Скачать или смотреть Rajbalhat || Rajballavi temple|| itihaser aloker Rajbalhat || Rajbalhat er itihas

Rajbalhat || Rajballavi temple|| itihaser aloker Rajbalhat || Rajbalhat er itihas
#temple
#rajbalhat
#hooghly
#history
#historicalplaces
#haripal
#templeofindia
রাজপুর-রাজবল্লভীহাট- রাজবলহাট 
প্রথম অধ্যায়


"চার চক চৌদ্দ পাড়া তিন ঘাট এই নিয়ে হয় রাজবলহাট" কমল চৌধুরীর হুগলী জেলার সেকাল ও একাল

অথবা,

 "রাজবোল বন্দি রাজবল্লভীর চরণ

ইলিপুরে রঙ্গিনী বন্দো হয়ে একমন" চণ্ডীমঙ্গল কাব্য - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী

সময়টা ১১৯২ তখন দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করছেন মহম্মদ ঘোরী। প্রাচীন বাংলার জনপদ রূপে ভুরশুট পরগনা তখন অন্যতম। ভুরশুট পরগনার সিংহাসনে বসে আছেন শেষ ধীবর রাজা শনিভাঙ্গর। শনিভাঙ্গরকে পরাজিত করে সিংহাসনে বসেন চতুরানন  নিউগী। পরবর্তীকালে অধুনা হুগলী জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার জঙ্গিপুর ব্লকের রাজবলহাটের রাজা হন চতুরানন নিউগী এর জামাতা ফুলিয়া নিবাসী রাজা সদানন্দ রায়। সদানন্দ রায় ছিলেন রাজবল্লভী মায়ের প্রতিষ্ঠাতা। রাজা সদানন্দ রায় এর পূর্বে স্থানের নাম ছিল রাজপুর। পরবর্তীতে রাজবল্লভী ঠাকুরানী এবং গ্রাম মধ্যে প্রচলিত হাট এর নাম অনুসরণে গ্রামের নাম হয় রাজবল্লভীহাট যা লোকমুখে রাজবলহাট নামে বর্তমানে প্রচলিত। ষোড়শ শতকের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর চন্ডীমঙ্গল কাব্যে আমরা রাজবল্লভী মায়ের এবং এ স্থানের উল্লেখ পাচ্ছি। আমরা জানি যে মুকুন্দ চক্রবর্তীর চন্ডীমঙ্গল কাব্য লেখা হয় ১৫৪৪ এর সমসময়ে অর্থাৎ প্রাচীনত্বের নিরিখে যদি দেখা যায় তাহলে একটা বিষয় স্পষ্ট হবে যে ১৫৪৪ খ্রিস্টাব্দে যখন আমরা এই উল্লেখ পাচ্ছি তখন গ্রামের পুরাতনতা আরো গভীরে। প্রাচীন বাংলার ভুরশুট পরগনার রাজধানী ছিল রাজপুর। সেকালে এবং একালেও গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদর এবং রন নদী। প্রাচীন এবং মধ্য যুগে যে সময়ে দাঁড়িয়ে রাজপুর বা বর্তমান রাজবলহাট ছিল ভুরশুট পরগনার রাজধানী সে সময়ে এই দুই নদী পণ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করত। অর্থাৎ রাজপুর ছিল ভুরশুটের মূল বন্দর। কারণ আমরা জানি যে ভুরশুট শব্দের অর্থ বহু বণিকের বসতি। “ভুরি” অর্থাৎ প্রচুর এবং “শ্রেষ্ঠী” অর্থাৎ বণিক থেকে ভুরশুট শব্দের উৎপত্তি।