Скачать или смотреть সাহস বুকে এগিয়ে যাবো। ইনশাআল্লাহ।আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা।

জামায়াতের জনতাবহুল মহাসমাবেশ-সংশ্লিষ্ট যে ২০টি বিষয় ছিলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য–

১. সমাবেশে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের জন্য বরাদ্দকৃত ট্রেনের ভাড়া বাবদ ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ।
২. বক্তৃতায় সময় ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে আসা এটিএম আজহারুল ইসলামকে প্রোফাইল মেইনটেইনের বাহিরে গিয়ে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে বক্তৃতার মঞ্চে ওঠানো।
৩. জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আঁতুড়ঘর হিসেবে ভূমিকা পালনকারী শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা ও শহীদ আবু সাঈদের বড়ো ভাইকে মঞ্চে সম্মানিত করা।
৪. জুলাই বিপ্লবের সমন্বয়কদেরকে দলীয় পরিচয়ের বাইরে গিয়ে, বিশেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলিবিদ্ধ গাজীকে বক্তৃতার মঞ্চে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করে সম্মানিত করা।
৫. দেশ-বিদেশের শ্রবণ প্রতিবন্ধী শ্রোতাদের জন্য উপভাষা, অর্থাৎ ইশারা ভাষার ব্যবহার। যা ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে বেঁচে থাকবে।
৬. জামায়াতকে নিয়ে এতো এতো গালাগাল, হুমকি দেয়ার পরেও সমাবেশ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো গালাগাল করা হয়নি। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে দু-একটা স্লোগানও দেয়া হয়নি।
৭. চেয়ার কিংবা মঞ্চে বসা নিয়ে কোনো ধরনের দলাদলি কিংবা মারামারি ছিলো না। এমনকি মুফতি আমির হামজার মতো জনপ্রিয় বক্তা জনতার ভিড়েই বসা ছিলেন।
৮. বক্তৃতার মঞ্চে নেতার পিছনে দাঁড়িয়ে ছবি, ভিডিও কিংবা সেলফি তোলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
৯. মহাসমাবেশকে ঘিরে আশপাশের এলাকাজুড়ে বিভিন্ন দোকানপাট বসলেও কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি।
১০. সমাবেশে সারাদেশ থেকে কিশোর থেকে বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধ পর্যন্ত, ব্যারিস্টার থেকে শুরু করে সামান্য দিনমজুর পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
১১. সমাবেশে উপস্থিত থাকাকালীন প্রতিটি নামাজের ওয়াক্তে সময় নেতাকর্মীদের একতাবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায়ের চোখজুড়ানো ঘটনা।
১২. সমাবেশে আগত জনতাকে কোনো বিরানির প্যাকেট নিয়ে মারামারি করতে দেখা যায়নি, বরং তারা নিজ দায়িত্বে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন নয়তো কিনে খেয়েছেন।
১৩. সমাবেশে নিজ নিজ এলাকার নেতাকর্মীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে ময়দান কিংবা রাস্তাঘাটে কোথাও কোনো ঠেলাঠেলি বা মারামারি হয়নি।
১৪. জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান মঞ্চে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে উপস্থিত সবাই যখন মুহতারামকে নিয়ে ব্যস্ত তখন জুলাইবিপ্লব সমন্বয়ক সারজিস আলম পিছনে দাঁড়িয়ে হাত তুলে দুআ করেন।
১৫. পড়ে গিয়েও যে হেরে যেতে নেই, সেই কথার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন বিশ্ব ইসলামি আন্দোলনের এক সিপাহসালার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ডা. মো. শফিকুর রহমান। মহাসমাবেশ সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে পড়ে গেলেন। মুহূর্তের মধ্যেই আবার তিনি উঠে দাঁড়ালেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আবারও পড়ে গেলেন, আবারও উঠে এবার বসলেন। মনের কথাগুলো তৃপ্ত কণ্ঠে বলতে লাগলেন। তিনবার অসুস্থ হওয়াতেও প্রসঙ্গ একটুও ভুলে যাননি। আবেগে একটু ছেদ পড়েনি। বরং প্রতিটি বাক্যে জাতির প্রতি তার মমতা ফুটে উঠেছে। নিপীড়িত মানুষের কথা বললেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বললেন, শহীদ পরিবার ও গাজীদের প্রাণের কথা বললেন। আহ! আমাদের এই নতুন প্রজন্মের জন্য তিনি প্রেরণার নজির স্থাপন করে দিলেন।
১৬. অসুস্থ আমীরে জামায়াতের খোঁজখবর নিতে প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি ফোনকল। এমনকি প্রেস সচিবকেও প্রেরণ করেন।
১৭. শারীরিক অবস্থা জানাতে অসুস্থ আমীরে জামায়াতকে বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানের ফোনকল।
১৮. রাজনৈতিক দূরত্ব থাকার পরও অসুস্থ ডা. শফিকুর রহমানকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীমসহ দলের হাইপ্রোফাইল নেতৃবৃন্দ দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
১৯. অসুস্থ আমীরে জামায়াতের খোঁজখবর নিতে সরাসরি দেখা করতে যান অন্যান্য ইসলামি দলের নেতৃবৃন্দ।
২০. সমাবেশ শেষে সন্ধ্যাতেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাইয়ের নেতৃত্বে পরিষ্কার অভিযান।
21.
এসব ঘটনা প্রবাহ যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকুক, দেশ ও জাতির কল্যাণে মহান আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন, আমিন।
#ইসলাম #hilights #ইসলামিক #coxsbazar #বাংলাদেশ #জামায়াত #BMW #ইসলামেরআলো #ত্রয়োদশ_জাতীয়_সংসদ_নির্বাচন
#Assalamualaikum #Dhaka #Bangladesh #everyoneシ゚ #followerseveryone #followersシ゚ #follower #everyoneactive #highlights
#news