম দারিদ্র্যতায়। এসবের মধ্যেই কবি তার লেখালেখি এবং সংসার জীবনও শুরু করেন। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে যখন তিনি তার প্রথম আলোচিত কাব্যগ্রন্থ 'দ্য ক্যাপটিভ লেডি' রচনা করেন তখনো তিনি প্রচন্ড অর্থাভাবে ছিলেন। এ গ্রন্থটি বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। একজন দক্ষ লেখক ও কবি হিসেবে তিনি পরিচিত হন। তবে ইংরেজি কবি হিসেবে তার পরিচিত হলেও ঠিক সেভাবে সুবিধা পাচ্ছিলেন না। 'দ্য ক্যাপটিভ লেডি' যখন জে ই বেথুনের হাতে আসে তখন সেটি পাঠ করে তিনি মধুসূদন দত্তকে নিজ ভূমিতে ফিরে আসতে পরামর্শ দেন। অবশেষে ১৮৫৬ সালে কবি বিদেশ বিভুঁইয়ে জীবন কাটিয়ে স্বদেশে ফেরেন। তার আগেই অবশ্য কবি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রেবেকা ম্যাকটিভিস নামে এক ইংরেজ যুবতীকে। তাদের আট বছরের দাম্পত্য জীবনে দুই পুত্র ও দুই কন্যার জন্ম হয়। এই সম্পর্কের ছেদ ঘটলে তিনি বিয়ে করেন এমিলিয়া হেনটিয়েটা সোফিয়া নামে এক ফরাসি তরুণীকে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত দেশে ফিরে আসার পর একের পর এক বহুমূল্য রচনা উপহার দেন। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার স্বার্থক পদচারণা রয়েছে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке