যে জিকিরের দ্বারাই জীবনের সব চাওয়া পূরণ হয় | আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi

Описание к видео যে জিকিরের দ্বারাই জীবনের সব চাওয়া পূরণ হয় | আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi

যে জিকিরের দ্বারাই জীবনের সব চাওয়া পূরণ হয়। আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi

জিকির: আল্লাহর নৈকট্যলাভের অন্যতম আমল
জিকির আল্লাহ তাআলার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। বান্দা যে সকল আমল দ্বারা আল্লাহ তাআলার নৈকট্যলাভ করে, এর মাঝে অন্যতম হলো জিকির। কুরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসংখ্য হাদীসে জিকিরের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। আমরা প্রথমে ধারাবাহিকভাবে জিকির সংক্রান্ত কিছু আয়াত পেশ করব

আল্লাহ তাআলা বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًاوَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
অর্থ: হে ঈমানদারগণ, তোমরা বেশি পরিমাণে আল্লাহর জিকির করো এবং সকাল সন্ধ্যায় তার তাসবিহ পাঠ করো। সূরা আহযাব: ৪১—৪২

অধিক পরিমাণে জিকিরের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে কাসির একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন। আবদুল্লাহ বিন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
“ما من قوم جلسوا مجلسا لم يذكروا الله فيه، إلا رأوه حسرة يوم القيامة.
অর্থাৎ, কোন সম্প্রদায় কোন মজলিসে একত্রিত হয়েছে, কিন্তু আল্লাহর জিকির করে নি, তারা কিয়ামতের দিন এরজন্য আফসোস করবে। তাফসিরে কাসির: ৬/৪৩২, এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম হাইছামি রাহি. বলেন
رواه أحمد ورجاله رجال الصحيح
অর্থাৎ এ হাদীসটি ইমাম আহমদ বিন হাম্বল স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী সকলেই বিশ্বস্ত এবং গ্রহণযোগ্য।

কুরআনের আয়াত এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস থেকে আমরা জিকিরের গুরুত্ব কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। আল্লাহ তাআলা অধিক পরিমাণে আমাদের জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন । বেশির পরিমাণ বুঝাতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমাদের কোন মজলিস যেন আল্লাহর জিকিরশুন্য না হয়। সব মজলিসে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের আল্লাহর জিকির করতে হবে।

অপর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন:
الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
অর্থ. যারা ঈমান এনেছে এবং আল্লাহর জিকিরের দ্বারা তাদের অন্তরের প্রশান্তি লাভ করে। ভাল করে জেনে রাখো, আত্মার প্রশান্তি কেবলমাত্র আল্লাহর জিকিরের দ্বারাই হয়ে থাকে। সূরা রাদ: ২৮

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী রাহি. লিখেন:
أي وهم تطمئن قلوبهم على الدوام بذكر الله بألسنتهم
অর্থাৎ তারা সর্বদা তাদের হৃদয়কে প্রশান্ত রাখে মুখে আল্লাহর জিকির করার মাধ্যমে।. তাফসিরে কুরতুবি: ৯/৩১৫

অপর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন:
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَـٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যারা দাঁড়ানো, বসা এবং শোয়া অবস্থায় আল্লাহর জিকির করে, আসমান এবং জমিনের সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করে, হে প্রভূ, আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেন নি। সকল পবিত্রতা আপনারই। আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। সূরা আল ইমরান: ১৯১।

এ আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমাম কুরতুবী রাহি. লিখেন:
{الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَاماً وَقُعُوداً وَعَلَى جُنُوبِهِمْ} ذكر تعالى ثلاث هيئات لا يخلو ابن آدم منها في غالب أمره ، فكأنها تحصر زمانه. ومن هذا المعنى قول عائشة رضي الله عنها : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يذكر الله على كل أحيانه
অর্থাৎ এ আয়াতে বসা, দাঁড়ানো এবং শোয়া এ তিন অবস্থার কথা বলা হয়েছে। কারণ, সাধারণত বেশিরভাগ অবস্থায় মানুষ এ তিন অবস্থা থেকে কোন এক অবস্থায় থাকে। এ দিক বিবেচনায় এ যেন এ আয়াতে পুরো যুগকে শামিল করা হয়েছে। এ অর্থকে সামনে রেখেই আয়েশা রাযি. বলেছিলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা জিকির করতেন। তাফসিরে কুরতুবি: ৪/৩১০।

মূলত সর্বদা জিকির করার মধ্যে জিকরে কলবী তথা অন্তরের জিকিরও রয়েছে। অর্থাৎ হৃদয়ে সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রাখা। এটাও একপ্রকারের জিকির। এ আয়াতের তাফসির করতে গিয়ে ইমাম আবু বকর জাসসাস রাহি. ব্যাপারটি নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেন:

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যে দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে জিকিরের নির্দেশ দিয়েছেন, এটা দু্ই প্রকারের। প্রথম প্রকার হলো, জিকির বিল কালব তথা অন্তরের জিকির। সেটা হলো, আল্লাহ বড়ত্ব, তাঁর কুদরত, সৃষ্টি এবং বিধান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা। আরেক প্রকার হলো, জিকির বিল লিসান তথা মুখ দ্বারা জিকির করা। সেটা হলো, মূখ দ্বারা আল্লাহর বড়ত্ব, পবিত্রতা বর্ণনা করা। আহকামুল কুরআন: ৩/২৪৭।
لا يقطعون ذِكْره في جميع أحوالهم بسرائرهم وضمائرهم وألسنتهم
অর্থাৎ তারা সর্বাবস্থায় তাদের অন্তর কিংবা মুখ দ্বারা আল্লাহর জিকির করতে থাকে। জিকির থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হয় না। তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/১৮৪।

#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেম
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#Mustakunnabi_Kasemi_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#mufti_mustakun_nobi_2021
#মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ_2021
#মুশতাকুন_নবি_কাসেমী_২০২২
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২২
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#mufti_mustakunnabi_kasemi_new_waz_2021
#mustakun_nobi_waz_2022
#mustakunnabi_new_waz_2022
#mostakon_nobi_waz_2022
#mustakunnabi_kasemi_2021
#mustakunnabi_new_waz
#new_waz_2022
#bangla_waz_2022
#Bangla_Waz_2021
#New_Waz_2021
#Mustakunnabi_Qasemi_Waz_2022
#New_Mahfil
#New_Tafsir
#Allamah
#Mufti
#Shiekh
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২৩
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023
#২০২৪
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2024

Комментарии

Информация по комментариям в разработке