দাঁতের কালো দাগ দূর করার উপায় || দাঁতের যত্ন || দাঁত ব্রাস করার নিয়ম।
নিম পাউডার, ত্রিফলা পাউডার ও সামান্য নুন মিশিয়ে টুথ পাউডার তৈরি করা যায়। দিনে একবার ব্যবহারে ডেন্টাল প্লাক হয় না। সরষের তেল: সামান্য বিটনুন ও সরষের তেল মিশিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে দাঁত ও মাড়িতে মাসাজ করতে হবে। এতে দাঁত খুব ভালো পরিষ্কার হয় এবং দাঁতের চকচকে ভাব ফিরে আসে।
সুন্দর হাসির রহস্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে ঝকঝকে সাদা দাঁতে। তবুও দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝাই যেন দস্তুর। অযত্নের ফলে হলুদ ছোপ থেকে কালো দাগ, সবই লজ্জার কারণ হয়ে উঠতে পারে। দাঁতের এই ধরনের দাগের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রইল কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা। দাঁত সৌন্দর্যের প্রতীক। সবাই চায় তার দাঁত ভালো থাকুক। এর পরও কিছু বদ অভ্যাসের কারণে দাঁতে দাগ পড়ে যায়। এসবের মধ্যে রয়েছে—ধূমপান, মদ্যপান, বা তামাক জাতীয় পদার্থ। তবে বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়ে দাঁতের কালো বা হলুদ দাগ পরিষ্কার করা যায়।
ব্রাশ: ধূমপানের কারণে দাগ পড়লে বারবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
মাউথওয়াশ: দিনে একবার মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে দাগ হালকা হবে।
গাজর: গাজরের ফাইবার দাঁত পরিষ্কারে সাহায্য করতে পারে।
লবণ: এক চিমটি লবণ লেবুর খোসায় নিয়ে দাঁত ঘষে দাঁতের দাগ দূর হতে পারে।
তেজপাতা: তেজপাতার পাউডারের কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত মাজুন, তাতে দাগ চলে যাবে।
পান পাতা: পান পাতা সরিষার তেলে ভিজিয়ে গরম করে দাঁতে ঘষলে দাঁত পরিষ্কার হতে পারে।
বেকিং পাউডার: এক চা চামচ পরিমাণ বেকিং সোডা একটি পাতিলেবুর অর্ধেকটার রস মিশিয়ে উষ্ণ পানি ও তরল দাঁতের ওপর লাগান। এর তিন মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন, তাতে দূর হবে দাগ।
বিট লবণ: বিট লবণে সরিষার তেল মিশিয়ে দাঁতে মাজুন। দাঁত পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কলার খোসা: কলার খোসার সাদা দিকটি নিয়মিত দাঁতে ঘষলে দাঁতের হলদে ভাব দ্রুত কেটে যায়। পরে কুসুম গরম লবণ পানি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলা যায়।
লবণ-তেল: সপ্তাহে একবার সরিষার তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করলেও দাগ চলে যায়।
তুলসী পাতা: দাঁতের স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারী তুলসী পাতা। বেশি করে তুলসী পাতা নিয়ে সেগুলোকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। পাতা শুকানোর পর সেগুলোকে গুঁড়া করে টুথপেস্ট নিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে দাগ চলে যায়।
এ ছাড়া ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে স্কেলিং ও পলিশিং করিয়ে নিলে দাঁত পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই অন্তত ছয় মাস পর পর ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। তবে দাঁত পরিষ্কার করার জন্য বাজারে চটকদার প্রচারিত কোনো সলিউশন কখনো ব্যবহার করবেন না। তাতে দাঁতের ক্ষতি হয় এবং দাঁতে আরো দ্রুত কালো দাগ পড়ে যায়।
দাঁতের দাগ নানা কারণে হতে পারে। দাঁতের ক্ষয়রোগ, ধূমপান, পান খাওয়া, জর্দা খাওয়া, পানিতে আয়রনের পরিমাণ বেশি হলে ইত্যাদি নানা কারণেই দাঁতে দাগ পড়ে। এ ছাড়া অল্পবয়সে টেট্রাসাইক্লিন নামক ওষুধের প্রতিক্রিয়ার কারণে কালো দাগ হয়ে থাকতে পারে।
কী করবেন?
• দাঁতের ক্ষয়রোগের কারণে দাঁত কালচে হলে ব্লিচ করে অনেক ক্ষেত্রে তা দূর করা যায়।
• ধূমপান, পান-জর্দা খাওয়া প্রভৃতি কারণে দাঁতের ওপর দাগ পড়লে তা স্কেলিং করে দূর করা সম্ভব।
• টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে বা আগে কোনো কারণে দাঁতে আঘাত পাওয়ার কারণে যদি দাঁতে দাগ পড়ে, সে ক্ষেত্রে ব্লিচিং, বন্ডিং বা পোরসেলিন ক্রাউন প্রভৃতি চিকিৎসা পদ্ধতিতে দাগ দূর করা যায়।
কী করবেন না
• সেপটিপিন দিয়ে দাঁত খোঁচাবেন না।
• গুল দিয়ে দাঁত মাজবেন না।
• জর্দা, পান, সুপারি ইত্যাদি খাবেন না।
• ধূমপান করবেন না।
• কয়লা বা মাজন দিয়ে দাঁত ঘষবেন না। এতে দাঁতের অ্যানামেল নষ্ট হয়ে দাঁত উজ্জ্বলতা হারাবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
Tag
দাঁতের দাগ দূর করার উপায়, দাঁতের কালো দাগ দূর করার উপায়, দাঁতের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়, দাঁতের দাগ তোলার উপায়, দাঁতের দাগ দূর করার পদ্ধতি, দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায়, দাঁতের পানের দাগ দূর করার উপায়, কালো দাঁত সাদা, দাঁত ব্যথায় করণীয়, teeth whiter in 2 minutes, দাঁত ঝকঝকে সাদা করার উপায়, মাত্র ২ মিনিটে দাঁতের পোকা ও দাঁত ব্যাথা দূর!, দাঁত সাদা করার ঔষধ, দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায়, মেয়েদের রুপচর্চা, দাতের কালো দাগ তোলার উপায়, Dill Drama,
Информация по комментариям в разработке