Скачать или смотреть মহাকুম্ভ মেলা ,২০২৫ কিছু কথা শুনুন ,

উত্তর : মহা কুম্ভ মেলা 12টি পূর্ণ কুম্ভ মেলার সমাপ্তির পর প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) এ প্রতি 144 বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ণ কুম্ভ মেলা প্রতি 12 বছরে অনুষ্ঠিত হয় এবং তাই, মহা কুম্ভ মেলা প্রতি 144 বছরে অনুষ্ঠিত হয়ম্ভ উৎসব কেন পালন করা হয়?
কুম্ভের এই উৎসব বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য উদযাপন করে । সঙ্গমের বালুচরে সারা ভারত ও বিশ্বের মানুষ জড়ো হয়। হাজার বছর ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্যের কোথাও কোনো বৈষম্য বা জাতপাত নেই।
কুম্ভ মেলা মানে কিকুম্ভ মেলা (পবিত্র কলসের উত্সব) হল পৃথিবীতে তীর্থযাত্রীদের বৃহত্তম শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, যে সময়ে অংশগ্রহণকারীরা একটি পবিত্র নদীতে স্নান করে বা ডুব দেয়। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে গঙ্গায় স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যা তাকে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি দেয়।উপসংহার:

কুম্ভ মেলা শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতার এক অনন্য উদাহরণ। এটি কেবলমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।কুম্ভ মেলার সময়কাল:

কুম্ভ মেলা ১২ বছরে একবার পালিত হয়, তবে প্রতিটি স্থানে এটি নির্দিষ্ট জ্যোতিষীয় গণনার ওপর ভিত্তি করে পালিত হয়। কুম্ভ মেলার চারটি প্রধান ধরন আছে:
পূর্ণ কুম্ভ মেলা: ১২ বছরে একবার।
অর্ধ কুম্ভ মেলা: ৬ বছরে একবার।
মহা কুম্ভ মেলা: প্রতি ১৪৪ বছরে একবার (প্রয়াগরাজে)।
অরণ্য কুম্ভ মেলা: প্রতি ৩ বছরে একবার।কুম্ভ মেলা প্রবর্তন করেন কে?আদিগুরু শংকরাচার্য: কুম্ভ মেলার প্রথাকে জনপ্রিয় এবং সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৮ম শতাব্দীতে শংকরাচার্য হিন্দু ধর্মের পুনরুজ্জীবনের জন্য বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের প্রচলন করেন, যার মধ্যে কুম্ভ মেলার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।মৌনী অমাবস্যার তাৎপর্য কি?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মৌনী অমাবস্যার দিনে গঙ্গা নদী বা অন্য কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করলে সমস্ত পাপ মোচন হয় এবং মোক্ষ লাভ হয়। এই দিনে পিতৃপুরুষদের শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ, জল নিবেদন এবং পিন্ড দানও করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে দাতব্য কাজ করলে এবং ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রদের খাবার খাওয়ালে পিতৃপুরুষরা প্রসন্ন হন। মৌনী অমাবস্যাতেও নীরবতা পালন করা হয়। কথিত আছে যে, অমাবস্যার দিনে পূর্বপুরুষরা তাঁদের বংশধরদের সাথে দেখা করতে আসেন। এমতাবস্থায় এই দিনে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ও পিন্ডদান করে পরিবারের সদস্যদের উপর পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ বজায় থাকে।