বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন সিপিআই (এম-এল) মাস লাইনের নেতৃত্ব । On Bangladesh

Описание к видео বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন সিপিআই (এম-এল) মাস লাইনের নেতৃত্ব । On Bangladesh

#bangladesh | #BangladeshNews | #SheikhHasina | #BangladeshMovement | #AntiQuotaMovement | #BangladeshAntiQuotaMovement | #বাংলাদেশের_খবর । #বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা । আলোচনায় সিপিআই (এম-এল) মাস লাইন
আলোচকঃ কমরেড প্রদীপ সিংহ ঠাকুর । কমরেড অলিক চক্রবর্তী
সঞ্চালকঃ কমরেড প্রিয়ম বসু
________________________________________________________________

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী - লেনিনবাদী) মাস লাইনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বিবৃতি
_______________________________________________
-----------------------------------------------------------------------------
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী - লেনিনবাদী) মাস লাইন
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি
১৭ আইসি রোড, রহড়া, খড়দহ, কলকাতা - ১১৮
---------------------------------------------------------------------------------------------

বিজ্ঞপ্তি

'ও আলোর পথযাত্রী..... এখানে থেমো না'

বুর্জোয়া শাসন কাঠামোতে একটি বিশেষ সুবিধা শাসকশ্রেণির জন্য সংরক্ষিত থাকে। জনগণ শাসক শ্রেণির একটি অংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে আর একটি অংশকে এগিয়ে দিয়ে বিদ্রোহের আগুনকে প্রশমিত করা ও তাকে দমন করার কাজ করা হয়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সেই পরম্পরাকে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম চুরমার করে দিয়ে একটি স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ তৈরি করতে পারে কীনা তার দিকে চেয়ে আছে সারা বিশ্বের জনগণ।

কোটা বিরোধী আন্দোলনকে বর্বরতম উপায়ে দমন, শেখ হাসিনার এতদিনকার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনতাকে জাগিয়ে দিয়েছে। তা স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহের আকার নিয়েছে, যার পুরোভাগে শিক্ষার্থী সমাজ। শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগঠন গড়ে তুলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ডাক দিয়েছে, বিকল্প হিসেবে একটি গণতান্ত্রিক জনপ্রিয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে।

কিছু বলার আগে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের এই পরিপক্কতার জন্য লাল সেলাম জানাই।

'হ্যাঁ সাহসিকতা তোমরা দেখিয়েছ অনেক। বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছ নিজেদের, কিন্তু তার থেকে বড়ো কথা তোমরা সমস্ত ধরণের স্বৈরাচার এর অবসান চেয়েছো।' ছাত্র ও ছাত্রীরা যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে, জীবন দিয়েছে তা নারীদের সমতার প্রশ্নকে কয়েক যোজন সামনে এনেছে।

আশা করি বর্তমানে শাসকশ্রেণির অন্য অংশ - জামাত ও বি এন পি জোট ও সামরিক বাহিনীর তাদেরকে সামনে নিয়ে আসার চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ ও সে-দেশের জনগণ সজাগ আছেন। তাই সংখ্যালঘুদের টার্গেট করার বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।
হাসিনার পদত্যাগের পর সেই সুযোগ নিয়ে একদল শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙে তাকে অসম্মান করে আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছে। বৈষম্য বিরোধী সমন্বয়করা তার কড়া সমালোচনা তখনই না করলেও তাদের কথা থেকে স্পষ্ট যে, তারা এটা চায় না। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু মানুষের ওপর হামলা করে আন্দোলনের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

কিন্তু এখান থেকেই সমস্যারও সূত্রপাত। আসলে সজাগ থাকলেই হবে না। এখন দরকার ছিল বড়ো পদক্ষেপ। মার্কসের কথায় 'দুঃসাহস'। শেখ হাসিনা যদি স্বৈরাচারের প্রতীক হয়, তবে সামরিক বাহিনী স্বৈরাচারের স্তম্ভ। একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে শেখ হাসিনার পলায়নের ব্যবস্থা, জামাত - বিএনপিকে সামনে আনার পুরো গেমপ্ল্যান সেনাবাহিনীর দ্বারা হয়েছে। এর পেছনে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পরিকল্পনা অস্বীকার করা যায় না।

শিক্ষার্থীরা সংসদ ভেঙে দিতে বলেছে। সেই অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এটা স্বাভাবিক। কারণ সেখানে আওয়ামী লীগই ছিল। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী যে কর্তৃত্ব কায়েম করছে, তাকে ঠেকাতে ছাত্রসমাজ 'দুঃসাহস' দেখায় কীনা, তার দিকে আমরা চেয়ে থাকছি।

আমরা আশা করছি, হে বীর, তোমরা আকাশে ঝড় তুলে ক্ষান্ত হবে না, তোমরা 'স্বর্গ জয় করবে'।
সারা দেশের মেহনতী, নিপীড়িত ও গণতন্ত্রপ্রিয়, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সাথে নিয়ে সেনাবাহিনীর কবলমুক্ত, সাম্রাজ্যবাদের কবলমুক্ত স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদ মুক্ত গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке