Скачать или смотреть খরগোশের বাচ্চা মারা যায় কেন জেনে নিন সহজ সমাধান | খরগোশের রোগবালাই ও ঔষধপত্র Why Baby Bunny Die

খরগোশের বাচ্চা মারা যায় কেন জেনে নিন সহজ সমাধান | খরগোশের রোগবালাই ও ঔষধপত্র Why Baby Bunny Die
খরগোশের বাচ্চা মারা যাওয়ার কারণ সমাধান

আমরা যারা খরগোশ পালন করি তাদের কাছে খরগোশের বাচ্চা খুবই আদরের হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু ভুল পদক্ষেপ এবং সঠিক পালন পদ্ধতি না জানার কারণে অনেকের খরগোশের বাচ্চাই ছোট অবস্থাতেই মারা যায়। অনেকের খরগোশের বাচ্চা আবার প্রচন্ড শীতের কারণে মারা যায়। কখনো কখনো এক দেড় মাস বয়স হবার পর এরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আজকে আমরা এই সমস্ত সমস্যার সমাধান জানব।

১, খরগোশের বাচ্চা হওয়ার পর থেকে প্রথম 30 দিন পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোই ভালো। তবে ওদের বা যখন 20 দিন হয় তখন থেকেই তারা একটু একটু করে বাইরের খাবার খেতে থাকে। তাই বয়স যখন 20 থেকে 40 দিন তখন আপনি ওদের একটু একটু করে ঘাস এবং কলমি শাক খাওয়াতে পারেন। কিন্তু সেটা অতিরিক্ত মাত্রায় হওয়া যাবে না। অতিরিক্ত পরিমাণে বাইরের খাবার 20 থেকে 40 দিন বয়সের সময় খেয়ে ফেললে খরগোশের বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খায়না। এর ফলে কিছু কিছু সময় বাচ্চাগুলো গ্যাসের সমস্যা বা বাইরের খাবার খাওয়ার কারনে পেট খারাপ হয় মারা যেতে পারে । তাই এ সময় আপনার খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা গুলো যেন ঠিকভাবে মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে। দিনে দুই থেকে তিনবার করে মা খরগোশটা কে বাচ্চা খরগোশের খাঁচার ভেতরে দিয়ে রাখতে হবে।
ছোট বাচ্চা জন্মের পর থেকে দেড় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খায়। অনেকে আবার এক মাস বয়সের বাচ্চাকেই মা থেকে আলাদা করে দেয় এবং তাদের বাইরের খাবার খাওয়ায়। এ বাচ্চাগুলো পরবর্তীতে দুর্বল হয় আকৃতিতে ছোট হয়। আবার কিছু কিছু বাচ্চা কম সময় দুধ খাওয়ার কারনে মারা যায়।

২, খরগোশের ঠান্ডা লেগে মারা যাওয়া
শীতের ঠাণ্ডা বাতাস কিংবা বর্ষাকালের ছাতা পরিবেশ আপনার খরগোশের ঠান্ডার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চা খরগোশগুলো এই সমস্ত সমস্যায় খুব দ্রুত আক্রান্ত হয়ে যায়। খরগোশের বাচ্চা এ সমস্ত রোগের ব্যাপারে খুব সেনসিটিভ। ওদের খাঁচা পরিষ্কার না করলে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রাখলে যে কোন সময় সর্দি কাশি লাগতে পারে। তাই সব সময় খরগোশের খাঁচা খরগোশের খাচার ভেতর ব্যবহৃত পাটের ছালা এগুলো শুকনা রাখবেন এবং প্রতিদিন পরিবর্তন করে দেবেন। জন্মের পরপর একেবারে ছোট বাচ্চার জন্য বিছানা তৈরীর সময় অবশ্যই শালা এবং তোলা ব্যবহার করবেন। এক্ষেত্রে খাঁচার নিচের ছালা দিয়ে তার উপর বাচ্চাগুলোকে শুইয়ে দেবেন। আরে এগুলো কে যেন মা খরগোশটা ঢেকে রাখতে পারে সেজন্য খাচার ভেতর কিছু তোলা দিয়ে রাখবেন। অতিরিক্ত শীত পড়লে একটু বেশি পরিমাণে তোলা দেবেন। আপনি যদি তুলনা দিয়ে নরমাল কাপড়ের থানা অথবা গেঞ্জির কাপড় এসব কিছু দেন তবে এগুলোর ভিতর বাচ্চা ঢুকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি ঠান্ডা লেগে যায় সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিত্সা হিসাবে প্রচুর পরিমাণে তুলসী পাতা খাওয়াতে পারেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এতেই খরগোশ ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু যদি ভালো না হয় তবে ওষুধ খাওয়াতে হবে ওষুধের ক্ষেত্রে Azinvet ব্যাবহার করতে পারেন।
Group name
Azithromycin Usp
ঔষধ 1 গ্রাম পরিমাণে নিয়ে সেটাকে 2 চামচ পানিতে গুলিয়ে একবেলা করে দশ দিন খাওয়াতে হবে। তবে সহজ ভাবে ওষুধ খাওয়াতে গমের ভুষির সাথে কিংবা পানির সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন। পরিমাণ এক গ্রামে যেতে হবে।

পেট খারাপ হলে করনীয়
সাধারণত বুকের দুধ খাওয়া অবস্থায় বাচ্চা খরগোশের কখনোই পেট খারাপ হয় না। কিন্তু দেড় মাস বয়সের পর থেকে এই সমস্যাগুলো উল্টাপাল্টা খাবারের কারণে হতে পারে।

আপনার খরগোশের যদি পেট খারাপ হয়ে যায় তবে এই ঔষধটি ব্যবহার করুন।
Emotil 2mg
তবে এই ওষুধ টি খাওয়ানোর জন্য আপনার খরগোশের বয়স কমপক্ষে দুই মাস হতে হবে। এটা একেবারে বাচ্চা খরগোশ এর জন্য নয়।
ইমোটিল টু এমজি আসলে মানুষের ঔষধ। খরগোশকে এটি খাওয়ানোর যায় । টু এম জির একটা ওষুধ নিয়ে এটাকে পুরো গুঁড়ো করে ফেলবেন। পরবর্তীতে এটার চার ভাগের এক ভাগ ওষুধ একটা সেদিন যার মধ্যে পানি নিয়ে তার সাথে গুলিয়ে খরগোশকে ডাইরেক খাইয়ে দেবেন।
বাংলাদেশ ইমোটিল স্কয়ার কোম্পানি তৈরি করে তবে আপনি যদি এই ওষুধটি খুঁজে না পান বা আপনি যদি ভারতে বসবাস করেন। তবে এই ছবিতে দেয়া ওষুধের প্যাকেটের গায়ে লিখা গ্ৰুপের নাম ব্যবহার করে একি গ্ৰুপের অন্য যে কোন ওষুধ খরগোশকে খাওয়াতে পারেন।
Group name
Loperamide hydrochloride usp2 mg
এই গ্রুপের নামটা ওষুধের দোকানে দেখালেই হবে।

ছোট বাচ্চা অবস্থায় মানে এক দেড় মাসের বাচ্চা খরগোশ যদি খেতে না চায় না ওদের যদি পেট খারাপ হয় তবে আর কে জাইম নামক এই ওষুধ টি ও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এটা খরগোশের রুচি শক্তি বৃদ্ধি করে। যাদের খরগোশ খাবারের প্রতি অনীহা দেখায় তাদের জন্য এটা অনেক উপকারী। আবার পেট ঠিক করতে এবং পেট খারাপের সমস্যা দ্রুত সারিয়ে তুলতে ও এটা কার্যকর। তাই বাচ্চা খরগোশের যদি পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তবে আরকে জাইম নামক এই ওষুধটি এক ফোঁটা করে ওদের খাবারের সাথে মিশিয়ে দিন। এক্ষেত্রে আপনি কলমি শাকের উপর এক ফোটা ওষুধ দিয়ে ওইটা ডাইরেক খরগোশকে খাইয়ে দিতে পারেন। আবার চাইলে গমের ভুষির মধ্যেও একফোঁটা পরিমাণ আরকেজন মিশিয়েও খরগোশকে খাওয়াতে পারেন এটা দুই-তিন দিনের মধ্যে খরগোশ ঠিক হয়ে যাবে।