Скачать или смотреть ইসলামিক ভিডিও এইমাত্র পাওয়া খবর ধেয়ে আসছে ঘুর্নিঝড় ফেনী,রুপ নিচ্ছে হ্যারিকেনে islamic media af

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যতই দিন যাচ্ছে ততই শক্তিশালী হচ্ছে এটি।
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, ৫-৬ মে নাগাদ উপকূলে পৌঁছার আগে এটি হারিকেনের তীব্রতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এদিকে এই ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। বিশেষ করে রাজশাহী, ঢাকা এবং খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চল পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। সোমবার এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজশাহীবাসীর। সেখানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ মো. আফতাবউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, সাধারণত সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে স্থলভাগে আলো ঝলমলে অবস্থা হয়। আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে টেনে নেয় মেঘ। তখন দূরে স্থলভাগের আকাশ থাকে মেঘমুক্ত। বৃষ্টিপাত হয় না। রোদের তীব্রতা বেড়ে যায়। পাশাপাশি বেড়ে যায় জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এসব সাধারণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এখন শুরু হয়েছে দক্ষিণা বাতাসের প্রবাহ। এটাও গরম বাতাস। ফলে সবমিলে তাপদাহ চলছে।
ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে না পৌঁছানো পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অবসানের কোনো লক্ষণ নেই। মধ্য এপ্রিলের পর থেকেই দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে যায়। ২৫ এপ্রিল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ব্যারোমিটারের পারদ কিছুটা নেমেছিল। কিন্তু শনিবার পারদ আবার ঊর্ধ্বমুখি হয়।
এরমধ্যে রোববার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠে যায়। সেটিই ছিল এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। কিন্তু পরদিনই সেই রেকর্ড ভেঙে যায় রাজশাহীতে। সেখানে তাপমাত্রা উঠে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিএমডি জানিয়েছে, সোমবার রাজশাহী বিভাগে মাঝারি এবং ঢাকা ও খুলনা বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ঢাকায় এদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একদিকে গরমে ভুগলেও আরেকদিকে দেশবাসীর মনে জেঁকে বসেছে ঘূর্ণিঝড়ের ভীতি। ৫ দিনে সেটি প্রায় ৬০০ কিলোমিটার এগিয়ে উপকূলের দিকে। সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল, যা ২৫ এপ্রিল ছিল ২১৭০ কিলোমিটার দূরে। বিএমডির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দুপুরে ঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
রোববার ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছিল ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের দিকে। কিন্তু সোমবার এটির গতি কমে ৪-৫ কিলোমিটারে নেমে আসে। আবহাওয়াবিদ আফতাবউদ্দিন বলেন, এটিই ভয়ের কারণ। কেননা, যখন ঝড়ের অগ্রগতি বেশি থাকে, তখন সেটি শক্তি সঞ্চয়ের দিকে থাকে না। গতি কমে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে এটি শক্তি সঞ্চয় করছে। তিনি আরও জানান, কোনো কারণে তাপমাত্রা কমে গেলে এবং বৃষ্টি হলে ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি সঞ্চয় হ্রাস পাবে। ওই পরিস্থিতিতে ঝড় সাগরেই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে এসবই প্রাকৃতিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল।
বিএমডির ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ১১ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ আছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সে সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফনির তীব্রতা বাড়লেও এখন পর্যন্ত তা ‘তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে’ (সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) পরিণত হয়নি। তবে মঙ্গলবার (আজ) নাগাদ তা তীব্র রূপ ধারণ করতে পারে। তখন বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ফনির হারিকেনের তীব্রতা পাওয়ার আশঙ্কা আছে। এমনটি হলে এর প্রকৃতি হবে ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা হারিকেনের গতিসম্পন্ন তীব্র ঘূর্ণিঝড়। তখন বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।

Islamic media af channel ti subscribe now

islamic media af